ঢাকা ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক ভাগাভাগি নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩০:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১ ১৫৪ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি;

পাবনায় ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক ভাগাভাগি নিয়ে হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত আটজন কর্মী আহত হন।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

ছাত্রলীগ নেতারা দাবি করেন, তেমন কিছু হয়নি। জুনিয়র নেতাকর্মীদের মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কেটে চলে যাওয়ার পর গাজী নামে এক ছাত্রলীগ নেতা উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে কেক বিতরণ করছিলেন। এ সময় পেছন থেকে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী কেকের ওপর হামলে পড়ে তা কেড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় অন্যরা বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে শুরু হয় হাতাহাতি। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম এবং সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান নেতাকর্মীদের শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।

পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হওয়ার পর জেলা ছাত্রলীগের একপক্ষ অন্যপক্ষের ওপর হামলার চেষ্টা করলে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। এ সময় শহরের প্রধান সড়ক আব্দুল হামিদ রোডে লোকজন ভয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে নিরাপদে আশ্রয় নেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় অন্তত আট ছাত্রলীগ কর্মী সামান্য আহত হন।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কেক খাওয়া নিয়ে হালকা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। তাৎক্ষণিক আমরা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। ঘটনাটি বিব্রতকর হলেও বড় ধরনের কিছু ঘটেনি।’

জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ওমর ফারুক সৈকত বলেন, ‘জুনিয়র নেতাকর্মীরা ঝামেলার সৃষ্টি করলে সিনিয়ররা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। তবে অস্ত্র বের করার মতো ঘটনা ঘটেনি।’

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ আলী বলেন, জুনিয়র নেতাকর্মীদের মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। পরে পরিবেশ স্বাভাবিক হয়।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বিকেলে জানান, কেক খাওয়া নিয়ে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী একটু ঝামেলার সৃষ্টি করেছিলেন। ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

সোমবার জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে পাবনায় উদযাপিত হয়েছে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ছাত্রলীগের আয়োজনে কেক কাটা, আলোচনা সভা, পুষ্পার্ঘ অর্পণসহ নানা কর্মসূচি পালন করে জেলা ছাত্রলীগ।

জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলামের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মনির উদ্দির আহমেদ মান্না, লিয়াকত তালুকদার, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান রকি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আহমেদ শরীফ ডাবলু, যুবলীগ নেতা শাকিরুল ইসলাম রনি, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান শেখ, সাধারণ সম্পাদক আরমান প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক ভাগাভাগি নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া

আপডেট সময় : ১০:৩০:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১

জেলা প্রতিনিধি;

পাবনায় ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক ভাগাভাগি নিয়ে হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত আটজন কর্মী আহত হন।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

ছাত্রলীগ নেতারা দাবি করেন, তেমন কিছু হয়নি। জুনিয়র নেতাকর্মীদের মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কেটে চলে যাওয়ার পর গাজী নামে এক ছাত্রলীগ নেতা উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে কেক বিতরণ করছিলেন। এ সময় পেছন থেকে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী কেকের ওপর হামলে পড়ে তা কেড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় অন্যরা বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে শুরু হয় হাতাহাতি। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম এবং সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান নেতাকর্মীদের শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।

পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হওয়ার পর জেলা ছাত্রলীগের একপক্ষ অন্যপক্ষের ওপর হামলার চেষ্টা করলে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। এ সময় শহরের প্রধান সড়ক আব্দুল হামিদ রোডে লোকজন ভয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে নিরাপদে আশ্রয় নেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় অন্তত আট ছাত্রলীগ কর্মী সামান্য আহত হন।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কেক খাওয়া নিয়ে হালকা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। তাৎক্ষণিক আমরা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। ঘটনাটি বিব্রতকর হলেও বড় ধরনের কিছু ঘটেনি।’

জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ওমর ফারুক সৈকত বলেন, ‘জুনিয়র নেতাকর্মীরা ঝামেলার সৃষ্টি করলে সিনিয়ররা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। তবে অস্ত্র বের করার মতো ঘটনা ঘটেনি।’

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ আলী বলেন, জুনিয়র নেতাকর্মীদের মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। পরে পরিবেশ স্বাভাবিক হয়।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বিকেলে জানান, কেক খাওয়া নিয়ে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী একটু ঝামেলার সৃষ্টি করেছিলেন। ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

সোমবার জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে পাবনায় উদযাপিত হয়েছে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ছাত্রলীগের আয়োজনে কেক কাটা, আলোচনা সভা, পুষ্পার্ঘ অর্পণসহ নানা কর্মসূচি পালন করে জেলা ছাত্রলীগ।

জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলামের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মনির উদ্দির আহমেদ মান্না, লিয়াকত তালুকদার, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান রকি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আহমেদ শরীফ ডাবলু, যুবলীগ নেতা শাকিরুল ইসলাম রনি, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান শেখ, সাধারণ সম্পাদক আরমান প্রমুখ।