মোঃ আহাদ মিয়াঃ সফাত আলী সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্রী লুবনা আক্তার(১৬) অর্থের জন্য চিকিৎসা করতে পারছেন না। কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের দরিদ্র গনিব মিয়া অর্থের জন্য চিকিৎসা করতে পারছেন না নিজের কন্যা সন্তানের।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায় মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রী লুবনা আক্তার একদিন হঠাৎ অসয্য ব্যথা অনুভব করলে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার এপেন্ডিস এর ব্যাথা শনাক্ত করেন, এবং দ্রুত অপারেশনের জন্য পরামর্শ দেন। অপারেশন করার জন্য মৌলভীবাজারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে গেলে ১৫ হাজার টাকার কথা বললে তারা চলে যান একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এবং সেখানেই প্রাইভেট ডাক্তার দেখান, প্রাইভেট ডাক্তারকে আর্থিক সমস্যার কথা বললে তিনি ব্যাথা নাশক ঔষধ দেন। প্রতিনিয়ত ঐ এই ব্যথানাশক ঔষধ সেবন করতে হয় মাদ্রাসার ছাত্রী লুবনা আক্তার কে।
ব্যথার জন্য মাদ্রাসায় নিয়মিত যেতে পারছেন না মাদ্রাসা ছাত্রী। লুবনা আক্তারের মা মিসবা বেগম (৩৫)বলেন পাঁচ জনের সংসারে উপার্জনকারী একজন আমার স্বামী গনিব মিয়া(৫০) সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি অপারেশনের টাকা কোথায় পাব। মিসবা বেগম কান্না কন্ঠে বলেন অামার মেয়ের যখন ব্যথা উঠে এবং চিৎকার করে তখন ব্যাথা নাশক ঔষধ সেবন ছাড়া আর কোনো রাস্তা থাকে না। ডাক্তার রাজেন্দ্র কুমার সিংহ (এম বি বি এস) বলেন এপেন্ডিস জনিত রোগীদের যত দ্রুত সম্ভব অপারেশন করা ভালো। ঔষধের দ্বারা সাময়িকভাবে এপেন্ডিসের ব্যাথা থামিয়ে রাখলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, এমনকি রোগী মারাও যেতে পারে। কিন্তু অর্থের জন্য অপারেশন হচ্ছে না মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রী লুবনা আক্তারের, যদি কোন বিত্তবান ব্যক্তি চিকিৎসা সেবায় সাহায্য করেন, বেঁচে যাবে একটি জীবন, উপকৃত হবে পরিবার। লুবনা আক্তার অাবারও সহপাঠীদের সাথে যাবে মাদ্রাসায়। সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন লুবনা আক্তারের মা মিছবা বেগমের বিকাশ নাম্বার (ব্যক্তিগত) ০১৭৩৩-৯০৭৬৮৩