ঢাকা ০৭:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ইন্সপেক্টর রেজায়ে রাব্বীর বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে ফায়ার সার্ভিসের বক্তব্য Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লাটিম ঘুরাচ্ছেন ৬ ‘কুতুব’ Logo ওয়াসা প্রকৌশলী ফকরুলের আমলনামা: অবৈধ সম্পদের সাম্রাজ্য Logo আশা ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত Logo চাঁদার টাকা না পেয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা Logo সাংবাদিকদের হত্যা চেষ্টার ঘটনায় চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা Logo জামিনে মুক্ত রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ Logo স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির রাঘব বোয়াল বায়ো ট্রেড ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িত ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা রাব্বি লাপাত্তা Logo বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ




বন্ধুর স্ত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও পর্ণোসাইটে বিক্রি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০ ১২৮ বার পড়া হয়েছে

গাজীপুর;

গাজীপুরের কাপাসিয়ার বন্ধুর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত এক আসামিকে সীমান্তবর্তী বান্দরবান থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামি হলেন- কাপাসিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য, গ্যাস ব্যবসায়ী খাইরুল আলম সবুজ। তিনি কাপাসিয়ার সাফাইশ্রী গ্রামের মৃত শুক্কুর আলীর ছেলে বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে।

কাপাসিয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার ধর্ষণ মামলার আসমি খাইরুল আলম সবুজ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বান্দরবানের একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামি খাইরুল আলম সবুজের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, দলিল লেখক মাহফুজুর রহমান রাসেল মোল্লার সহকারী হিসেবে কাজ করতেন সাফাইশ্রী গ্রামের এক ব্যক্তি। ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে রাসেল মোল্লা ওই ব্যক্তির বাড়িতে যান। ওই ব্যক্তি বাড়িতে না থাকার
সুযোগে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন রাসেল মোল্লা। এ দৃশ্য রাসেল মোল্লা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। পরে ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে রাসেলের দুই বন্ধু সবুজ ও সোহেলকে নিয়ে প্রায়ই তাঁরা ওই নারীকে ধর্ষণ করতেন।

মামলায় আরও বলা হয়, গত ২২ জুলাই খাইরুল ইসলাম সবুজ ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি ওই নারীর স্বামী জেনে যান। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। স্ত্রীর বাড়ির লোকজনকে ডেকে এনে তাঁর স্বামী সংসার ভাঙার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। গত ২৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে অভিযুক্ত ‘ধর্ষণকারী’ রাসেল মোল্লা, সবুজ ও সোহেল ও নারীর বাড়িতে গিয়ে ওই নারী ও তাঁর স্বামীকে গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে অস্ত্র দেখিয়ে তাঁদের হত্যার চেষ্টা করেন। পরে ওই নারী এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কাপাসিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

অপরদিকে অভিযুক্ত ধর্ষণকারী রাসেল মোল্লা, সবুজ ও সোহেল ওই নারীকে ধর্ষণের ভিডিও বিদেশি কয়েকটি পর্ণোসাইটে আপলোড করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পর্ণোসাইটে ধর্ষণের ভিডিও আপলোড করার অভিযোগ এনে গাজীপুর আদালতে ওই নারী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।

ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী অভিযোগ করে বলেন, রাসেল মোল্লা, সবুজ ও সোহেল মিলে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও আন্তর্জাতিক কয়েকটি পর্ণোগ্রাফি সাইটে বিক্রি করে দেয়। ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের এসব পর্ণোসাইটে ধর্ষণের ভিডিও এখন সবার হাতে হাতে।

