বন্ধুদের দিয়ে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করালেন স্বামী!
- আপডেট সময় : ০২:৪৬:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১ ১৪৬ বার পড়া হয়েছে
অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর কদমতলী থানাধীন ধোলাইপাড়ে ভাড়া বাসায় থাকেন এক নারী। স্বামীর বন্ধু কালুর ফোন কলে খিলগাঁওয়ের ২৩৮/সি, আশ্রয় ভিলা, উত্তর গোড়ানের বাসায় গিয়েছিলেন। স্বামী আইয়ুব আলী খিলগাঁওয়ের ওই বাসাতেই থাকেন, তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে। অন্যদিকে ভুক্তভোগী নারীর গ্রামের বাড়ি গাজীপুরে।
সরল বিশ্বাসে এবং স্বামীর সাথে চলমান মামলার বিরোধ সমাধানের আশায় খিলাগাঁওয়ের বাসায় গিয়েছিলেন স্ত্রী সী.. বেগম (২৫)। যেখানে স্বামী আইয়ুব আলী (৫০), স্বামীর বন্ধু কালুসহ অন্যান্য বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন, এবং এক পর্যায়ে স্বামীর উপস্থিতিতেই তারা ধর্ষণ করে। ঠিক এভাবেই সংশ্লিষ্ট মামলার এজহারে অভিযোগ উল্লেখ করেছেন ওই নারী।
তিনি রোববার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে বলে জানা গেছে। মামলার আসামিরা হলেন- মো. কালু (৩৫) , সনজিব কুমার দাস (৩৭), মাকছুদুর রহমান (৫০), আজিজুর রহমান (৪২), মো. জাহাঙ্গীর (৩৫) এবং স্বামী আইয়ুব আলী (৫০)।
ওই স্ত্রী তার এজহারে উল্লেখ করেন, স্বামীর সঙ্গে তার সাংসারিক বিরোধসহ মামলা মোকদ্দমা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বামী তার বন্ধু কালুর মাধ্যমে গত ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬ টায় চলমান বিরোধ ও মামলার বিষয়ে আলোচনার জন্য খিলগাঁওয়ে যেতে তাকে খবর পাঠান। ওই বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, স্বামী, তার বন্ধু কালুসহ উল্লেখ্য আসামিরা উপস্থিত রয়েছেন।
উপস্থিত আসামিরা চলমান সাংসারিক বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমার বিষয়ে কথাবার্তা বলতে থাকেন। তাদের কথাবার্তা ওই নারীর মনমতো না হওয়ায় তিনি সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় চলে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই সময়েই তার স্বামীর নির্দেশে আসামিরা একই ভবনের ৫ তলায় নিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মেঝেতে ফেলে বিবস্ত্র করে। এরপরেই স্বামীর সহায়তায় ওই নারীকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে তারা।
ওই নারী স্পষ্ট উল্লেখ করেন, ‘পর্যায়ক্রমে আমার স্বামী ব্যতীত সকল আসামিরা আমাকে ধর্ষণ করে
আনুমানিক রাত ১০ টার দিকে স্বামীসহ অন্যান্য আসামিরা ওই নারীকে বিভিন্ন ধরণের ভয় দেখিয়ে ৫ তলা থেকে নিচে নামিয়ে দেয়। পরে সেখান থেকে তিনি কোন রকমে যাত্রাবাড়ীস্থ খালার বাড়িতে চলে যান। খালাকে ঘটনা খুলে বলার পর শারীরিকভাবে অসুস্থতা বোধ করায় খালা তাকে চিকিৎসার জন্য খালাতো ভাই আবুলের মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
ওই সময়ে ঢাকা মেডিকেলে দায়িত্বরত পুলিশ ঘটনাটি জেনে তাকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করায়। চিকিৎসা শেষে ১৬ জানুয়ারি (শনিবার) তাকে ওসিসি থেকে ছাড়পত্র দিয়ে বিদায় জানান চিকিৎসকরা।
ওই নারী এজহারে উল্লেখ করেন, ‘আমি সকল আসামিদেরকে চিনি, তারা আমার স্বামীর বন্ধু বান্ধব।’
এ বিষয়ে খিলগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফারুকুল আলম বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারায় ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। ভিক্টিমের মেডিকেল টেস্ট করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঘটনার সত্যতা মামলা তদন্ত করলেই বের হয়ে আসবে। মামলার মূল আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। তবে এই ঘটনায় খিলগাঁওয়ে ওই বাসা থেকে ৩ নারীকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।