ঢাকা ১২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় সারাবিশ্ব, দৌড়ে এগিয়ে ফাইজার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০২০ ২০৬ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক;

যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে। একই দেশের মডার্নার ভ্যাকসিন মানব শরীরে নিরাপদ। দ্রুতই বাজারে আসবে অক্সফোর্ড, অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিন, রাশিয়ার স্পুটনিক-৫ সাথে চীনের সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনও। এসব দাবি ভ্যাকসিন তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর।

২০১৯ সালের শেষে চীনের উহান শহরে শুরু হয় নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পরে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে। মহামারি আকার ধারণ করে কোভিড-১৯। সেই থেকে সবার প্রশ্ন করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন কবে আসবে? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর এখনও নেই পৃথিবীর কাছে। জুন মাস থেকেই ভ্যাকসিন আসার অভাস পাওয়া যাচ্ছে। জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর সব মাসেই ভ্যাসকিন আসার ভবিষ্যৎবানী শোনা গেছে। কিন্তু ভ্যাকসিন পরীক্ষার সব ধাপ সম্পন্ন হয়নি। গবেষকরা বলছেন, সঠিক উপায়ে ভ্যাকসিন তৈরি করতে লেগে যায় কয়েক বছর। কিন্তু করোনা মহামারি ঠেকাতে দ্রুততম সময়ে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন আবিস্কারের চেষ্টা চলছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলছেন, এবছরের মধ্যেই অথবা ২০২১ সালের শুরুতেই ভ্যাকসিন ব্যাজেটে চলে আসবে।

ভ্যাকসিন আবিস্কারের দৌঁড়ে রয়েছে ১৭০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান। সর্বাধিক আলোচনায় রয়েছে ছয়টি ভ্যাকসিন বা টিকা। এগুলো হল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও মডার্নার দুই টিকা, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিটিশ-সুইডিস কোম্পানী অ্যাস্ট্রোজেনেকার যৌথ উদ্যোগের টিকা। আলোচনায় আছে রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক-৫, চীনের সিনোভ্যাক ও ভারতের বায়োটেক ইন্টারন্যাশনালের টিকাও। বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভ্যাকসিন প্রি ক্লিনিক্যাল ক্যান্ডিডেটের তালিকায় রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি এন্ড ফার্মাকোলজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেছেন, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন তিন কোটি টাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে। তিনি জানান এবছর না হলেও জানুয়ারীর মধ্যে ভ্যাকসিন পাবো আমরা।

কোভিড-১৯ এর টিকা ক্রয়, বিতরণ, পরীক্ষা ও চিকিৎসা করতে উন্নয়ণশীল দেশেগুলোকে বারোশ কোটি ডলার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এদিকে টীকা আসলেও তা কতদিনের জন্য শরীরে কার্যকর থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার আরও বলেন, মানব দেহে টিকা কতদিন কাজ করবে সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। এটি বোঝা যাবে আরও এক থেকে দেড় বছর পর।

তাই টিকা আসার আগ পর্যন্ত মাস্ককেই করোনা প্রতিরোধের হাতিয়ার মনে করার আহবান বিশেষজ্ঞদের। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয়, তৃতীয় ঢেউ আসতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে আগের মতই হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়েও জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় সারাবিশ্ব, দৌড়ে এগিয়ে ফাইজার

আপডেট সময় : ০৯:১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০২০

অনলাইন ডেস্ক;

যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে। একই দেশের মডার্নার ভ্যাকসিন মানব শরীরে নিরাপদ। দ্রুতই বাজারে আসবে অক্সফোর্ড, অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিন, রাশিয়ার স্পুটনিক-৫ সাথে চীনের সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনও। এসব দাবি ভ্যাকসিন তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর।

২০১৯ সালের শেষে চীনের উহান শহরে শুরু হয় নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পরে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে। মহামারি আকার ধারণ করে কোভিড-১৯। সেই থেকে সবার প্রশ্ন করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন কবে আসবে? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর এখনও নেই পৃথিবীর কাছে। জুন মাস থেকেই ভ্যাকসিন আসার অভাস পাওয়া যাচ্ছে। জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর সব মাসেই ভ্যাসকিন আসার ভবিষ্যৎবানী শোনা গেছে। কিন্তু ভ্যাকসিন পরীক্ষার সব ধাপ সম্পন্ন হয়নি। গবেষকরা বলছেন, সঠিক উপায়ে ভ্যাকসিন তৈরি করতে লেগে যায় কয়েক বছর। কিন্তু করোনা মহামারি ঠেকাতে দ্রুততম সময়ে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন আবিস্কারের চেষ্টা চলছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলছেন, এবছরের মধ্যেই অথবা ২০২১ সালের শুরুতেই ভ্যাকসিন ব্যাজেটে চলে আসবে।

ভ্যাকসিন আবিস্কারের দৌঁড়ে রয়েছে ১৭০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান। সর্বাধিক আলোচনায় রয়েছে ছয়টি ভ্যাকসিন বা টিকা। এগুলো হল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও মডার্নার দুই টিকা, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিটিশ-সুইডিস কোম্পানী অ্যাস্ট্রোজেনেকার যৌথ উদ্যোগের টিকা। আলোচনায় আছে রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক-৫, চীনের সিনোভ্যাক ও ভারতের বায়োটেক ইন্টারন্যাশনালের টিকাও। বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভ্যাকসিন প্রি ক্লিনিক্যাল ক্যান্ডিডেটের তালিকায় রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি এন্ড ফার্মাকোলজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেছেন, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন তিন কোটি টাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে। তিনি জানান এবছর না হলেও জানুয়ারীর মধ্যে ভ্যাকসিন পাবো আমরা।

কোভিড-১৯ এর টিকা ক্রয়, বিতরণ, পরীক্ষা ও চিকিৎসা করতে উন্নয়ণশীল দেশেগুলোকে বারোশ কোটি ডলার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এদিকে টীকা আসলেও তা কতদিনের জন্য শরীরে কার্যকর থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার আরও বলেন, মানব দেহে টিকা কতদিন কাজ করবে সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। এটি বোঝা যাবে আরও এক থেকে দেড় বছর পর।

তাই টিকা আসার আগ পর্যন্ত মাস্ককেই করোনা প্রতিরোধের হাতিয়ার মনে করার আহবান বিশেষজ্ঞদের। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয়, তৃতীয় ঢেউ আসতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে আগের মতই হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়েও জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।