ঢাকা ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণ, ঘরজামাই গ্রেফতার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১২:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জানুয়ারী ২০২১ ৯৭ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক;

বগুড়ার শিবগঞ্জে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী বিধবা নারী (২৫) ধর্ষণের শিকার হয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ঘরজামাই বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

অভিযুক্ত বাদল বাদল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাশাবাড়ি গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলায় বিয়ে করে ঘরজামাই থাকতেন।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বলেন, মামলার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফ্তারে চেষ্টা চলছে।

এর আগে বুধবার রাতে শিবগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা। মামলায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম জাহিদুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। অন্য দুইজনের নাম গ্রেফতারের পর জানানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ধর্ষণের শিকার ওই নারীর মা বলেন, আমি থানায় অভিযোগ দেয়ার পর থেকেই ইউপি সদস্য জাহিদুল ও তার লোকজন আমাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

ঘটনার এতদিন পরে মামলা করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কাউকে কিছু বললে আমাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছিল বাদল।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবন্ধী ওই বিধবার সাত বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের সাড়ে পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করলেও দেড় বছর আগে হঠাৎ করেই তার স্বামী মারা যান। এরপর থেকেই ওই নারী দুই সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন।

এমন সময় হঠাৎ তার ওপর এলাকার ঘরজামাই বাদল মিয়ার কুনজর পড়ে। এর আগেও বাদল একাধিক বিয়ে করেছের। বাদলের বর্তমান স্ত্রী বগুড়া শহরে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় একাই থাকতেন বাদল। মাঝে মধ্যে তিনি ওই বিধবা প্রতিবন্ধী নারীর বাড়িতে যাতায়াত করতেন। এর মধ্যে বাদল ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রায়ই তাকে ধর্ষণ করতেন।

এর একপর্যায়ে প্রতিবন্ধী নারী অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়লে কৌশলে পালিয়ে যান বাদল। পরে প্রতিবন্ধীর মা বাদী হয়ে ইউপি সদস্যসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণ, ঘরজামাই গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৩:১২:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জানুয়ারী ২০২১

অনলাইন ডেস্ক;

বগুড়ার শিবগঞ্জে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী বিধবা নারী (২৫) ধর্ষণের শিকার হয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ঘরজামাই বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

অভিযুক্ত বাদল বাদল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাশাবাড়ি গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলায় বিয়ে করে ঘরজামাই থাকতেন।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বলেন, মামলার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফ্তারে চেষ্টা চলছে।

এর আগে বুধবার রাতে শিবগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা। মামলায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম জাহিদুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। অন্য দুইজনের নাম গ্রেফতারের পর জানানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ধর্ষণের শিকার ওই নারীর মা বলেন, আমি থানায় অভিযোগ দেয়ার পর থেকেই ইউপি সদস্য জাহিদুল ও তার লোকজন আমাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

ঘটনার এতদিন পরে মামলা করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কাউকে কিছু বললে আমাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছিল বাদল।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবন্ধী ওই বিধবার সাত বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের সাড়ে পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করলেও দেড় বছর আগে হঠাৎ করেই তার স্বামী মারা যান। এরপর থেকেই ওই নারী দুই সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন।

এমন সময় হঠাৎ তার ওপর এলাকার ঘরজামাই বাদল মিয়ার কুনজর পড়ে। এর আগেও বাদল একাধিক বিয়ে করেছের। বাদলের বর্তমান স্ত্রী বগুড়া শহরে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় একাই থাকতেন বাদল। মাঝে মধ্যে তিনি ওই বিধবা প্রতিবন্ধী নারীর বাড়িতে যাতায়াত করতেন। এর মধ্যে বাদল ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রায়ই তাকে ধর্ষণ করতেন।

এর একপর্যায়ে প্রতিবন্ধী নারী অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়লে কৌশলে পালিয়ে যান বাদল। পরে প্রতিবন্ধীর মা বাদী হয়ে ইউপি সদস্যসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।