বিশেষ সংবাদদাতা;
চিকিৎসকের গাফিলতিতে চিকিৎসা অনুদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। শত শত কর্মচারী তাদের অসুস্থতার কথা জানিয়ে অনুদানের জন্য চিকিৎসক স্বাক্ষরিত আবেদনপত্র জমা দিলেও, এতে নিবন্ধন নম্বর উল্লেখ না থাকায় অনুদান প্রদানে গঠিত যাচাই-বাছাই কমিটি তা আমলে নিচ্ছে না।
গত ১১ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়াধীন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক তাহমিনা মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, সরকারি কল্যাণ বোর্ডের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের ১৩টি কার্যালয় থেকে চিকিৎসা অনুদানের জন্য প্রতিদিন শত শত আবেদন আসে। প্রতি মাসের দুটি সভায় (যাচাই-বাছাই ও উপকমিটি) এর মাধ্যমে চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই করে চিকিৎসা অনুদান দেয়া হয়। এ কমিটিতে দুজন চিকিৎসকও রয়েছেন।
কর্মচারীদের আবেদনপত্রে অসুস্থতার প্রমাণে চিকিৎসকরা স্বাক্ষর করলেও চিকিৎসকদের নিবন্ধন নম্বর থাকে না। অথচ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নির্দেশনা অনুসারে প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসকদের নিবন্ধন নম্বর লেখা বাধ্যতামূলক। ভুয়া চিকিৎসক চিহ্নিত করতেই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়। অথচ চিকিৎসকরা নিবন্ধন নম্বর লেখেন না। তাদের গাফিলতির কারণে শত শত সরকারি কর্মচারী চিকিৎসা অনুদান গ্রহণ করা সুযোগ থাকলেও তা নিতে পারছেন না।
তাহমিনা মাহমুদ চিঠিতে আরও লেখেন, চিকিৎসকরা প্রেসক্রিপশনে নিবন্ধন নম্বর না লেখায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা অনুদান দেয়া সম্ভব হয় না।