তিনি বলেন, বিদেশি অনলাইন সার্ভার এনজিইবিওকেইপি নামের সার্ভারের ওয়েব সাইট টিআইএনওয়াইইউআরএল ডট কম এবং আন্তর্জাতিক কয়েকটি পর্ণোসাইটে ধর্ষণের ভিডিও আপলোড করা হয়। ‘ধর্ষণকারী’ আসামি রাসেল মোল্লার বাবা মফিজ উদ্দিন মোল্লা, আসামি সবুজের ব্যবসার ম্যানেজর দুলালসহ অন্যরা নানাভাবে আমাকে ও আমার স্ত্রী আত্মীয়স্বজনদের হুমকি দিচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বন্ধুর স্ত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও পর্ণোসাইটে বিক্রি

আপডেট সময় : ০৯:০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০

গাজীপুর;

গাজীপুরের কাপাসিয়ার বন্ধুর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত এক আসামিকে সীমান্তবর্তী বান্দরবান থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামি হলেন- কাপাসিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য, গ্যাস ব্যবসায়ী খাইরুল আলম সবুজ। তিনি কাপাসিয়ার সাফাইশ্রী গ্রামের মৃত শুক্কুর আলীর ছেলে বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে।

কাপাসিয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার ধর্ষণ মামলার আসমি খাইরুল আলম সবুজ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বান্দরবানের একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামি খাইরুল আলম সবুজের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, দলিল লেখক মাহফুজুর রহমান রাসেল মোল্লার সহকারী হিসেবে কাজ করতেন সাফাইশ্রী গ্রামের এক ব্যক্তি। ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে রাসেল মোল্লা ওই ব্যক্তির বাড়িতে যান। ওই ব্যক্তি বাড়িতে না থাকার
সুযোগে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন রাসেল মোল্লা। এ দৃশ্য রাসেল মোল্লা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। পরে ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে রাসেলের দুই বন্ধু সবুজ ও সোহেলকে নিয়ে প্রায়ই তাঁরা ওই নারীকে ধর্ষণ করতেন।

মামলায় আরও বলা হয়, গত ২২ জুলাই খাইরুল ইসলাম সবুজ ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি ওই নারীর স্বামী জেনে যান। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। স্ত্রীর বাড়ির লোকজনকে ডেকে এনে তাঁর স্বামী সংসার ভাঙার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। গত ২৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে অভিযুক্ত ‘ধর্ষণকারী’ রাসেল মোল্লা, সবুজ ও সোহেল ও নারীর বাড়িতে গিয়ে ওই নারী ও তাঁর স্বামীকে গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে অস্ত্র দেখিয়ে তাঁদের হত্যার চেষ্টা করেন। পরে ওই নারী এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কাপাসিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

অপরদিকে অভিযুক্ত ধর্ষণকারী রাসেল মোল্লা, সবুজ ও সোহেল ওই নারীকে ধর্ষণের ভিডিও বিদেশি কয়েকটি পর্ণোসাইটে আপলোড করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পর্ণোসাইটে ধর্ষণের ভিডিও আপলোড করার অভিযোগ এনে গাজীপুর আদালতে ওই নারী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।

ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী অভিযোগ করে বলেন, রাসেল মোল্লা, সবুজ ও সোহেল মিলে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও আন্তর্জাতিক কয়েকটি পর্ণোগ্রাফি সাইটে বিক্রি করে দেয়। ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের এসব পর্ণোসাইটে ধর্ষণের ভিডিও এখন সবার হাতে হাতে।

তিনি বলেন, বিদেশি অনলাইন সার্ভার এনজিইবিওকেইপি নামের সার্ভারের ওয়েব সাইট টিআইএনওয়াইইউআরএল ডট কম এবং আন্তর্জাতিক কয়েকটি পর্ণোসাইটে ধর্ষণের ভিডিও আপলোড করা হয়। ‘ধর্ষণকারী’ আসামি রাসেল মোল্লার বাবা মফিজ উদ্দিন মোল্লা, আসামি সবুজের ব্যবসার ম্যানেজর দুলালসহ অন্যরা নানাভাবে আমাকে ও আমার স্ত্রী আত্মীয়স্বজনদের হুমকি দিচ্ছে।