ঢাকা ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




বিয়েতে আপত্তি চাচার, আদালতে যাওয়ার পথে গুলি করে যুগলকে হত্যা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১০:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১ ১০২ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক;

ভারতে আইনি প্রক্রিয়ায় বিয়ের কাজ কাজ সম্পন্ন করতে আদালতে যাওয়ার পথে খুন হন ওই যুগল। গত বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দেশটির হরিয়ানা রাজ্যের রোহতক জেলার দিল্লি বাইপাস রোডের পাশে এই ঘটনা ঘটে। খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে আদালতে যাচ্ছিল ওই যুগল। ছেলেপক্ষের আত্মীয়রাও সঙ্গে ছিলেন। আদালতে পৌঁছানোর আগে কথা বলার নাম করে ডেকে এনে রাস্তায় গুলি করে ওই যুগলকে হত্যা করে মেয়ের কাকা ও তার ছেলেরা।

গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ২৭ বছর বয়সী পূজার সঙ্গে ২৫ বছর বয়সী রোহিতের সম্পর্ক নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল মেয়ের পরিবারের। প্রেমিক যুগলের দু’জন জাঠ সম্প্রদায়ের হলেও আলাদা আলাদা গ্রামে বসবাস করতেন তারা। অনাথ পূজা ছোট থেকেই কাকার কাছে বড় হয়েছেন। গত কয়েক মাস আগে রোহতক জেলায় এসে রোহিতের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

রোহিতের মা গণমাধ্যমকে জানান, দুই পরিবারে এই বিয়ে নিয়ে প্রথমে আপত্তি ছিল। অনেক বোঝানোর পরে রাজি হয় তার পরিবার। এছাড়া প্রথমে আপত্তি থাকলেও পূজার কাকা কুলদীপ পরে তাদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছেন বলে তিনি জানান এবং ওই যুগলকে আশির্বাদ করে বিয়ে দিতে রাজি হন।

রোহিতের মা পুলিশকে বলেন, ‘কথা বলার অজুহাতে আদালতে যাওয়ার আগে বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসে মেয়ের কাকা ও আত্মীয়রা। এরপর দিল্লি বাইপাস রোডের কাছে জনবহুল বাজারের মধ্যে গুলি চালিয়ে তারা পালিয়ে যায়।’

পুলিশ বলছে, বিয়ের সময়ে উপস্থিত থাকার জন্য কুলদীপ রোহিতের আত্মীয়দের আদালতে ডেকেছিলেন। পরে বিয়ে সংক্রান্ত কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য তাদের মহর্ষি দয়ানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ডাকেন। রোহিতের পরিবার সেখানে হাজির হলে তাদের গাড়ি নিশানা করে গুলি চালায় কুলদীপ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই রোহিত ও পূজার। এই ঘটনায় রোহিতের ভাই গুরুতর আহত হন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বিয়েতে আপত্তি চাচার, আদালতে যাওয়ার পথে গুলি করে যুগলকে হত্যা

আপডেট সময় : ১০:১০:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক;

ভারতে আইনি প্রক্রিয়ায় বিয়ের কাজ কাজ সম্পন্ন করতে আদালতে যাওয়ার পথে খুন হন ওই যুগল। গত বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দেশটির হরিয়ানা রাজ্যের রোহতক জেলার দিল্লি বাইপাস রোডের পাশে এই ঘটনা ঘটে। খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে আদালতে যাচ্ছিল ওই যুগল। ছেলেপক্ষের আত্মীয়রাও সঙ্গে ছিলেন। আদালতে পৌঁছানোর আগে কথা বলার নাম করে ডেকে এনে রাস্তায় গুলি করে ওই যুগলকে হত্যা করে মেয়ের কাকা ও তার ছেলেরা।

গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ২৭ বছর বয়সী পূজার সঙ্গে ২৫ বছর বয়সী রোহিতের সম্পর্ক নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল মেয়ের পরিবারের। প্রেমিক যুগলের দু’জন জাঠ সম্প্রদায়ের হলেও আলাদা আলাদা গ্রামে বসবাস করতেন তারা। অনাথ পূজা ছোট থেকেই কাকার কাছে বড় হয়েছেন। গত কয়েক মাস আগে রোহতক জেলায় এসে রোহিতের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

রোহিতের মা গণমাধ্যমকে জানান, দুই পরিবারে এই বিয়ে নিয়ে প্রথমে আপত্তি ছিল। অনেক বোঝানোর পরে রাজি হয় তার পরিবার। এছাড়া প্রথমে আপত্তি থাকলেও পূজার কাকা কুলদীপ পরে তাদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছেন বলে তিনি জানান এবং ওই যুগলকে আশির্বাদ করে বিয়ে দিতে রাজি হন।

রোহিতের মা পুলিশকে বলেন, ‘কথা বলার অজুহাতে আদালতে যাওয়ার আগে বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসে মেয়ের কাকা ও আত্মীয়রা। এরপর দিল্লি বাইপাস রোডের কাছে জনবহুল বাজারের মধ্যে গুলি চালিয়ে তারা পালিয়ে যায়।’

পুলিশ বলছে, বিয়ের সময়ে উপস্থিত থাকার জন্য কুলদীপ রোহিতের আত্মীয়দের আদালতে ডেকেছিলেন। পরে বিয়ে সংক্রান্ত কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য তাদের মহর্ষি দয়ানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ডাকেন। রোহিতের পরিবার সেখানে হাজির হলে তাদের গাড়ি নিশানা করে গুলি চালায় কুলদীপ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই রোহিত ও পূজার। এই ঘটনায় রোহিতের ভাই গুরুতর আহত হন।