ঢাকা ০১:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




মসজিদের ভেতর হেফাজতের আমির লাঞ্ছিত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৮:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ নভেম্বর ২০১৮ ১৯৫ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি;নারায়ণগঞ্জে একটি মসজিদে তাবলীগ জামায়াতের কর্তৃত্ব নিয়ে দুই গ্রুপের বিরোধের জের ধরে হাতাহাতির ঘটনাসহ জেলা হেফাজতের আমির মাওলানা আব্দুল আউয়ালকে লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হেফাজতের অন্য নেতাদের উপরও হামলার ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার রাতে শহরের আমলাপাড়া মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হেফাজতের পক্ষে মুফতি আনিস আনসারি বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছেন।

সূত্রমতে জানা গেছে, গত এক বছর ধরে তাবলীগ জামায়াতের ভেতরে অস্থিরতা বিরাজ করছিল। একটি গ্রুপ মার্কাজপন্থী ভারতের আলোচিত বির্তকিত সাদ কান্ধলভীকে অনুসরণ করছেন। আরেকটি গ্রুপে তার বিরোধিতা করেছিলেন বাংলাদেশে হেফাজতের নেতৃত্বদানকারী আলেমরা। আর নারায়ণগঞ্জের হেফাজতপন্থীরা সাদকে বিরোধিতা করে মার্কাজ দখল করতে চাচ্ছেন।

এসবের জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছোট মার্কাজ হিসেবে পরিচিত শহরের আমলাপাড়া মসজিদে দুই গ্রুপ অবস্থান নেয়। আর মাগরিবের নামাজের সময় অবস্থান নেন জেলা হেফাজতের আমির মাওলানা আব্দুল আউয়ালসহ অন্যরা। মসজিদে মাওলানা আউয়াল সাপ্তাহিক বয়ান করতে চাইলে সাদ পন্থীরা বাধা দেন। এতে সাদ পন্থী ও হেফাজত পন্থীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

পরে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সাপ্তাহিক বয়ান শুরু করেন আমলাপাড়া মসজিদের ইমাম মাওলানা খোরশেদ। তিনি এশার নামাজের আগ পর্যন্ত বয়ান করেন। মাওলানা আউয়ালকে বয়ান করতে দেয়া হয়নি।

এক পর্যায়ে মাওলানা আউয়াল ফের বয়ান করতে চাইলে সাদ পন্থীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। মাওলানা আউয়ালের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান তারা। এসময় দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে সাদ পন্থীদের হাতে মাওলানা আউয়াল লাঞ্ছিত হন।

এদিকে এশার নামাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাদ পন্থীদের কথামতো পুলিশ মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে মাওলানা আউয়ালসহ তার সঙ্গীদের বের করে দেয় বলেও জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মসজিদের ভেতর হেফাজতের আমির লাঞ্ছিত

আপডেট সময় : ০৩:৩৮:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ নভেম্বর ২০১৮

জেলা প্রতিনিধি;নারায়ণগঞ্জে একটি মসজিদে তাবলীগ জামায়াতের কর্তৃত্ব নিয়ে দুই গ্রুপের বিরোধের জের ধরে হাতাহাতির ঘটনাসহ জেলা হেফাজতের আমির মাওলানা আব্দুল আউয়ালকে লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হেফাজতের অন্য নেতাদের উপরও হামলার ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার রাতে শহরের আমলাপাড়া মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হেফাজতের পক্ষে মুফতি আনিস আনসারি বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছেন।

সূত্রমতে জানা গেছে, গত এক বছর ধরে তাবলীগ জামায়াতের ভেতরে অস্থিরতা বিরাজ করছিল। একটি গ্রুপ মার্কাজপন্থী ভারতের আলোচিত বির্তকিত সাদ কান্ধলভীকে অনুসরণ করছেন। আরেকটি গ্রুপে তার বিরোধিতা করেছিলেন বাংলাদেশে হেফাজতের নেতৃত্বদানকারী আলেমরা। আর নারায়ণগঞ্জের হেফাজতপন্থীরা সাদকে বিরোধিতা করে মার্কাজ দখল করতে চাচ্ছেন।

এসবের জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছোট মার্কাজ হিসেবে পরিচিত শহরের আমলাপাড়া মসজিদে দুই গ্রুপ অবস্থান নেয়। আর মাগরিবের নামাজের সময় অবস্থান নেন জেলা হেফাজতের আমির মাওলানা আব্দুল আউয়ালসহ অন্যরা। মসজিদে মাওলানা আউয়াল সাপ্তাহিক বয়ান করতে চাইলে সাদ পন্থীরা বাধা দেন। এতে সাদ পন্থী ও হেফাজত পন্থীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

পরে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সাপ্তাহিক বয়ান শুরু করেন আমলাপাড়া মসজিদের ইমাম মাওলানা খোরশেদ। তিনি এশার নামাজের আগ পর্যন্ত বয়ান করেন। মাওলানা আউয়ালকে বয়ান করতে দেয়া হয়নি।

এক পর্যায়ে মাওলানা আউয়াল ফের বয়ান করতে চাইলে সাদ পন্থীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। মাওলানা আউয়ালের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান তারা। এসময় দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে সাদ পন্থীদের হাতে মাওলানা আউয়াল লাঞ্ছিত হন।

এদিকে এশার নামাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাদ পন্থীদের কথামতো পুলিশ মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে মাওলানা আউয়ালসহ তার সঙ্গীদের বের করে দেয় বলেও জানা গেছে।