রাজধানীর সাততলা বস্তির বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণে আতরআলী সিন্ডিকেট!
- আপডেট সময় : ০৯:২৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০ ১৪৭ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিবেদক:
আতর আলী” নামে আতর থাকলেও কর্মকাণ্ড দুর্ধর্ষ ও দুর্গন্ধময়। বনানী মহাখালী সাততলা বস্তি গড়ে তুলেছেন অপরাধের শক্তিশালী সিন্ডিকেট! অবৈধ গ্যাস বিদ্যুৎ ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ তার দুইহাতের তালুতে বন্ধ।
আমার নামে লেখালেখি করে কোন লাভ নাই, আমার হাত অনেক উপরে। এলাকার কাউন্সিলর থানা পুলিশ আমার পকেট ! একা খাই না। সবাইকে দিয়ে খাই ! এভাবেই অবৈধ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদীদের বলে বেড়াচ্ছেন সিন্ডিকেটের হোতা আতর আলী।
শারীরিক নির্যাতন, অস্ত্র ঠেকিয়ে সাংবাদিককে হত্যার চেষ্টার চেষ্টা করেছেন এই আতর আলী ও তার সিন্ডিকেট। এমন ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আতরআলী দাম্ভিকতার হুংকার মামলা করলে তাতে আমাদের কি হয়েছে? আমাদের কিছু করার মত ক্ষমতা কারো নাই!
বনানী মহাখালী জুড়ে কড়াইল সাততলা বস্তি এলাকায় অনুসন্ধানে জানা যায়, বিদ্যুৎ পানি গ্যাস ও মাদক ব্যবসার মাসোয়ারা এলাকার রাজনৈতিক নেতা কাউন্সিলর থানা পুলিশ সহ প্রত্যেকটি দপ্তরে সুষ্ঠু বন্টন করে দেন আতরআলী। মহাখালী সাততলা বস্তি গডফাদার আতরআলী টোকেন বাণিজ্য, সরকারি গ্যাস, বিদ্যুৎ, মাদক , সহ বস্তি জুড়ে গড়ে তুলেছেন এক বিশাল সাম্রাজ্য! কিশোর গ্যাং’ ফিটিং বাণিজ্য’ বিচার-সালিশ সকল কিছু যার নেতৃত্বে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে নিয়ে আজকে আমাদের এই প্রতিবেদন_________
রাজধানী মহাখালী এলাকার অপরাধ চক্রের গডফাদার আতর আলি ও শামিম বাহিনীর অপকর্ম অব্যাহ্ত ভুইফোর সংগঠন গুলোর প্লেট ও টোকেনে চলছে অবৈধ অটোরিক্সা বানিজ্য। এবং প্লেট ও টোকেনে অবৈধ অটোরিক্সা থেকে চাদাবাজি করে হাতিয়ে নিচ্ছ লক্ষ লক্ষ টাকা!
মহাখালীর, সাততলা বস্তি, দক্ষিণপাড়া, পোড়া বস্তি , মন্দির পাড়া, লালমাটি, ঝিলপাড়, ওয়ারলেস গেট, নিকেতন, সহএলাকা সেই জুড়ে ঘরে তুলেছে কিশোর গ্যাং! তাদের নিয়ন্ত্রণ করছেন আতর আলী, অটো শামীম, নাপিত সবুজ ! ফর্মা ইলিয়াস ভাগিনা রুবেল, প্রত্যেক যার যার সাইড বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে সকল কিছু নিয়ন্ত্রন করছে একটি বিশাল বাহিনী গড়ে তুলেছেন এলাকা জুড়ে! রাত যতই গভীর এলাকা ততোই মাদকের আনাগোনা! পুলিশ নামধারী সাংবাদিক উকিল নেতা থেকে শুরু করে সকল কিছুই তাদের হাতের মুঠোয় !রেখে তারা তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
গত ৩১.০৮.২০ তারিখ সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিএায় টোকন বাণিজ্য গ্যাস মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্ম সহ সাংবাদিককে হত্যার চেষ্টা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়! তবুও ৫ নং বিট ইনচার্জ বিশ্বজিতের কোন ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি। উল্টো অপরাধীদের পক্ষে নিয়ে উত্তর সাপ্তাহিকের প্রতিবেদক স্বাধীন কে শায়েস্তা করার জন্য পরামর্শ দেন। সংবাদ প্রকাশে কারনে সংবাদকর্মী স্বাধীনের উপর নেমে আসে অমনবিক নির্যাতন! এবং মাদক দিয়ে ভাষাতেও চেষ্টা করে আতরআলী। পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে শুরু হয় নতুন প্রক্রিয়া আতরআলী তার পালিত নারী দিয়ে সংবাদ কর্মীদের বিরুদ্ধে কোটে মিথ্যা মামলা করেন প্রতিবেদক এর বিরুদ্ধে।
