ঢাকা ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo রূপালী ব্যাংকের এমডি ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের প্রভাবশালী নেতা! Logo “আওয়ামী সুবিধাভোগী ৪ কারা কর্মকর্তার কাছে জিম্মি কারা অধিদপ্তর!” Logo পাইকগাছা-কয়রার মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে মাঠে আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo এয়ারপোর্ট এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা সালাউদ্দিন পিয়ারী ইয়াসিন ধরাছোঁয়ার বাইরে! Logo পিরোজপুর-২ আসনে জনগণের জন্য কাজ করতে চান ফকরুল আলম: নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে Logo পাওনা টাকা চাওয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা: নেপথ্যে কসাই পারভেজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ৩৬ জুলাই: যেভাবে প্রতীকী ক্যালেন্ডার হয়ে উঠল জাতীয় প্রতিরোধের হাতিয়ার Logo বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা Logo গণপূর্ত প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান Logo “শতকোটি টাকার দুর্নীতির সাম্রাজ্য: তাপসের ঘনিষ্ট ডিএসসিসির শাহজাহান আলীর ফাঁদে ঢাকা দক্ষিণ সিটি”

স্ত্রী-সন্তানকে বাসস্ট্যান্ডে রেখে পালালেন স্বামী!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৯:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১ ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি;

ময়মনসিংহের নান্দাইল বাসস্ট্যান্ডে ঋতু পর্ণা (২২) নামের এক গৃহবধূকে ফেলে পালিয়েছে স্বামী মোশাররফ।

ঋতু পর্ণা জামালপুর সদর উপজেলার লাহিড়ি কান্দা এলাকার সামছুল হকের মেয়ে। নিরব মিয়া (৪) ও রূপা বেগম (৬ মাস) নামের তাদের দুই সন্তান রয়েছে।

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল উপজেলা সদরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান বলেন, ওই মহিলার (ঋতু পর্ণা) পুলিশে কোনো অভিযোগ করেনি। তবে, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারছি। ঋতু পর্ণা জামালপুর তার বাবার বাড়িতে চলে গেছে।

পুলিশ জানায়, ঋতু পর্ণা ছোট থেকেই ঢাকায় গৃহকর্মী ও গার্মেন্টেসে কাজ করতেন। দশ বছর আগে ঢাকাতেই পরিচয় হয় মোশাররফের সঙ্গে। সেই সূত্রেই মোশাররফের সঙ্গে বিয়ে হয়। কয়েক বছর ঢাকায় থাকার পর বাবার বাড়িতে চলে আসেন ঋতু পর্ণা। স্বামী মোশারফও মাঝে মধ্যে আসতো। এর মধ্যেই তাদের সংসারে নিরব (৪) ও রূপা (৬ মাস) নামে দুই সন্তানের জন্ম নেয়।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্তানের অসুস্থতার কথা বলে টাকা চাইলে মোশারফ দিতে অস্বীকার করে। পরে সন্তানসহ নিজে আত্মহত্যার হুমকি দিলে তাকে ফোনে নান্দাইলে আসার জন্য বলে মোশাররফ।

মোশাররফের কথা মতো বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নান্দাইলে এলে তাকে খোঁজ করে পাওয়া যায়নি। এ সময় তার সঙ্গে থাকা একটি জন্ম নিবন্ধনের ঠিকানা ধরে উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের লংগারপার গ্রামে স্বামীর সন্ধান পান। রাত যাপনের পর শ্বশুরবাড়ি যাবে বলে শুক্রবার ভোরে নিয়ে আসেন নান্দাইল বাসস্ট্যান্ডে। সকালে বাসস্ট্যান্ডে ঋতু পর্ণা ও দুই শিশু সন্তান ফেলে চলে যায় মোশাররফ। এরপর বেশ কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও স্বামীর খোঁজ পাননি। মোবাইলে যোগাযোগ হলে ঋতু পর্ণাকে তার বাবার বাড়িতে চলে যেতে বলেন মোশাররফ। পরে সকাল ১০টার দিকে বাবার বাড়িতে চলে যান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

স্ত্রী-সন্তানকে বাসস্ট্যান্ডে রেখে পালালেন স্বামী!

আপডেট সময় : ১১:১৯:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১

জেলা প্রতিনিধি;

ময়মনসিংহের নান্দাইল বাসস্ট্যান্ডে ঋতু পর্ণা (২২) নামের এক গৃহবধূকে ফেলে পালিয়েছে স্বামী মোশাররফ।

ঋতু পর্ণা জামালপুর সদর উপজেলার লাহিড়ি কান্দা এলাকার সামছুল হকের মেয়ে। নিরব মিয়া (৪) ও রূপা বেগম (৬ মাস) নামের তাদের দুই সন্তান রয়েছে।

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল উপজেলা সদরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান বলেন, ওই মহিলার (ঋতু পর্ণা) পুলিশে কোনো অভিযোগ করেনি। তবে, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারছি। ঋতু পর্ণা জামালপুর তার বাবার বাড়িতে চলে গেছে।

পুলিশ জানায়, ঋতু পর্ণা ছোট থেকেই ঢাকায় গৃহকর্মী ও গার্মেন্টেসে কাজ করতেন। দশ বছর আগে ঢাকাতেই পরিচয় হয় মোশাররফের সঙ্গে। সেই সূত্রেই মোশাররফের সঙ্গে বিয়ে হয়। কয়েক বছর ঢাকায় থাকার পর বাবার বাড়িতে চলে আসেন ঋতু পর্ণা। স্বামী মোশারফও মাঝে মধ্যে আসতো। এর মধ্যেই তাদের সংসারে নিরব (৪) ও রূপা (৬ মাস) নামে দুই সন্তানের জন্ম নেয়।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্তানের অসুস্থতার কথা বলে টাকা চাইলে মোশারফ দিতে অস্বীকার করে। পরে সন্তানসহ নিজে আত্মহত্যার হুমকি দিলে তাকে ফোনে নান্দাইলে আসার জন্য বলে মোশাররফ।

মোশাররফের কথা মতো বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নান্দাইলে এলে তাকে খোঁজ করে পাওয়া যায়নি। এ সময় তার সঙ্গে থাকা একটি জন্ম নিবন্ধনের ঠিকানা ধরে উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের লংগারপার গ্রামে স্বামীর সন্ধান পান। রাত যাপনের পর শ্বশুরবাড়ি যাবে বলে শুক্রবার ভোরে নিয়ে আসেন নান্দাইল বাসস্ট্যান্ডে। সকালে বাসস্ট্যান্ডে ঋতু পর্ণা ও দুই শিশু সন্তান ফেলে চলে যায় মোশাররফ। এরপর বেশ কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও স্বামীর খোঁজ পাননি। মোবাইলে যোগাযোগ হলে ঋতু পর্ণাকে তার বাবার বাড়িতে চলে যেতে বলেন মোশাররফ। পরে সকাল ১০টার দিকে বাবার বাড়িতে চলে যান তিনি।