ঢাকা ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo রূপালী ব্যাংকের এমডি ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের প্রভাবশালী নেতা! Logo “আওয়ামী সুবিধাভোগী ৪ কারা কর্মকর্তার কাছে জিম্মি কারা অধিদপ্তর!” Logo পাইকগাছা-কয়রার মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে মাঠে আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo এয়ারপোর্ট এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা সালাউদ্দিন পিয়ারী ইয়াসিন ধরাছোঁয়ার বাইরে! Logo পিরোজপুর-২ আসনে জনগণের জন্য কাজ করতে চান ফকরুল আলম: নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে Logo পাওনা টাকা চাওয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা: নেপথ্যে কসাই পারভেজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ৩৬ জুলাই: যেভাবে প্রতীকী ক্যালেন্ডার হয়ে উঠল জাতীয় প্রতিরোধের হাতিয়ার Logo বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা Logo গণপূর্ত প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান Logo “শতকোটি টাকার দুর্নীতির সাম্রাজ্য: তাপসের ঘনিষ্ট ডিএসসিসির শাহজাহান আলীর ফাঁদে ঢাকা দক্ষিণ সিটি”

অস্ট্রেলিয়ায় পালিয়েও জঙ্গি তৎপরতায় সক্রিয় শাহেদুন আমিন চৌধুরী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫২:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২০ ১৮৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গত কয়েক বছরে সহস্রাধিক জঙ্গি আদালতের মাধ্যমে জামিন নিয়ে পালিয়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের এসব সদস্য কারাবন্দি ছিল। এদের অনেকে পাড়ি জমিয়েছে বিদেশে। অনেকে দেশে আত্মগোপনে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকায় পলাতক দুর্ধর্ষ ৯১২ জঙ্গির অনেকে নানাভাবে সক্রিয়। পলাতকদের অনেকেই এখন নাম-পরিচয় গোপন করে নানান সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। চলতি বছরেই এরকম অভিযোগে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থেকে কয়েকজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এমনই একজন হলেন শাহেদুন আমিন চৌধুরী।

২০১২ সালের ৭ই জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার কাকলী পুলিশ চেকপোস্টের কাছাকাছি নিজ দলের ৪/৫ জন সদস্যকে নিয়ে জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রমের প্রচার এবং দেশের আইন এবং সরকার বিরোধী নানারকম লিফলেট বিতরণকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন একজন।

অন্যরা এই অভিযানের সময় পালিয়ে যান। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তিনি মুন্সিগঞ্জের টংগী বাড়ি এলাকার আমিনুর রহমান চৌধুরীর পুত্র। ওই সময় তারা মোহাম্মদপুর থানার শংকর এলাকায় বসবাস করতেন। র‍্যাবের করা মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে তিনি স্বীকার করেন যে তারা সবাই হিযবুত তাহরীরের সক্রিয় সদস্য।

পরবর্তীতে ছয় মাস জেলে থাকার পর এক সময় জামিনে বেরিয়ে আসেন শাহেদুন আমিন চৌধুরী এবং দেশত্যাগ করেন। গত অক্টোবর মাসের ৬ তারিখ একটি জাতীয় পত্রিকায় আর্টিক্যাল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শাহেদুন আমিন চৌধুরীর নিজের দেয়া কিছু পোস্ট এবং ছবি দেখে তাকে চিনতে পারা যায়। বর্তমানে সে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন।

জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়ায় বসেও এখনো হিযবুত তাহরীরের মতবাদ নিজের মধ্যে লালন করে দলের প্রচার ও অর্থ জোগানোর কাজ করছেন তিনি। গোপনে চালিয়ে যাচ্ছেন সংগঠনের কার্যক্রম।

একটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গেছে, এত বছর পলাতক থাকার পর ইতিমধ্যেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে পড়েছেন এই নিষিদ্ধ সংঠনের সদস্য শাহেদুন আমিন চৌধুরী ।

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) এর এক কর্মকর্তা জানান, জামিন নিয়ে পলাতক এমন জঙ্গিদের একটি তালিকা রয়েছে। এ ছাড়া জামিনে থেকে নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছে এমন জঙ্গিরাও আছে নজরদারিতে।

