ঢাকা ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




বেপরোয়া জেনেভা ক্যাম্প মাদক সিন্ডিকেট, আ’লীগ নেতাদের বাসা ও অফিসে হামলা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৮:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মার্চ ২০২১ ১৬২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মাদকের আখড়া মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প। এ নতুন কিছু নয়’ দেশে বিহারী ক্যাম্পগুলো হয়ে-ই মাদক সয়লাব হয়। মাদক বিরোধী অভিযানে কিছুদিন মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ থাকলেও এখন চলছে পুরোদমে। জেনেভা ক্যাম্প জুড়ে কয়েকটি সিন্ডিকেট গড়ে মাদক বিক্রি হচ্ছে। থানা পুলিশ মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করলেও মুলহোতারা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাহিরে।

অভিযোগ রয়েছে, থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে-ই অনেকে এ ব্যবসা চালাচ্ছে। খুচরা মাদক কারবারির কাছ থেকে সপ্তাহে মূল হোতা নেন ৬০-৭০ হাজার টাকা। এই টাকা থেকে থানা পুলিশকে দেওয়া হয় সপ্তাহে ৩০ হাজার টাকা। স্থানীয় নেতাদের পকেটে যায় প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা। এমন ভাগবাটোয়ারা নিয়ে-ই মাদক ব্যবসার অলিখিত লাইসেন্স দেন স্থানীয় নেতা ও থানা পুলিশ। মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান দিয়ে চুনোপুঁটি গ্রেফতার করে দুই এক পিস ইয়াবা দিয়ে হাজতে পাঠায় পুলিশ। মাদক কারবারিরা পিস অনুযায়ী জেল খেটে নির্ধারিত সময় বের হয়ে পুনরায় একই পেশায় নিয়জিত হয়।

জেনেভা ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, চুয়া সেলিম ওরফে সেলিম আশ্রফী ও মিনু ওরফে কসাই মিনু’র নেতৃত্ব জেনেভা ক্যাম্পে একটি সিন্ডিকেট মাদকের হাট চালায়। এদের মধ্যে ব্যবসায়ী হিরন, আজম, ওসি আলম বশির ওরফে মোল্লা বশির, পারভেজ, আলমগীর, বেজি নাদিম, রহমত, বরকত ওরফে কানা বরকত, পেটলা জনি, তানজীর, পুল্লা সাঈদ, দাউদ, পাতু আরমান, রানু, মনু সহ আরো অনেকে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ লোকের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।

এদের বিরুদ্ধে যে সংগঠন বা মানুষ কথা বলে তাঁদের উপর হামলা ও থানা পুলিশ দিয়ে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। তাই অনেকে এই মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে রাজি হন না। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এই মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের নিরাপদে চালিয়ে যাচ্ছে।

সূত্র জানায়, এই সিন্ডিকেটের মাদক ব্যবসা নিয়ে কথা বলার কারণে হামলার স্বীকার হতে হয়েছে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ নামক বাবর রোড অবস্থিত ক্লাবটির কর্মী রাজু। ভাঙ্গচুর করা হয়েছে এই ক্লাবটিকে। তাদের নিরাপদ মাদক ব্যবসার বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে ঐ ক্লাব কমিটি। শুধু ক্লাবে ভাঙ্গচুর করে-ই থেমে নেই মাদক ব্যবসায়ীরা। বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ ক্লাবের সহ-সভাপতি গোলাম কোরাইশীর বাসায় হামলা করে তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে আহত করে এ মাদক ব্যবসায়ীরা।

গোলাম কোরাইশী বলেন, এই মাদক ব্যবসায়ীরা ক্লাব হামলা করে-ই থেমে থাকেন নাই, সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে উল্টো আমাকে মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মূলহোতা বানিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায়। প্রকৃতপক্ষে মুল মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আড়াল করা হয়েছে। সেখানে জেনেভা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান গোলাম জিলানী ভাইকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে জিলানী ভাই কয়েকদিন আগে ষ্টোক করে চিকিৎসাধীন। সাংবাদিকরা জাতির বিবেক, যদি সেই জাতির বিবেক মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে তাহলে মানুষ বিভ্রান্তিতে পরবে। আমি বলবো আরো অনুসন্ধান যারা মাদক ব্যবসায় জড়িত তাঁদের মুখোশ উন্মোচন করা হোক।

উল্লেখ্য, ১১ মার্চ জাতীয় দৈনিকে ”রাজধানীতে বেপরোয়া মাদকচক্র” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। এ সংবাদে অনেক মিথ্যা তথ্য দিয়ে উদ্দেশ্য প্রোদিতভাবে ওই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে জেনেভা ক্যাম্পের অনেকেই জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বেপরোয়া জেনেভা ক্যাম্প মাদক সিন্ডিকেট, আ’লীগ নেতাদের বাসা ও অফিসে হামলা!

