রাজধানীতে চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্যে ও গরিব হকার নির্যাতনঃ প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবোধক (১ম পর্ব)
- আপডেট সময় : ০৭:৪৬:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ১৯৩ বার পড়া হয়েছে
ইসমাইল আশরাফ / তানজীন মাহমুদ: ঢাকা শহরজুড়েই রয়েছে ফুটপাত বানিজ্য। রাজধানীর এমন জায়গা নেই যেখানে চলে না ফুটপাত বানিজ্য। আর অসাধু এক শ্রেণীর মানুষের চাঁদাবাজি ও অবৈধ প্রভাবে নিষ্পেষিত হওয়া অসহায় মানুষের করুণ আহাজারি।
এভাবে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত কুচক্রী মহলের দাপটে গিনিপিগের মতো জীবনযাপন করছে অসংখ্য পরিবার। তাদের কথা শোনার যেন কেউ নেই। এরকম একটি ঘটনার খবর পাওয়া যায় রাজধানীর আজমপুর ওভারব্রীজের পাশের ফাঁকা জায়গার মাছ বিক্রেতার কাছে থেকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাছ বিক্রেতা জানান- গত ১২-০১-২০১৯ইং আনুমানিক সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকায় হাউজ বিল্ডিংয়ের পূর্ব পাশে কোয়ার্টারের সামনে মাছ বিক্রি করতেছিলাম।
সে সময় আতিক নামের একজন চাঁদাবাজ আমার কাছে ৩৫০টাকা দাবি করে। আমি কিসের টাকা জিজ্ঞাসা করলে বলে “পুলিশের টাকা”। আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে “ আমার মাছের দোকান রাস্তার উপরে ফেলে দেয় এবং আমাকে বেধড়ক মারধর করে”। বিভিন্ন হুমকি দিতেদিতে চলে যায়।
আতিক উত্তরা পূর্ব ও পশ্চিম থানার পক্ষে চাঁদা আদায় করে বলে জানান, সেখানকার হকার তথা দোকানদাররা। উত্তরা পূর্ব থানা এলাকা হলো কসাইবাড়ী থেকে আজমপুর পর্যন্ত। রাজলক্ষী, রবীন্দ্র সরণী, হাউজ বিল্ডিং, ৭নং ব্রীজ খালপাড়, ১১নং চৌরাস্তা ময়লার মোড় হচ্ছে উত্তরা পশ্চিম থানার আওতাধীন।
এসব এলাকায় চাঁদা ওঠানোর দায়িত্বে নিয়োজিত আছে বেশ কয়েকজন। তারা উত্তরা পূর্ব ও পশ্চিম থানার পরিচয় দিয়ে চাঁদা তোলার কথা বলে কিন্তু থানার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পুরোপুরি পাওয়া যায়নি।
তাহলে এরা কারা আতিক, মাহবুব, মনির, গনি, শামসুল ও মিলন? যারা দীর্ঘদিন থানার পাশের হকারদের কাছে প্রতি দোকান হতে দৈনিক ৩০০/৪০০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করে। আর প্রশাসনের ভূমিকা নীরব কেন? তবে কি এই চাঁদার টাকা প্রশাসন তুলে নেয় নাকি কোন রাজনৈতিক ব্যক্তির পকেটে চালান হয়ে যায়। এসব প্রশ্ন শুধু নিরীহ হকারদের কাঁদায় না বরং বিজ্ঞ মহলকেও ভাবিয়ে তোলে!!
এ বিষয়ে আতিকের ফোন নাম্বারে(0162*****47) যোগাযোগ করলে সে দেখা করতে বলে এবং এটা নিয়ে বসবে বলে জানায়। কিছুক্ষণ পরেই রতন নামের এক কথিত সাংবাদিক ফোনে জানায় (0167*****94) আতিক আমারই ভাই, ব্রাদার। নিউজ করার দরকার নাই। আমার সাথে দেখা করো।
(চলবে)