ঢাকা ০১:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গোপালগঞ্জে ‘নৌকার দুর্গ’ ভাঙার চ্যালেঞ্জে বিএনপি Logo ফরিদপুরে কৃষকদল নেতা খন্দকার নাসিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ Logo ডিপিডিসির রুহুল আমিন ফকির দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন শতকোটি টাকার সম্পদ Logo উত্তরখানে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল নেত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা Logo খুলনা-৬ আসনে বিএনপির সাক্ষাতের ডাক পেলেন সিনিয়র সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo গুলশানে ‘Bliss Art Lounge’-এ অভিযান: প্রচুর বিদেশি মদসহ ৯ জন গ্রেফতার Logo টঙ্গীতে ১১ বছরের ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ নিখোঁজ Logo “স্টার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫” পেলেন দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ Logo খুলনায় মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ, এলাকায় চাপা উত্তেজনা Logo স্বৈরাচার সরকারের সুবিধাভোগী ‘যশোর বিআরটিএ অফিসের তারিক ধরাছোঁয়ার বাইরে|(পর্ব – ০১)

অর্থ পাচারকারীদের তথ্য চেয়ে ৫০ দেশে দুদকের চিঠি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৫:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০ ১৯৫ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ;
রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, আমলাসহ বিভিন্ন পেশার প্রায় ৪০ ব্যক্তির অর্থ পাচারের তথ্য চেয়ে কানাডা আমেরিকাসহ ৫০টি দেশে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতেই বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের মাধ্যমে আইনি সহায়তামূলক এসব চিঠি পাঠানো হয়।

চলতি বছরের মার্চে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের তথ্য প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিএফআই। এতে বলা হয়, ওই বছরই পাচার হয়েছে ৯৮ হাজার কোটি টাকা। পাচার হওয়া এ অর্থ দিয়ে চারটি পদ্মাসেতু তৈরি করা সম্ভব।

বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হলেও পাচারকারীরা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর বাদে আর কারো পাচার করা অর্থ দেশে আনার রেকর্ড নেই। তবে এবার পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে তৎপর হয়েছে দুদক। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুরসহ ৫০টি দেশে আইনি সহায়তা চেয়ে এমএলএআর পাঠিয়েছে দুদক।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সিনিয়র সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, ‘আমরা বিদেশে বিভিন্ন সংস্থাকে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে কোন অর্থ পাচার হয়ে থাকলে সেই অর্থ দেশে ফেরত আনার জন্য এমএলএআর পাঠিয়েছি। প্রায় ৫০টি দেশে এমএলএআর পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, দুদক যাদের অর্থ পাচারের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে তাদের মধ্যে রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, আমলাসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করতে চায় না সংস্থাটি।

মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত আরো বলেন, ‘যদি প্রমাণিত হয় কেউ বিদেমে অর্থ পাঠিয়েছেন তহলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সে অর্থ ফেরত আনার জন্য এমএলএআর করবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :
error: Content is protected !!

অর্থ পাচারকারীদের তথ্য চেয়ে ৫০ দেশে দুদকের চিঠি

আপডেট সময় : ০৯:১৫:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০

সকালের সংবাদ;
রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, আমলাসহ বিভিন্ন পেশার প্রায় ৪০ ব্যক্তির অর্থ পাচারের তথ্য চেয়ে কানাডা আমেরিকাসহ ৫০টি দেশে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতেই বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের মাধ্যমে আইনি সহায়তামূলক এসব চিঠি পাঠানো হয়।

চলতি বছরের মার্চে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের তথ্য প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিএফআই। এতে বলা হয়, ওই বছরই পাচার হয়েছে ৯৮ হাজার কোটি টাকা। পাচার হওয়া এ অর্থ দিয়ে চারটি পদ্মাসেতু তৈরি করা সম্ভব।

বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হলেও পাচারকারীরা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর বাদে আর কারো পাচার করা অর্থ দেশে আনার রেকর্ড নেই। তবে এবার পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে তৎপর হয়েছে দুদক। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুরসহ ৫০টি দেশে আইনি সহায়তা চেয়ে এমএলএআর পাঠিয়েছে দুদক।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সিনিয়র সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, ‘আমরা বিদেশে বিভিন্ন সংস্থাকে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে কোন অর্থ পাচার হয়ে থাকলে সেই অর্থ দেশে ফেরত আনার জন্য এমএলএআর পাঠিয়েছি। প্রায় ৫০টি দেশে এমএলএআর পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, দুদক যাদের অর্থ পাচারের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে তাদের মধ্যে রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, আমলাসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করতে চায় না সংস্থাটি।

মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত আরো বলেন, ‘যদি প্রমাণিত হয় কেউ বিদেমে অর্থ পাঠিয়েছেন তহলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সে অর্থ ফেরত আনার জন্য এমএলএআর করবে।’