আপডেট সময় : ১২:১৮:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মার্চ ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মাদকের আখড়া মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প। এ নতুন কিছু নয়’ দেশে বিহারী ক্যাম্পগুলো হয়ে-ই মাদক সয়লাব হয়। মাদক বিরোধী অভিযানে কিছুদিন মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ থাকলেও এখন চলছে পুরোদমে। জেনেভা ক্যাম্প জুড়ে কয়েকটি সিন্ডিকেট গড়ে মাদক বিক্রি হচ্ছে। থানা পুলিশ মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করলেও মুলহোতারা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাহিরে।

অভিযোগ রয়েছে, থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে-ই অনেকে এ ব্যবসা চালাচ্ছে। খুচরা মাদক কারবারির কাছ থেকে সপ্তাহে মূল হোতা নেন ৬০-৭০ হাজার টাকা। এই টাকা থেকে থানা পুলিশকে দেওয়া হয় সপ্তাহে ৩০ হাজার টাকা। স্থানীয় নেতাদের পকেটে যায় প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা। এমন ভাগবাটোয়ারা নিয়ে-ই মাদক ব্যবসার অলিখিত লাইসেন্স দেন স্থানীয় নেতা ও থানা পুলিশ। মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান দিয়ে চুনোপুঁটি গ্রেফতার করে দুই এক পিস ইয়াবা দিয়ে হাজতে পাঠায় পুলিশ। মাদক কারবারিরা পিস অনুযায়ী জেল খেটে নির্ধারিত সময় বের হয়ে পুনরায় একই পেশায় নিয়জিত হয়।

জেনেভা ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, চুয়া সেলিম ওরফে সেলিম আশ্রফী ও মিনু ওরফে কসাই মিনু’র নেতৃত্ব জেনেভা ক্যাম্পে একটি সিন্ডিকেট মাদকের হাট চালায়। এদের মধ্যে ব্যবসায়ী হিরন, আজম, ওসি আলম বশির ওরফে মোল্লা বশির, পারভেজ, আলমগীর, বেজি নাদিম, রহমত, বরকত ওরফে কানা বরকত, পেটলা জনি, তানজীর, পুল্লা সাঈদ, দাউদ, পাতু আরমান, রানু, মনু সহ আরো অনেকে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ লোকের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।

এদের বিরুদ্ধে যে সংগঠন বা মানুষ কথা বলে তাঁদের উপর হামলা ও থানা পুলিশ দিয়ে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। তাই অনেকে এই মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে রাজি হন না। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এই মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের নিরাপদে চালিয়ে যাচ্ছে।

সূত্র জানায়, এই সিন্ডিকেটের মাদক ব্যবসা নিয়ে কথা বলার কারণে হামলার স্বীকার হতে হয়েছে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ নামক বাবর রোড অবস্থিত ক্লাবটির কর্মী রাজু। ভাঙ্গচুর করা হয়েছে এই ক্লাবটিকে। তাদের নিরাপদ মাদক ব্যবসার বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে ঐ ক্লাব কমিটি। শুধু ক্লাবে ভাঙ্গচুর করে-ই থেমে নেই মাদক ব্যবসায়ীরা। বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ ক্লাবের সহ-সভাপতি গোলাম কোরাইশীর বাসায় হামলা করে তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে আহত করে এ মাদক ব্যবসায়ীরা।

গোলাম কোরাইশী বলেন, এই মাদক ব্যবসায়ীরা ক্লাব হামলা করে-ই থেমে থাকেন নাই, সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে উল্টো আমাকে মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মূলহোতা বানিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায়। প্রকৃতপক্ষে মুল মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আড়াল করা হয়েছে। সেখানে জেনেভা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান গোলাম জিলানী ভাইকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে জিলানী ভাই কয়েকদিন আগে ষ্টোক করে চিকিৎসাধীন। সাংবাদিকরা জাতির বিবেক, যদি সেই জাতির বিবেক মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে তাহলে মানুষ বিভ্রান্তিতে পরবে। আমি বলবো আরো অনুসন্ধান যারা মাদক ব্যবসায় জড়িত তাঁদের মুখোশ উন্মোচন করা হোক।

উল্লেখ্য, ১১ মার্চ জাতীয় দৈনিকে ”রাজধানীতে বেপরোয়া মাদকচক্র” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। এ সংবাদে অনেক মিথ্যা তথ্য দিয়ে উদ্দেশ্য প্রোদিতভাবে ওই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে জেনেভা ক্যাম্পের অনেকেই জানান।