তথ্য গোপন করে প্রার্থী হলেন পরোয়ানাভুক্ত আসামি
- আপডেট সময় : ১১:১৭:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জানুয়ারী ২০২১ ১৫৪ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে তথ্য গোপন করে ২নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন একাধিক মামলার আসামি বিএনপি নেতা নুরুল আম্বিয়া চৌধুরী জামিল। তিনি বর্তমান কাউন্সিলর ও মাদক মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি। তবে নির্বাচনী হলফনামায় জামিল মাত্র পাঁচটি মামলার কথা উল্লেখ করেছেন।
মাদক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিসহ বাকি মামলার তথ্যগুলো গোপন করেছেন তিনি। এ নিয়ে পৌর এলাকায় চলছে তোলপাড়। এছাড়া মাদক মামলার পলাতক আসামি হয়েও কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে প্রকাশ্যে প্রচারণা চালানোয় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে।
জানা গেছে, পৌরসভা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ৩০ জানুয়ারি সিলেটের গোলাপগঞ্জে অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে মেয়র পদে চার, সাধারণ কাউন্সিলর ৪৫ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছে জেলা নির্বাচন কমিশন।
এর মধ্যে রয়েছেন ২নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও উপজেলা বিএনপির সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আম্বিয়া চৌধুরী জামিল। তিনি একাধিক মামলার আসামি। এর মধ্যে বেশিরভাগ মামলা বিচরাধীন এবং মাদকের এক মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি।
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানায় করা মাদক মামলায় গত ফেব্রুয়ারি পুলিশের দেয়া চার্জশিটের ৫নং আসামি গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার ফুলবাড়ি পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত আখলাকুল আম্বিয়া চৌধুরীর ছেলে নুরুল আম্বিয়া চৌধুরী জামিল। চার্জশিটে তাকে পলাতক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলায় জামিল দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেন আদালত। তিনি বর্তমানে ওই মামলায় পলাতক আসামি।
গোলাপগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গেছে, জামিলের গ্রেফতারি পরোয়ানাটি ইতিমধ্যে গোলাপগঞ্জ থানায় পৌঁছেছে। তবে গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে এখনও অবগত নই। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে ওয়ারেন্ট গোলাপগঞ্জ থানায় এসেছে কি-না।
হলনফনামায় তথ্য গোপনের বিষয়ে সিলেট জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বলেন, কোনো প্রার্থীই তাদের মামলা সংক্রান্ত তথ্য হলনফনামায় গোপন করতে পারেন না। বিষয়টি প্রমাণিত হলে প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে। তবে এ বিষয়ে কিছু নিয়ম আছে। মনোনয়ন বাছাইয়ের শেষ তারিখের পর তিন দিনের সময় দেয়া হয় আপিলের জন্য। এই তিন দিনের ভেতরে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অভিযুক্ত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট নিয়মে জেলা প্রশাসনের আপিল বিভাগে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।
তিনি বলেন, নুরুল আম্বিয়া চৌধুরী জামিলের তথ্য গোপনের বিষয়টি তিনদিনের মধ্যে কেউ আমাদের জানায়নি। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
হলনামায় তথ্য গোপনের বিষয়টি স্বীকার করে নুরুল আম্বিয়া চৌধুরী জামিল বলেন, ‘হলফনামা দাখিলের আগে মামলার বিষয়টি জানতাম না। পরে জানতে পেরেছি।’
গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালতে জামিন আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে।’