ইতালিতে বরসা ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিজম (বিট) ফেয়ারে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অংশগ্রহন
- আপডেট সময় : ১২:০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ১৫৯ বার পড়া হয়েছে
তুহিন মাহামুদ, ইউরোপ ব্যুরোঃ ইতালির তিলোত্তমা নগরী মিলানে অনুষ্ঠিত হয়েছে সর্ববৃহৎ বরসা ইন্টারন্যাশনাল ডেল ট্যুরিজম ফেয়ার(বিট) ২০১৯। এ মেলায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ছাড়াও চারটি বেসরকারি পর্যটন কোম্পানি অংশগ্রহণ করছে।১০, ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি এই তিনদিন ব্যপী চলেছে মেলাটি।
৫২টি দেশ ও প্রায় ৪৩৮টি কোম্পানি এ মেলায় অংশগ্রহণ করছে। মেলায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের পরিচালক যুগ্ম সচিব আবু তাহির মুহাম্মাদ জাবের। মেলা উদ্বোধনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন করেন মিলানের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল ইকবাল আহমেদ ও প্রতিনিধিদলের নেতা আবু তাহির মুহাম্মাদ জাবের। এ সময় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল এ কে মোহম্মদ সামছুল আহসান ও মোহাম্মদ রফিকুল করিম, প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্য,কনস্যুলেটের সদস্য, মিলানের বাংলাদেশি বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাসহ অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আবু তাহির মুহাম্মাদ জাবের বলেন, বাংলাদেশ ২০১২ সাল থেকে এ মেলায় অংশগ্রহণ করে আসছে। ইতিহাস,ঐতিহ্য,সমুদ্রসৈকত,ম্যানগ্রোভ ফরেস্টসহ পর্যটনকেন্দ্র বাংলাদেশকে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করেছে। তিনি বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ আনন্দময় ও নিরাপদ করার জন্য সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
ইকবাল আহমেদ পর্যটন খাতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের নানা চিত্র তুলে ধরেন। তিনি আশা করেন এ মেলা ইতালি ও অন্য দেশের পর্যটকদের বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে ও ভ্রমণে আগ্রহী করবে।
বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে ‘ল্যান্ড অব রিভার্স’ ও ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ শীর্ষক ভিডিও প্রদর্শন এবং সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক পর্ব উপস্থাপন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত স্থানীয় সাংবাদিক ও সুধীজনদের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন করা হয়। কনস্যুলেটের কর্মকর্তা ও পরিবারের সদস্যবৃন্দ বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে আগত বিদেশীদের হাতে মেহেদি ও কপালে টিপ পরিয়ে দেন। এ ছাড়া আরও একটি অনবদ্য আয়োজনে ছিল মহান ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে একটি ছোট তথ্যকণিকা প্রদর্শন এবং বাংলাদেশ স্টলে আগত ব্যক্তিদের বাংলায় নিজেদের নাম লিখতে সাহায্য করা ও নামাঙ্কিত কাগজটি তাঁদের শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে দেওয়া।
বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে আগত বিদেশিদের হাতে মেহেদি ও কপালে টিপ পরিয়ে দেওয়া হয়।
সাংস্কৃতিক পর্বে ঐতিহ্যবাহী লোকসংগীতের সঙ্গে নৃত্য, যন্ত্রসংগীত এবং আধুনিক ও ফোক ঘরানার সংগীত পরিবেশিত হয়। সব মিলিয়ে পুরো অনুষ্ঠানে একটি বর্ণিল আবহর সূচনা হয় যা অভ্যাগতরা বিপুল উৎসাহে উপভোগ করেন।