ঢাকা ১১:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা: সেই গৃহবধূর মৃত্যু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০ ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

ঢামেক প্রতিবেদক;

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় এলাকায় গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা গৃহবধূ শারমিন (২০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

গত শুক্রবার (২০ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন দেন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার স্বজনরা উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ (মঙ্গলবার) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মারা যান তিনি।

শারমিনের খালাতো বোন আফরোজা বেগম জানান, যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় কবরস্থান রোডের আব্দুল মান্নান ব্যাপারীর মেয়ে শারমিন। গত তিন বছর আগে একই থানার কুতুবখালীর পিকআপ ভ্যানচালক রমজানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পরের বছর তাদের একটি পুত্রসন্তান হয়। তাদের ছেলেটি অসুস্থ হয়ে মারা যায়। এরপর দীর্ঘদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন শারমিন। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে তিনি বাসায় ফেরেন। এরপর থেকে তার স্বামী কোনো খোঁজ-খবর নিচ্ছিলেন না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। শারমিন তার বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন। স্বামী থাকতেন কুতুবখালী।

তিনি আরও জানান, তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা হতো। তার স্বামী ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন। রমজানের কারণেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেন শারমিন।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, শারমিনের শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ময়নাতদন্তের পর তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা: সেই গৃহবধূর মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৫:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০

ঢামেক প্রতিবেদক;

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় এলাকায় গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা গৃহবধূ শারমিন (২০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

গত শুক্রবার (২০ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন দেন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার স্বজনরা উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ (মঙ্গলবার) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মারা যান তিনি।

শারমিনের খালাতো বোন আফরোজা বেগম জানান, যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় কবরস্থান রোডের আব্দুল মান্নান ব্যাপারীর মেয়ে শারমিন। গত তিন বছর আগে একই থানার কুতুবখালীর পিকআপ ভ্যানচালক রমজানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পরের বছর তাদের একটি পুত্রসন্তান হয়। তাদের ছেলেটি অসুস্থ হয়ে মারা যায়। এরপর দীর্ঘদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন শারমিন। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে তিনি বাসায় ফেরেন। এরপর থেকে তার স্বামী কোনো খোঁজ-খবর নিচ্ছিলেন না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। শারমিন তার বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন। স্বামী থাকতেন কুতুবখালী।

তিনি আরও জানান, তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা হতো। তার স্বামী ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন। রমজানের কারণেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেন শারমিন।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, শারমিনের শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ময়নাতদন্তের পর তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।