ঢাকা ০৬:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




পাপুলের সংসদ সদস্য পদ থাকবে কি?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২০:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১ ১৮০ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক;

মানব ও অর্থপাচারের মামলায় লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে চার বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন কুয়েতের আদালত। একই সাথে ১৯ লাখ দিনারও জরিমানাও করা হয়েছে। তবে এখন সকলের মনে একটাই প্রশ্ন এমন অপরাধের দায়ে দন্ড হওয়ার পরও তার সংসদ সদস্য পদ থাকবে কিনা?

আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, সংবিধানে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে ন্যূনতম দুই বছর সাজায় সংসদ সদস্য পদ খারিজ হওয়ার বিধান রয়েছে। সাজা দেশে হবে, না বিদেশে, তা অস্পষ্ট। পাপুলের সাজা হয়েছে চার বছর। ফলে কুয়েতে সাজা হলেও বাংলাদেশের সংসদে পাপুলের পদ খারিজ হবে বলেই মত তাদের। এ জন্য কুয়েতের আদালতের রায়ের অনুলিপি পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সংবিধানে সংসদ সদস্যপদ বাতিল-সংক্রান্ত অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং সংসদ-সদস্য থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি কোনো উপযুক্ত আদালত তাকে অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষণা করেন; তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার পর যদি দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করেন; তিনি কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করেন; তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হন; তিনি যদি প্রজাতন্ত্রের কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকেন; সংসদের অনুমতি ছাড়া তিনি যদি একাদিক্রমে নব্বই দিন অনুপস্থিত থাকেন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




পাপুলের সংসদ সদস্য পদ থাকবে কি?

আপডেট সময় : ১১:২০:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১

অনলাইন ডেস্ক;

মানব ও অর্থপাচারের মামলায় লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে চার বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন কুয়েতের আদালত। একই সাথে ১৯ লাখ দিনারও জরিমানাও করা হয়েছে। তবে এখন সকলের মনে একটাই প্রশ্ন এমন অপরাধের দায়ে দন্ড হওয়ার পরও তার সংসদ সদস্য পদ থাকবে কিনা?

আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, সংবিধানে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে ন্যূনতম দুই বছর সাজায় সংসদ সদস্য পদ খারিজ হওয়ার বিধান রয়েছে। সাজা দেশে হবে, না বিদেশে, তা অস্পষ্ট। পাপুলের সাজা হয়েছে চার বছর। ফলে কুয়েতে সাজা হলেও বাংলাদেশের সংসদে পাপুলের পদ খারিজ হবে বলেই মত তাদের। এ জন্য কুয়েতের আদালতের রায়ের অনুলিপি পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সংবিধানে সংসদ সদস্যপদ বাতিল-সংক্রান্ত অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং সংসদ-সদস্য থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি কোনো উপযুক্ত আদালত তাকে অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষণা করেন; তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার পর যদি দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করেন; তিনি কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করেন; তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হন; তিনি যদি প্রজাতন্ত্রের কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকেন; সংসদের অনুমতি ছাড়া তিনি যদি একাদিক্রমে নব্বই দিন অনুপস্থিত থাকেন।’