ঢাকা ১২:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নিবন্ধন অধিদপ্তরের দুর্নীতির সম্রাট সালাম আজাদ! Logo ইন্সপেক্টর রেজায়ে রাব্বীর বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে ফায়ার সার্ভিসের বক্তব্য Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লাটিম ঘুরাচ্ছেন ৬ ‘কুতুব’ Logo ওয়াসা প্রকৌশলী ফকরুলের আমলনামা: অবৈধ সম্পদের সাম্রাজ্য Logo আশা ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত Logo চাঁদার টাকা না পেয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা Logo সাংবাদিকদের হত্যা চেষ্টার ঘটনায় চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা Logo জামিনে মুক্ত রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ Logo স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির রাঘব বোয়াল বায়ো ট্রেড ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িত ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা রাব্বি লাপাত্তা




মোহাম্মদপুরে বাসে অজ্ঞান যাত্রী, উদ্ধার করলেন নারী সার্জেন্ট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৪:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০ ১১০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক;

বুধবার বিকেল ৫টা। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কলেজগেট ও শেরেবাংলা নগরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশেই ডিউটি করছিলেন নারী পুলিশ সার্জেন্ট ইসমত তারা। তার সঙ্গে ছিলেন আরেক নারী সার্জেন্ট রেহানা পারভীন। তবে সার্জেন্ট রেহানার ডিউটি ছিল না। শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পুলিশ বক্সের পাশে দাঁড়িয়ে কাজের ফাঁকে নিজেদের মধ্যে আলাপ করছিলেন তারা।

সে সময় হঠাৎ একজন যুবক এসে বললো, স্যার আমার বাসে একজন নারী অজ্ঞান হয়ে পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সার্জেন্ট ইসমত তারা ও রেহানা পারভীন দৌড়ে মনজিল পরিবহনের বাসে ওঠেন। সামনে বসা এক নারীকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। পরে দুজন ধরে বাস থেকে নামিয়ে একটি চেয়ারে বসিয়ে চোখে-মুখে পানি দেন। ধীরে ধীরে জ্ঞান ফিরে আসে।

কিছুক্ষণ পর ওই নারীর কাছে থাকা মোবাইল থেকে নম্বর নিয়ে তার এক আত্মীয়কে ফোন দেন সার্জেন্ট রেহানা। অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তি জানান, ওই নারীর নাম তাহমিনা। কিছুক্ষণ আগে তাহমিনাকে সদরঘাটের বাসে তুলে দেন বলে জানান। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের বানারীপাড়ায়। তাহমিনা অনেকটা শারীরিকভাবে দুর্বল। তাকে বাসায় যেতে নিষেধ করা হয়েছিল কিন্তু শোনেননি।

এখন কী অবস্থা জানতে চাইলে সার্জেন্ট ইসমত তারা জানান, এখন আগের থেকে অনেক ভালো। তিনি নিজেকে সুস্থ মনে করায় সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তাকে আবার সদরঘাটের বাসে তুলে দেয়া হয়।

তাহমিনা বলেন, শরীর অনেক দুর্বল থাকায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফিরে দেখি পুলিশ আপারা আমাকে ফ্যানের নিচে বসিয়ে রেখেছেন। চোখে-মুখে পানি দিয়েছেন। এরপর অনেক সু্স্থবোধ করি। তাদের বলি আমাকে সদরঘাটের বাসে তুলে দিতে। তারা আমাকে পরে বাসে তুলে দেন।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ডিউটিরত নারী সার্জেন্ট ইসমত তারা জাগো নিউজকে বলেন, আমি ও আমার সহকর্মী সার্জেন্ট রেহানা পারভীন কথা বলছিলাম। হঠাৎ একজন আমাদের এসে বলে, বাসে একজন যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন। আমরা দুজনই দ্রুত ছুটে যাই সেখানে। পরে নারীকে বাস থেকে নামাই।

তিনি বলেন, প্রথমে আমরা মনে করেছিলাম বোরকা পরা থাকায় গরমে তার কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা। এরপর হিজাব খুলে নাকে-চোখে মুখে পানি দিলে কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরতে শুরু করে। জ্ঞান ফিরলে তার মোবাইল থেকে নম্বর নিয়ে তার আত্মীয়ের সাথে যোগাযোগ করা হয়। পরে তাকে আবারও সদরঘাটের বাসে তুলে দেই।

