ডাঃ ফারহানা মোবিন এর লেখা ছোটদের বই ” উড়ে যায় মুনিয়া পাখি”
- আপডেট সময় : ০৪:০৩:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ১৬০ বার পড়া হয়েছে
সকালের সংবাদ ডেস্কঃ শুরু হয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা । লেখক , পাঠক আর বই মেলায় বেড়াতে আসা মানুষের ভীড় বেড়েই চলেছে । বিভিন্ন বয়সের মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯ । এইবারের বই মেলায় লেখক ও চিকিৎসক ফারহানা মোবিন এর লেখা ছোটদের বই ” উড়ে যায় মুনিয়া পাখি “, পাওয়া যাচ্ছে ছোটদের বই প্রকাশনীতে । স্টল নং — ৬৮৪ ।
ডাক্তার ফারহানা মোবিন। বর্তমানে ঢাকার পান্থপথে স্কয়ার হাসপাতালে স্ত্রী ও প্রসূতি বিভাগের রেসিডেনট( Resident) মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। পেশায় চিকিৎসক কিন্তু সামাজিক কাজ কর্ম, লেখালেখি করেন নিয়মিত। চতুর্থ শ্রেণী থেকে লেখা শুরু করেন। পঞ্চম শ্রেণী থেকে উনার লেখা ছাপা শুরু হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে ।তিনি শৈশব থেকেই শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির সাথে জড়িত। একটানা সাত বছর তিনি ছিলেন দৈনিক প্রথম আলো নিউজ পেপার এর প্রদায়ক লেখক। নারী ও শিশু উন্নয়ন, সামাজিক সমস্যা, স্বাস্থ্য সচেতনতা,জীবনযাপন, সাহিত্য বিষয়ক লেখেন। দেশ বিদেশের অগণিত সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন এ তিনি নিয়মিত লেখেন ( অনলাইন, হার্ড কপি)।
উনার লেখা স্বাস্থ্য বিষয়ক বই : ‘সবার আগে স্বাস্থ্য(২০১৩), শরীর স্বাস্থ ও পুষ্টি ( ২০১২), আসুন সুস্থ থাকি’ ( ২০১৮) । ছোটদের নিয়ে প্রকাশিত গল্পের বইয়ের নাম ‘উড়ে যায় মুনিয়া পাখি’ । ২০১৪ সালে ছোটদের বই প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছিল । বই টি ছোটদের জন্য লেখা হলেও সব বয়সের মানুষের পড়ার উপযোগী । বইটির প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেছেন চিএ শিল্পী বায়েজীদ সোহাগ । প্রকাশক হাশেম মিলন । বই মেলা শেষ হলেও বইটি পাওয়া যাবে রকমারি ডট কম থেকে । শিশু উন্নয়ন মূলক এই বইটি সহজ সরল ভাষায় লেখা । ডাঃ ফারহানা মোবিন অনলাইন টিভির সহযোগিতায় স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ে কাজ করছেন।
Satellite টিভি চ্যানেল বাংলা টিভি তে সঞ্চালনা করছেন ‘প্রবাসীর ডাক্তার’ নামের একটি অনুষ্ঠান। প্রবাসীর ডাক্তার অনুষ্ঠান টি প্রবাসীদের জন্য স্বাস্থ্য সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠান। মরণোত্তর চক্ষু দান করেছেন ঢাকার বাংলাদেশ আই হসপিটালে। হার্ট, লিভার, ফুসফুস, কিডনী ও প্যানক্রিয়াস দান করেছেন ঢাকা মেডিকলে কলেজ হাসপাতালে। তিনি একজন নিয়মিত রক্তদাতা। রাজশাহী, ঢাকা, মৌলভী বাজার এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করেছেন প্রায় ২৬ টি। একটি সংগঠনের পক্ষে ২০১৭ সালে সারা দেশে সেচ্ছাসেবীদের নিয়ে প্রায় ৭১ হাজার বৃক্ষ রোপন করা হয়। তিনি ছিলেন প্রধান পরিকল্পনাকারী। তিনি নানাবিধ সামাজিক কাজকর্মের সাথে সংযুক্ত ।
ফারহানা মোবিনের জন্ম ২৭ জুন রাজশাহী শহরে। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। সরকারি পিএন গার্লস হাইস্কুল থেকে এসএসসি ও রাজশাহীর নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ঢাকার শিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। স্ত্রী ও প্রসূতি বিদ্যায় উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনে এখনো লেখাপড়া করছেন। পাবলিক হেলথ এ গবেষণারত। বারডেম হাসপাতাল থেকে ডায়াবেটিস এবং হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল থেকে হৃদ রোগের উপর certificate course সম্পন্ন করেছেন।
জীবন সম্পর্কে ডা. ফারাহানা মোবিন বলেন, “৪৪ বছর বয়সে আমার বাবা আব্দুল মোবিন মারা যান। পরিবার ও আমার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। আমার মা ফেরদৌসি বেগম আমাদের জন্য সীমাহীন বিসর্জন দিয়েছেন। আমি আমার পিতা মাতার আশা পূরণ করতে চাই। আমি এমন একটা বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, যে দেশের অভিধান থেকে মুছে যাবে টোকাই, ভিখারী নামের শব্দ গুলো। মানুষ মরবেনা গাড়ীর চাপায়। রাস্তায় হিজড়া নামের অসহায় মানুষ গুলো ভিক্ষা করবেনা, বৃদ্ধাশ্রম থাকবেনা, দেশ ভরে উঠবে সবুজে। জীবিকার পাশাপাশি আমি যতোটুকু পারি, মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। ” তিনি সবার উদ্দেশ্যে বলেন , ” আমাদের কে ভালো মানের বই পড়তে হবে নিজেদের কে আলোকিত করার জন্য । শিশু কিশোরদেরকও ভালো মানের বই পড়তে অনুপ্রেরণা দিতে হবে , একটি সুন্দর ও স্বশিক্ষিত জাতি গড়ে তোলার জন্য । “