যার যথেষ্ট প্রমাণ অপরাধ বিচিত্রা দপ্তর রয়েছে! মহাখালি ,বনানী, গড ফাদার আতর আলি, অটো শামীম, নাপিত সবুজ ,সোর্স ইলিয়াস, ভাগ্না রুবেল, বাহিনী বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও শারীরিক নির্যাতন করেন সংবাদকর্মীকে। এ বিষয় সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা ঐ প্রতিবেদককে নিয়মিত মুঠোফোনে আতর আলী বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিতে থাকে। গত ০৭.০৯.২০ তারিখ বিকালে অপরাধ চক্রদের মোবাইল নাম্বার থেকে সংবাদকর্মীকে কল করে তার অবস্হা জেনে বলেন কাউন্সিলার নাসিরের অফিসে দেখা করতে, সংবাদকর্মী দেখা করতে অস্বিকার করলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এবং ২-৩ ঘন্টা পর মহামহাখালী থেকে সংবাদকর্মী স্বাধীনকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় ২৪ মহাখালী আমতলী, হাজী হাসমত ম্যানশন ১ম তলায় আসালে শামীমে এবং আতর আলী ও তাদের বাহিনী ব্লাক বাবুল, সবুজ, অটো আলামিন, বুলু জাকির, ফরমা রবিন, বাটো কবির, উজ্জল, ফরমা ইলিয়াস, এস কে আলোম ও ওমর ফারুক ওরফে কেরু সহ আরো অনেকেই স্বাধীনকে ঘিরে ফেলে। এবং সংবাদকর্মী স্বাধীনের দু’হাত চেপে ধরে ও শামীমের কমরে থাকা পিস্তল সংবাদকর্মী স্বাধীনের বুকে চেপে ধরে বলে, কাউন্সিলার অফিসে যেতে হবে। এবং স্বাধীন যেতে না চাইলে আতর আলির হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে তার শরীলে আঘাত করে। এবং অপরাধীরা সংবাদকর্মী স্বাধীনকে জোরপূর্বক কাউন্সিলার অফিসে নিয়ে যাবে বলে পিটিয়ে টেনে-হেচরে নিয়ে যায়। কিন্তু কাউন্সিলার অফিসে না নিয়ে গিয়ে তারা ওর্য়ালেস গেট প্রদীপ সংখ ক্লাব ও সেন্টারে নিয়ে যায়।অতঃপর অপরাধীরা সংবাদকর্মী স্বাধীনকে মহাখালী ওর্য়ালেস গেট প্রদীপ সংখ ক্লাব ও সেন্টারের নীচ তলা পৌছালে অপরাধীদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে নাপিত সবুজ, ফর্মা ইলিয়াস, ব্লাক বাবু, ভাগিনা রুবেল, ওমর ফরুক ওরফে ফেরু সহ আরো কয়েকজন মিলে সংবাদকর্মী স্বাধীনকে এলোপাথারী মারধর করে শরীরে বিভিন্ন অংশে জখম করে। সংবাদকর্মী স্বাধীন মাটিতে পরে এবং তার শরিরের উপরে উঠে দুপা দিয়ে লাথি মারেন। এরপর কমিউনিটি সেন্টারের দোতালায় নিয়ে গিয়ে অপরাধ চক্ররা সবাই মিলে সংবাদকর্মী স্বাধীনকে পুনরায় মারধর করেন। তারপর তাদের মধ্যে দু’জন সংবাদকর্মী স্বাধীনকে বাথরুমে নিয়ে যায়। এবং তার মুখে পিস্তল ঢুকিয়ে শামীম বলে যে, তোর প্রকাশিত সংবাদ ভুল বলে সংবাদ প্রকাশ করেছিস এটা বলে সংশোধিত সংবাদ প্রকাশ না করা হলে সংবাদকর্মী স্বাধীনকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তাদের সাথে থাকা শিরিন ও শান্তা সংবাদকর্মী স্বাধীনকে বাথরুম থেকে এনে রুমে নিয়ে বলে তোকে ধর্ষনের মামলা দিবো। মানুষ না চিনে রিপোর্ট করিস তুই জানিস আমাদের হাত কত বড় লম্বা আতরআলী সম্বন্ধে তোর আইডিয়া আছে ?? ওই দুই নারী বলে তোর সংবাদ ভুল ছিল এই সংবাদ প্রকাশ করবি.. এভাবে আবার অমানুষিক নির্যাতন আবারও অপরাধ চক্ররা মিলে মারপিট শুরু করে !এতে সংবাদকর্মী স্বাধীন অজ্ঞান হয়ে পরে। পরবর্তীতে তার জ্ঞান ফিরলে ফরমা ইলিয়াস ও নাপিত সবুজ মিলে সংবাদকর্মী স্বাধীনের প্যান্টের পকেটে ইয়াবা ট্যাবলেট ঢুকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয় এবং মাদক মামলা থেকে নিজেকে বাঁচাতে নিজের শরীরের সমস্ত কাপর চোপর খুলে ফেলেন সংবাদকর্মী স্বাধীন। এসমস্ত ঘটনা কমিউনিসেন্টারের সিসি ফুটেজে আছে। সংবাদকর্মী স্বাধীনকে হত্যার চেষ্টা ও মাদক দিয়ে ফাঁসানো পরিকল্পনাকারী আতরআলী শামীম নাপিত সবুজ সিন্ডিকেটের কারা এই ফুটেজে সকলের মুখোশ উন্মোচন হয়ে যাবে.. পরবর্তীতে আনুমানিক রাত ১১টা ৪০.মিনিটে এসআই আহসান হাবীবের চেষ্টায় সংবাদকর্মী স্বাধীনকে উদ্ধার করা হয়! এস আই হাবিব উপস্থিতিতে।