ঢাকা ০৫:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




নরসিংদী পৌর নির্বাচন: ৪ বিদ্রোহী প্রার্থী আ.লীগের ঘরে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২২:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১ ১০৬ বার পড়া হয়েছে

আসন্ন চতুর্থ ধাপে নরসিংদী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন চারজন। তারা হলেন- এস এম কাইয়ুম, আশরাফ হোসেন সরকার, মোন্তাজ উদ্দিন ভুইয়া, রিপন সরকার।

রোববার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন নরসিংদী জেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়ন জমা দেন প্রার্থীরা।

এদিকে নরসিংদী পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বাচ্চু। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. হারুন অর রশিদ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আসাদুল হক।

নেতাকর্মীরা জানায়, নরসিংদী পৌর নির্বাচনে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তারা চার জনই নরসিংদী সদরের এমপি নজরুল ইসলাম হিরুর সমর্থক। তাদের মধ্যে এসএম কাইয়ুম এর আগে আরো ২ বার নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন।

প্রথমবার রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হয়। এরপর সে গত নরসিংদী পৌরসভা নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।

এবারো এসএম কাইয়ুম নরসিংদী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এই চার বিদ্রোহী প্রার্থীর আরেকজন মোন্তাজ উদ্দিন ভূইয়া ২০১২ সালে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়। কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়। আশরাফ হোসেন সরকার নরসিংদীর জনপ্রিয় পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন হত্যা মামলার চার্জশীটভুক্ত এবং ১৬৪ ধারায় সীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়া আসামি।

নেতাকর্মীরা আরো জানায়, নরসিংদী পৌরসভা নির্বাচনে প্রথমে নৌকা প্রতীক পান স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম হিরুর সমর্থক আশরাফ হোসেন সরকার। সে নরসিংদীর জনপ্রিয় মেয়র লোকমান হোসেন হত্যা মামলার চার্জশীটভুক্ত ও ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া আসামি হওয়ায় জেলাজুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। শুরু হয় মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি। এর পরদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশরাফ হোসেন সরকারের মনোনয়ন বাতিল করে নরসিংদী শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বাচ্চুকে মনোনয়ন প্রদান করেন।

এখন এই ৪ জনই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে যেখানে বলেছেন, যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি এসব বিদ্রোহী প্রার্থীদের এসব এমপিরা মাদদ দিবেন। তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেখানে নেত্রীর আদেশ অমান্য করে তারা নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হবার সাহস কোথায় পায়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিএম তালেব হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা মানে জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে অমান্য করা। যারা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদের বিরুদ্ধে দল থেকে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

১৯ জানুয়ারি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই ও ২৬ জানুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




নরসিংদী পৌর নির্বাচন: ৪ বিদ্রোহী প্রার্থী আ.লীগের ঘরে

আপডেট সময় : ১২:২২:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১

আসন্ন চতুর্থ ধাপে নরসিংদী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন চারজন। তারা হলেন- এস এম কাইয়ুম, আশরাফ হোসেন সরকার, মোন্তাজ উদ্দিন ভুইয়া, রিপন সরকার।

রোববার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন নরসিংদী জেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়ন জমা দেন প্রার্থীরা।

এদিকে নরসিংদী পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বাচ্চু। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. হারুন অর রশিদ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আসাদুল হক।

নেতাকর্মীরা জানায়, নরসিংদী পৌর নির্বাচনে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তারা চার জনই নরসিংদী সদরের এমপি নজরুল ইসলাম হিরুর সমর্থক। তাদের মধ্যে এসএম কাইয়ুম এর আগে আরো ২ বার নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন।

প্রথমবার রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হয়। এরপর সে গত নরসিংদী পৌরসভা নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।

এবারো এসএম কাইয়ুম নরসিংদী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এই চার বিদ্রোহী প্রার্থীর আরেকজন মোন্তাজ উদ্দিন ভূইয়া ২০১২ সালে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়। কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়। আশরাফ হোসেন সরকার নরসিংদীর জনপ্রিয় পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন হত্যা মামলার চার্জশীটভুক্ত এবং ১৬৪ ধারায় সীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়া আসামি।

নেতাকর্মীরা আরো জানায়, নরসিংদী পৌরসভা নির্বাচনে প্রথমে নৌকা প্রতীক পান স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম হিরুর সমর্থক আশরাফ হোসেন সরকার। সে নরসিংদীর জনপ্রিয় মেয়র লোকমান হোসেন হত্যা মামলার চার্জশীটভুক্ত ও ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া আসামি হওয়ায় জেলাজুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। শুরু হয় মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি। এর পরদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশরাফ হোসেন সরকারের মনোনয়ন বাতিল করে নরসিংদী শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বাচ্চুকে মনোনয়ন প্রদান করেন।

এখন এই ৪ জনই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে যেখানে বলেছেন, যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি এসব বিদ্রোহী প্রার্থীদের এসব এমপিরা মাদদ দিবেন। তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেখানে নেত্রীর আদেশ অমান্য করে তারা নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হবার সাহস কোথায় পায়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিএম তালেব হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা মানে জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে অমান্য করা। যারা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদের বিরুদ্ধে দল থেকে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

১৯ জানুয়ারি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই ও ২৬ জানুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার।