ঢাকা ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo রূপালী ব্যাংকের এমডি ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের প্রভাবশালী নেতা! Logo “আওয়ামী সুবিধাভোগী ৪ কারা কর্মকর্তার কাছে জিম্মি কারা অধিদপ্তর!” Logo পাইকগাছা-কয়রার মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে মাঠে আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo এয়ারপোর্ট এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা সালাউদ্দিন পিয়ারী ইয়াসিন ধরাছোঁয়ার বাইরে! Logo পিরোজপুর-২ আসনে জনগণের জন্য কাজ করতে চান ফকরুল আলম: নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে Logo পাওনা টাকা চাওয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা: নেপথ্যে কসাই পারভেজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ৩৬ জুলাই: যেভাবে প্রতীকী ক্যালেন্ডার হয়ে উঠল জাতীয় প্রতিরোধের হাতিয়ার Logo বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা Logo গণপূর্ত প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান Logo “শতকোটি টাকার দুর্নীতির সাম্রাজ্য: তাপসের ঘনিষ্ট ডিএসসিসির শাহজাহান আলীর ফাঁদে ঢাকা দক্ষিণ সিটি”

পতেঙ্গার ইয়াবা সম্রাট আবছারের কাউন্সিলর হওয়ার স্বপ্ন!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০২১ ১৯২ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিবেদক : ছিলেন নৌকার মাঝি। কিন্তু তার ভাগ্য খুলে যায় ইয়াবা ব্যবসায়ীর সাথে পরিচত হওয়ার পর। ধীরে ধীরে হয়ে উঠেন শত কোটি টাকার মালিক। টাকার বিনিময় বাগিয়ে নেন প্রভাবশালী দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ। দিনে দিনে প্রভাব বিস্তার করেন স্থানীয় রাজনীতিতে। তার কোনো বৈধ ব্যবসা না থাকলেও রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যান। মূলত ইয়াবার টাকায় সম্পদশালী হয়ে ওঠেন পতেঙ্গার খেয়া ঘাটের মাঝি নুরুল আবছার।

স্থানীয় মাদক সিন্ডিকেটের প্রধান ইয়াবা ব্যাবসার সম্রাট জাফরের ইয়াবা পরিবহন করতেন মাঝি নুরুল আবছার। এক সময় জাহাজ থেকে বিদেশি মদ সংগ্রহ করে বিক্রিও শুরু করেন । আনোয়ারা, কর্ণফুলী এলাকা দিয়ে আবছার তার মদ ও মাদক বেচাকেনা করতেন। ২০১৫ সালে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যাওয়ার পর ইয়াবা ব্যবসায়ী জাফরের ইয়াবা সাম্রাজ্য ধরে রেখেছিলেন নুরুল আবছার। তখন থেকেই সম্পদে ফুলে ফেঁপে ওঠেতে থাকেন তিনি।

ইয়াবা ও চোরাচালান এর টাকায় হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। মোটা অংকের টাকা দিয়ে বাগিয়ে নিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের পদও। অবৈধ অর্থের দাপটে প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন সরকারি দলের রাজনীতিতে। ক্রমান্বয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির ধর্ম বিষয়ক সদস্য পথ বাগিয়ে নেন কোটি টাকার বিনিময়। পরবর্তীতে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি নুরুল আবছারকে ওই পদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। স্থানীয় ত্যাগী নেতাদের অভিযোগ আফসার তার অবৈধ টাকার বিনিময় রাজনীতিকে মাদকব্যবসার ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতেন তার টাকার প্রভাবে দলের ত্যাগী নেতারা কোণঠাসা হয়ে থাকতেন। মিডিয়ার প্রভাব বাড়াতে অসংখ্য সংবাদমাধ্যমে অর্থ সহায়তা দিয়ে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন বলেও জানা গেছে।

পতেঙ্গা এলাকায় মাদকের প্রকাশ্য গডফাদার হলেও তিনি বরাবরই ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। টাটা কার প্রভাবের কাছে থানা পুলিশও জেনো অসহায়। ২০১৮ সালে পতেঙ্গা থানা পুলিশ ৪০ বোতল বিদেশি মদসহ নুরুল আবছারকে হাতেনাতে ধরলেও পরে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে উল্টো পুলিশ সদস্যদের হয়রানি করতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে সেই মামলা তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