তিনি বলেন, জামিন নিয়ে পলাতক হলে তাদের জামিনদারদের ধরতে হবে। তবে দেশে কোনো জামিনদার আটকের নজির নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। জামিন নিয়ে পলাতকদের ধরার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে আদালতেরও করণীয় রয়েছে।

পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, নাশকতা মামলার আসামি হয়ে কেউ আদালতে জামিনের শরণাপন্ন হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটকের পর কারাবন্দিদের অনেকে নানা অজুহাতে জামিন পেয়েছেন।

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট সূত্র মতে, জামিন নিয়ে পালিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গিদের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া আছে। এ ছাড়া কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের গোয়েন্দারা তাদের বিষয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

অস্ট্রেলিয়ায় পালিয়েও জঙ্গি তৎপরতায় সক্রিয় শাহেদুন আমিন চৌধুরী

আপডেট সময় : ১১:৫২:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গত কয়েক বছরে সহস্রাধিক জঙ্গি আদালতের মাধ্যমে জামিন নিয়ে পালিয়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের এসব সদস্য কারাবন্দি ছিল। এদের অনেকে পাড়ি জমিয়েছে বিদেশে। অনেকে দেশে আত্মগোপনে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকায় পলাতক দুর্ধর্ষ ৯১২ জঙ্গির অনেকে নানাভাবে সক্রিয়। পলাতকদের অনেকেই এখন নাম-পরিচয় গোপন করে নানান সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। চলতি বছরেই এরকম অভিযোগে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থেকে কয়েকজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এমনই একজন হলেন শাহেদুন আমিন চৌধুরী।

২০১২ সালের ৭ই জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার কাকলী পুলিশ চেকপোস্টের কাছাকাছি নিজ দলের ৪/৫ জন সদস্যকে নিয়ে জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রমের প্রচার এবং দেশের আইন এবং সরকার বিরোধী নানারকম লিফলেট বিতরণকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন একজন।

অন্যরা এই অভিযানের সময় পালিয়ে যান। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তিনি মুন্সিগঞ্জের টংগী বাড়ি এলাকার আমিনুর রহমান চৌধুরীর পুত্র। ওই সময় তারা মোহাম্মদপুর থানার শংকর এলাকায় বসবাস করতেন। র‍্যাবের করা মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে তিনি স্বীকার করেন যে তারা সবাই হিযবুত তাহরীরের সক্রিয় সদস্য।

পরবর্তীতে ছয় মাস জেলে থাকার পর এক সময় জামিনে বেরিয়ে আসেন শাহেদুন আমিন চৌধুরী এবং দেশত্যাগ করেন। গত অক্টোবর মাসের ৬ তারিখ একটি জাতীয় পত্রিকায় আর্টিক্যাল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শাহেদুন আমিন চৌধুরীর নিজের দেয়া কিছু পোস্ট এবং ছবি দেখে তাকে চিনতে পারা যায়। বর্তমানে সে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন।

জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়ায় বসেও এখনো হিযবুত তাহরীরের মতবাদ নিজের মধ্যে লালন করে দলের প্রচার ও অর্থ জোগানোর কাজ করছেন তিনি। গোপনে চালিয়ে যাচ্ছেন সংগঠনের কার্যক্রম।

একটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গেছে, এত বছর পলাতক থাকার পর ইতিমধ্যেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে পড়েছেন এই নিষিদ্ধ সংঠনের সদস্য শাহেদুন আমিন চৌধুরী ।

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) এর এক কর্মকর্তা জানান, জামিন নিয়ে পলাতক এমন জঙ্গিদের একটি তালিকা রয়েছে। এ ছাড়া জামিনে থেকে নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছে এমন জঙ্গিরাও আছে নজরদারিতে।

তিনি বলেন, জামিন নিয়ে পলাতক হলে তাদের জামিনদারদের ধরতে হবে। তবে দেশে কোনো জামিনদার আটকের নজির নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। জামিন নিয়ে পলাতকদের ধরার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে আদালতেরও করণীয় রয়েছে।

পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, নাশকতা মামলার আসামি হয়ে কেউ আদালতে জামিনের শরণাপন্ন হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটকের পর কারাবন্দিদের অনেকে নানা অজুহাতে জামিন পেয়েছেন।

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট সূত্র মতে, জামিন নিয়ে পালিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গিদের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া আছে। এ ছাড়া কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের গোয়েন্দারা তাদের বিষয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন।