ঢাকা ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতের অবস্থান এবং পরবর্তীতে রাজনৈতিক পথচলা Logo রাত ৮টার পর বন্ধ থাকবে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানঃ  উপদেষ্টা আসিফ Logo গণপূর্তে পীরের কেরামতি: পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও প্রধান প্রকৌশলী চেয়ারে বহাল! Logo ডিবির অভিযানে দোহার থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদকসহ পাঁচজন গ্রেফতার Logo অবসরে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার – পর্ব ১ Logo ১০০ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড পিকআপসহ দুই মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার Logo আলোচিত দুর্নীতিবাজ জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল বহাল তবিয়তে!  Logo বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবারের শেয়ার, ব্যাংক হিসাব বন্ধের নির্দেশ  Logo দশমিনায় যুবদল নেতাকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন Logo কেরানীগঞ্জ মডেল ভূমি অফিস যেন ঘুষের আস্তানা: এসিল্যান্ড থেকে পিয়ন সবাই এক আত্মা! 

অর্থ পাচারকারীদের তথ্য চেয়ে ৫০ দেশে দুদকের চিঠি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৫:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০ ১৬২ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ;
রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, আমলাসহ বিভিন্ন পেশার প্রায় ৪০ ব্যক্তির অর্থ পাচারের তথ্য চেয়ে কানাডা আমেরিকাসহ ৫০টি দেশে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতেই বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের মাধ্যমে আইনি সহায়তামূলক এসব চিঠি পাঠানো হয়।

চলতি বছরের মার্চে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের তথ্য প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিএফআই। এতে বলা হয়, ওই বছরই পাচার হয়েছে ৯৮ হাজার কোটি টাকা। পাচার হওয়া এ অর্থ দিয়ে চারটি পদ্মাসেতু তৈরি করা সম্ভব।

বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হলেও পাচারকারীরা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর বাদে আর কারো পাচার করা অর্থ দেশে আনার রেকর্ড নেই। তবে এবার পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে তৎপর হয়েছে দুদক। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুরসহ ৫০টি দেশে আইনি সহায়তা চেয়ে এমএলএআর পাঠিয়েছে দুদক।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সিনিয়র সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, ‘আমরা বিদেশে বিভিন্ন সংস্থাকে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে কোন অর্থ পাচার হয়ে থাকলে সেই অর্থ দেশে ফেরত আনার জন্য এমএলএআর পাঠিয়েছি। প্রায় ৫০টি দেশে এমএলএআর পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, দুদক যাদের অর্থ পাচারের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে তাদের মধ্যে রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, আমলাসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করতে চায় না সংস্থাটি।

মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত আরো বলেন, ‘যদি প্রমাণিত হয় কেউ বিদেমে অর্থ পাঠিয়েছেন তহলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সে অর্থ ফেরত আনার জন্য এমএলএআর করবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

অর্থ পাচারকারীদের তথ্য চেয়ে ৫০ দেশে দুদকের চিঠি

আপডেট সময় : ০৯:১৫:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০

সকালের সংবাদ;
রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, আমলাসহ বিভিন্ন পেশার প্রায় ৪০ ব্যক্তির অর্থ পাচারের তথ্য চেয়ে কানাডা আমেরিকাসহ ৫০টি দেশে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতেই বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের মাধ্যমে আইনি সহায়তামূলক এসব চিঠি পাঠানো হয়।

চলতি বছরের মার্চে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের তথ্য প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিএফআই। এতে বলা হয়, ওই বছরই পাচার হয়েছে ৯৮ হাজার কোটি টাকা। পাচার হওয়া এ অর্থ দিয়ে চারটি পদ্মাসেতু তৈরি করা সম্ভব।

বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হলেও পাচারকারীরা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর বাদে আর কারো পাচার করা অর্থ দেশে আনার রেকর্ড নেই। তবে এবার পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে তৎপর হয়েছে দুদক। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুরসহ ৫০টি দেশে আইনি সহায়তা চেয়ে এমএলএআর পাঠিয়েছে দুদক।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সিনিয়র সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, ‘আমরা বিদেশে বিভিন্ন সংস্থাকে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে কোন অর্থ পাচার হয়ে থাকলে সেই অর্থ দেশে ফেরত আনার জন্য এমএলএআর পাঠিয়েছি। প্রায় ৫০টি দেশে এমএলএআর পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, দুদক যাদের অর্থ পাচারের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে তাদের মধ্যে রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, আমলাসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করতে চায় না সংস্থাটি।

মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত আরো বলেন, ‘যদি প্রমাণিত হয় কেউ বিদেমে অর্থ পাঠিয়েছেন তহলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সে অর্থ ফেরত আনার জন্য এমএলএআর করবে।’