ঢাকার দোহারে বিদ্যালয় বানিজ্যিক স্পট, শিক্ষা সেখানে পন্য!
- আপডেট সময় : ১১:৪১:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ মার্চ ২০২১ ১৪৫ বার পড়া হয়েছে
ধারাবাহিক প্রতিবেদন-১
আয়েশা সিদ্দিকীঃ শিক্ষকতা একটি মহান পেশা।শিক্ষকের সম্মান শীর্ষস্থানীয়, বাক্য গুলোকে বানী ভেবেই শিক্ষার্থীরা শিক্ষককে পিতৃস্থানে বসায়।
অভিভাবকেরাও নিজ সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে নিশ্চিন্ত থাকেন, আর সেই শিক্ষক নামের রক্ষক যখন ভক্ষক হন তখন শিক্ষার্থীরা পদদলিত হয়।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে যখন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছেন, এবং ঘড়ে ঘড়ে শিক্ষা পৌঁছাতে বিনামূল্যে বই, উপবৃত্তি, ও শিক্ষা ব্যাবস্থাকে সহজ করতে স্কুল, কলেজ, সরকারিকরন করেছেন, যেন অর্থের অভাবে কেউ নিরক্ষর না থাকে, সেখানে এ সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে অসংখ্য শিক্ষক নিজ দ্বায়িত্ব ভুলে শিক্ষকতার আদর্শকে বিসর্জন দিয়ে নিজ স্বার্থ আদায়ে ব্যাস্ত হয়ে পরেছেন। যার ফল ভোগ করেন অসহায় শিক্ষার্থীরা, এতে শিক্ষাগ্রহনে বাধাগ্রস্থ হচ্ছেন হাজারো অসহায় ছেলে মেয়েরা।
সে শিক্ষক নামের ভক্ষকদের তালিকা থেকে ও বাধ পরেননি “জয়পাড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়” এর প্রধান শিক্ষক এস, এম, খালেক ও।
বিদ্যালয়টি সরকারিকরন হবার আগেই তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে ১৯/১০/২০১৫ ইং বিদ্যালয়ে যোগদান করেন,যার (ইনডেক্স নাম্বার ৪৭৪৭৬৫)।
ভুক্তভোগীদের মতে, বিদ্যালয়ে তার প্রথম মিশনই ছিল শিক্ষকদের মধ্য গ্রুপিং তৈরি করা। চাকুরির সুবাদে, সুবিধা বঞ্চিত হবার ভয়ে কিছু সহ—শিক্ষকরা তার দলে যোগদান করেন, এবং তার অনিয়মের বিরুদ্ধে যে সকল শিক্ষকেরা বিরুধীতা করেছেন তাদের মধ্য বিভেদ স্থাপন করে নিজ কার্য আদায়ে ব্যাস্ত সময় পার করেন এস, এ, আব্দুল খালেক। এর ফলে তার অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে তাল মেলাতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের অবহেলা ও অধিকার বঞ্চিত করেন বলে দাবী করেন অভিভাবকেরা।
তার দুর্নীতি ও অনিয়মের তালিকার নিচে পিষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মেধা ও লালিতো স্বপ্ন, পদদলিত হচ্ছে বিদ্যালয়ের সরকারের নির্ধারিত নিয়ম নীতি।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, তার দূর্নীতির তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে আছে, বিদ্যালয় ফান্ডের অর্থ আত্মস্বাৎ ভবন নির্মানে সরকার এর কাছ থেকে আনা অর্থের ও মোটা অংশ গিয়েছে তার পকেটে।রয়েছে বিশেষ ক্লাস, বিনা রশিদে রেজিষ্ট্রেশন ফ্রী , মডেল টেস্ট ও সিলেবাস বিক্রির নামে টাকা আদায়।
শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুমতি ব্যাতিত সরকারি বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষককে যেখানে বহিষ্কার করার এখতিয়ার নেই জেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কিংবা উপজেলা শিক্ষা অফিসারেরও সেখানে, প্রধান শিক্ষকের অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় বিনা নোটিশে সহ-শিক্ষক সামছুউদ্দিনন কে বহিস্কার ও তার বেতন বন্ধ করে দেন অই প্রধান শিক্ষক এস,এম, খালেক।
এছারাও প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে ভয়ংকর সব তথ্য।
.
ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন চলবে………..!