এক প্রশ্নের জবাবে সার্জেন্ট ইসমত তারা বলেন, আমরা যখন জানতে পারলাম একজন মানুষ অসুস্থ অবস্থায় আছে তখন মানবিকভাবেই আমরা এগিয়ে যাই। এটা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মোহাম্মদপুরে বাসে অজ্ঞান যাত্রী, উদ্ধার করলেন নারী সার্জেন্ট

আপডেট সময় : ১০:৩৪:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০

নিউজ ডেস্ক;

বুধবার বিকেল ৫টা। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কলেজগেট ও শেরেবাংলা নগরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশেই ডিউটি করছিলেন নারী পুলিশ সার্জেন্ট ইসমত তারা। তার সঙ্গে ছিলেন আরেক নারী সার্জেন্ট রেহানা পারভীন। তবে সার্জেন্ট রেহানার ডিউটি ছিল না। শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পুলিশ বক্সের পাশে দাঁড়িয়ে কাজের ফাঁকে নিজেদের মধ্যে আলাপ করছিলেন তারা।

সে সময় হঠাৎ একজন যুবক এসে বললো, স্যার আমার বাসে একজন নারী অজ্ঞান হয়ে পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সার্জেন্ট ইসমত তারা ও রেহানা পারভীন দৌড়ে মনজিল পরিবহনের বাসে ওঠেন। সামনে বসা এক নারীকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। পরে দুজন ধরে বাস থেকে নামিয়ে একটি চেয়ারে বসিয়ে চোখে-মুখে পানি দেন। ধীরে ধীরে জ্ঞান ফিরে আসে।

কিছুক্ষণ পর ওই নারীর কাছে থাকা মোবাইল থেকে নম্বর নিয়ে তার এক আত্মীয়কে ফোন দেন সার্জেন্ট রেহানা। অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তি জানান, ওই নারীর নাম তাহমিনা। কিছুক্ষণ আগে তাহমিনাকে সদরঘাটের বাসে তুলে দেন বলে জানান। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের বানারীপাড়ায়। তাহমিনা অনেকটা শারীরিকভাবে দুর্বল। তাকে বাসায় যেতে নিষেধ করা হয়েছিল কিন্তু শোনেননি।

এখন কী অবস্থা জানতে চাইলে সার্জেন্ট ইসমত তারা জানান, এখন আগের থেকে অনেক ভালো। তিনি নিজেকে সুস্থ মনে করায় সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তাকে আবার সদরঘাটের বাসে তুলে দেয়া হয়।

তাহমিনা বলেন, শরীর অনেক দুর্বল থাকায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফিরে দেখি পুলিশ আপারা আমাকে ফ্যানের নিচে বসিয়ে রেখেছেন। চোখে-মুখে পানি দিয়েছেন। এরপর অনেক সু্স্থবোধ করি। তাদের বলি আমাকে সদরঘাটের বাসে তুলে দিতে। তারা আমাকে পরে বাসে তুলে দেন।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ডিউটিরত নারী সার্জেন্ট ইসমত তারা জাগো নিউজকে বলেন, আমি ও আমার সহকর্মী সার্জেন্ট রেহানা পারভীন কথা বলছিলাম। হঠাৎ একজন আমাদের এসে বলে, বাসে একজন যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন। আমরা দুজনই দ্রুত ছুটে যাই সেখানে। পরে নারীকে বাস থেকে নামাই।

তিনি বলেন, প্রথমে আমরা মনে করেছিলাম বোরকা পরা থাকায় গরমে তার কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা। এরপর হিজাব খুলে নাকে-চোখে মুখে পানি দিলে কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরতে শুরু করে। জ্ঞান ফিরলে তার মোবাইল থেকে নম্বর নিয়ে তার আত্মীয়ের সাথে যোগাযোগ করা হয়। পরে তাকে আবারও সদরঘাটের বাসে তুলে দেই।

এক প্রশ্নের জবাবে সার্জেন্ট ইসমত তারা বলেন, আমরা যখন জানতে পারলাম একজন মানুষ অসুস্থ অবস্থায় আছে তখন মানবিকভাবেই আমরা এগিয়ে যাই। এটা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।