দুদকের তদন্তে নুরুল আবছারের মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হয়। দুদকের প্রতিবেদনে নুরুল আবছারের মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। পরে মিথ্যা অভিযোগ করায় নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে দুদক বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে। তার অবৈধ টাকা ও মামলার ভয়ে কোনো গণমাধ্যম সংবাদ প্রচার করতেও কুন্ঠিত থাকে।

২০১৮ সালের ৩ জুন পতেঙ্গা নেভাল রোডের চাইনিজ ঘাটের সামনে থেকে একটি বস্তাসহ নুরুল আবছারকে গ্রেফতার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। বস্তায় ৪০ বোতল বিদেশি মদ পাওয়া যায়। পরে এ ঘটনায় পুলিশ নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এ মামলায় পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। মামলাটি বর্তমানে যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

২০১৮ সালের ১ নভেম্বর পুলিশ ৬০০ পিস ইয়াবাসহ আদিল খান নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। সেই মামলার এজাহারে নাম রয়েছে নুরুল আবছারের। আদিল খান নুরুল আবছারের কাছ থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে রাজু নামে আরেকজনের কাছে বিক্রি করতে নিয়ে যাচ্ছিল বলে তখন পুলিশকে জানায়।

পুলিশের তালিকায় থাকা মাদক ব্যবসায়ী নুরুল আবছার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরমও কিনেছিলেন। কিন্তু দল থেকে বহিষ্কৃত নুরুল আবছারকে দলীয় সমর্থন দেয়নি আওয়ামী লীগ। দলীয় সমর্থন না পেলেও নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নুরুল আবছার।

অলিতে গলিতে চায়ের দোকানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ইয়াবা ব্যবসায়ি নূরুল আবছার ৪১নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানা এলাকার ৪১নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে নুরুল আবছার (প্রকাশ-ইয়াবা আবছার) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের খবরে বিষয়টি এলাকার মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, পতেঙ্গা কেন্দ্রিক শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মধ্যে নুরুল আবছার প্রথম সারির একজন ব্যবসায়ী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইয়াবার গডফাদারদের তালিকায় প্রথম সারিতে রয়েছে তার নাম।

তারা বলছেন, আবছার কে যদি না দমানো যায়। ইয়াবা ব্যবসা নির্মূল করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। কেননা এই অঞ্চলের অধিকাংশ ইয়াবা চালান তার হাত ধরে আসে। তার নিয়ন্ত্রণেই পতেঙ্গা থেকে ইয়াবা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে।পতেঙ্গা এলাকার মাদকের গডফাদার হলেও ধরা ছোয়ার বাইরে আবছার।

এই সব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে নুরুল আবছারের ব্যবহৃত একাধিক নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সংবাদ এর বক্তব্য জানতে চাইলে কল কেটে দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পতেঙ্গার ইয়াবা সম্রাট আবছারের কাউন্সিলর হওয়ার স্বপ্ন!

আপডেট সময় : ১০:৫৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০২১

বিশেষ প্রতিবেদক : ছিলেন নৌকার মাঝি। কিন্তু তার ভাগ্য খুলে যায় ইয়াবা ব্যবসায়ীর সাথে পরিচত হওয়ার পর। ধীরে ধীরে হয়ে উঠেন শত কোটি টাকার মালিক। টাকার বিনিময় বাগিয়ে নেন প্রভাবশালী দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ। দিনে দিনে প্রভাব বিস্তার করেন স্থানীয় রাজনীতিতে। তার কোনো বৈধ ব্যবসা না থাকলেও রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যান। মূলত ইয়াবার টাকায় সম্পদশালী হয়ে ওঠেন পতেঙ্গার খেয়া ঘাটের মাঝি নুরুল আবছার।

স্থানীয় মাদক সিন্ডিকেটের প্রধান ইয়াবা ব্যাবসার সম্রাট জাফরের ইয়াবা পরিবহন করতেন মাঝি নুরুল আবছার। এক সময় জাহাজ থেকে বিদেশি মদ সংগ্রহ করে বিক্রিও শুরু করেন । আনোয়ারা, কর্ণফুলী এলাকা দিয়ে আবছার তার মদ ও মাদক বেচাকেনা করতেন। ২০১৫ সালে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যাওয়ার পর ইয়াবা ব্যবসায়ী জাফরের ইয়াবা সাম্রাজ্য ধরে রেখেছিলেন নুরুল আবছার। তখন থেকেই সম্পদে ফুলে ফেঁপে ওঠেতে থাকেন তিনি।

