ভাঙনের মুখে ঐতিহ্যবাহী ছাত্র ইউনিয়ন
- আপডেট সময় : ১১:৩৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১ ১২৮ বার পড়া হয়েছে
প্রায় ৬ দশক পর ভাঙনের মুখে দেশের ঐতিহ্যবাহী বাম ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন। কমিটির মেয়াদ ২ মাস না পেরুতেই আলাদা সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটির একাংশ। গঠন করা হয়েছে ১৫ সদস্যের ‘সম্মেলন প্রস্তুতি সমন্বয় পরিষদ। তবে সংগঠনটির বতর্মান সভাপতি বলছে, কেন্দ্রীয় কমিটিকে না জানিয়ে এমন উদ্যোগ গ্রহণযোগ্য নয়।
ছাত্র ইউনিয়নের দীর্ঘ ৬৮ বছর বন্ধুর পথ পরিক্রমায় ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছয় দফা, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ-প্রতিটি আন্দোলনে এ সংগঠনের নাম জড়িয়ে আছে। এমনকি সাম্প্রতিক ছাত্র স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল আন্দোলনে সামনের সারি থেকে ছাত্র ইউনিয়ন নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে।
তবে ৬ দশক পর আবারও ভাঙ্গনের সুর বেজে উঠেছে বামপন্থি ছাত্র সংগঠনটিতে। গত বছরের ১৯ নভেম্বর ৪০তম জাতীয় সম্মেলনে নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্র ইউনিয়নের ৪১ সদস্যের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন হয়। তবে সংগঠনের একাংশের দাবি, ওই সম্মেলনে একাধিক গঠনতান্ত্রিক ব্যত্যয় ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক চর্চা বিনষ্ট করা হয়েছে।
বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মিখা পিরেগু জানান, প্রায় মোট প্রতিনিধির অর্ধেক প্রতিনিধি সভাপতির কাছে নতুন করে কমিটি দাবি করে চিঠি দিলেও কোন জবাব দেননি সভাপতি। সভাপতি প্রতিনিধিদের এই দাবিকে বাতিল করে দেয়।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ বলছেন, অভ্যন্তরীণ বিষয় অভ্যন্তরীণ ভাবেই সমাধান করা হবে। এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না বলেও জানান তিনি।
গত ১৩ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে সংগঠনটির একাংশ প্রতিনিধি সভা করে। সভায় ৪১তম জাতীয় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে।
মিখা পিরেগু আরও জানান, ৪১তম জাতীয় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্মেলন সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য একটি সমন্নয় কমিটিও গঠন করা হয়েছে। যারা আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয় সম্মেলনের পরিকল্পনার করা জানাবেন।
আর ফয়েজ উল্লাহ বলছেন, জাতীয় কমিটি ও কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমতি ব্যতিত কেউ সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করতে পারে না। তবে কোন কর্মী যদি কেন্দ্রের সাথে যুক্ত থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে আমরা সংঘঠনের পক্ষ থেকে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
রাশিয়া না চীন-এই বিরোধে ছাত্র ইউনিয়নে এর আগে ভাঙন দেখা দেয় পাকিস্তান আমলে। সে সময়ের সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক মতিয়া চৌধুরীর নেতৃত্বে দুই ভাগ হয় ছাত্র ইউনিয়ন।