ইয়াবা ও চোরাচালান এর টাকায় হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। মোটা অংকের টাকা দিয়ে বাগিয়ে নিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের পদও। অবৈধ অর্থের দাপটে প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন সরকারি দলের রাজনীতিতে। ক্রমান্বয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির ধর্ম বিষয়ক সদস্য পথ বাগিয়ে নেন কোটি টাকার বিনিময়। পরবর্তীতে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি নুরুল আবছারকে ওই পদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। স্থানীয় ত্যাগী নেতাদের অভিযোগ আফসার তার অবৈধ টাকার বিনিময় রাজনীতিকে মাদকব্যবসার ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতেন তার টাকার প্রভাবে দলের ত্যাগী নেতারা কোণঠাসা হয়ে থাকতেন। মিডিয়ার প্রভাব বাড়াতে অসংখ্য সংবাদমাধ্যমে অর্থ সহায়তা দিয়ে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন বলেও জানা গেছে।

পতেঙ্গা এলাকায় মাদকের প্রকাশ্য গডফাদার হলেও তিনি বরাবরই ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। টাটা কার প্রভাবের কাছে থানা পুলিশও জেনো অসহায়। ২০১৮ সালে পতেঙ্গা থানা পুলিশ ৪০ বোতল বিদেশি মদসহ নুরুল আবছারকে হাতেনাতে ধরলেও পরে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে উল্টো পুলিশ সদস্যদের হয়রানি করতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে সেই মামলা তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

দুদকের তদন্তে নুরুল আবছারের মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হয়। দুদকের প্রতিবেদনে নুরুল আবছারের মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। পরে মিথ্যা অভিযোগ করায় নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে দুদক বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে। তার অবৈধ টাকা ও মামলার ভয়ে কোনো গণমাধ্যম সংবাদ প্রচার করতেও কুন্ঠিত থাকে।

২০১৮ সালের ৩ জুন পতেঙ্গা নেভাল রোডের চাইনিজ ঘাটের সামনে থেকে একটি বস্তাসহ নুরুল আবছারকে গ্রেফতার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। বস্তায় ৪০ বোতল বিদেশি মদ পাওয়া যায়। পরে এ ঘটনায় পুলিশ নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এ মামলায় পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। মামলাটি বর্তমানে যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

২০১৮ সালের ১ নভেম্বর পুলিশ ৬০০ পিস ইয়াবাসহ আদিল খান নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। সেই মামলার এজাহারে নাম রয়েছে নুরুল আবছারের। আদিল খান নুরুল আবছারের কাছ থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে রাজু নামে আরেকজনের কাছে বিক্রি করতে নিয়ে যাচ্ছিল বলে তখন পুলিশকে জানায়।

পুলিশের তালিকায় থাকা মাদক ব্যবসায়ী নুরুল আবছার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরমও কিনেছিলেন। কিন্তু দল থেকে বহিষ্কৃত নুরুল আবছারকে দলীয় সমর্থন দেয়নি আওয়ামী লীগ। দলীয় সমর্থন না পেলেও নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নুরুল আবছার।

অলিতে গলিতে চায়ের দোকানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ইয়াবা ব্যবসায়ি নূরুল আবছার ৪১নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানা এলাকার ৪১নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে নুরুল আবছার (প্রকাশ-ইয়াবা আবছার) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের খবরে বিষয়টি এলাকার মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, পতেঙ্গা কেন্দ্রিক শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মধ্যে নুরুল আবছার প্রথম সারির একজন ব্যবসায়ী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইয়াবার গডফাদারদের তালিকায় প্রথম সারিতে রয়েছে তার নাম।

তারা বলছেন, আবছার কে যদি না দমানো যায়। ইয়াবা ব্যবসা নির্মূল করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। কেননা এই অঞ্চলের অধিকাংশ ইয়াবা চালান তার হাত ধরে আসে। তার নিয়ন্ত্রণেই পতেঙ্গা থেকে ইয়াবা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে।পতেঙ্গা এলাকার মাদকের গডফাদার হলেও ধরা ছোয়ার বাইরে আবছার।

এই সব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে নুরুল আবছারের ব্যবহৃত একাধিক নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সংবাদ এর বক্তব্য জানতে চাইলে কল কেটে দেন।