ঢাকা ১০:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




১২ বছরের ছাত্রীকে নিয়ে উধাও মাদ্রাসাশিক্ষক!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৫:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০ ৭৪ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কl

এক মাস ধরে ধর্ষণের পর মঙ্গলবার মাদ্রাসার শিশুছাত্রীকে নিয়ে উধাও হয়েছেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক মাওলানা মো. ইউসুফ সোহাগ (৪০)। ওই ছাত্রীর বয়স ১২ বছর।

পরে ধর্ষণের অভিযোগে বুধবার দুপুরে তাকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয়রা।

মাওলানা মো. ইউসুফ দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের সহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি চান্দিনার কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ জামে মসজিদের ইমাম। তিনি একটি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও মোহতামিম।

মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা বলেন, ২০১৯ সালে ওই মাদ্রাসায় আমার মেয়েকে ভর্তি করি। মঙ্গলবার জানতে পারি ওই শিক্ষক আমার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে আমি বিভিন্নভাবে খোঁজ নিয়ে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে মানবাধিকার কর্মী ও কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন সরকারকে বিষয়টি জানাই। তিনি মঙ্গলবার রাতেই ওই শিক্ষকসহ আমার মেয়েকে উদ্ধার করেন।

ওই মাদ্রাসাছাত্রী জানায়, মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত অবস্থায় এক মাস আগে ইউসুফ হুজুর আমাকে ধর্ষণ করে। আমি বিষয়টি আমার অভিভাবককে জানাতে চাইলে আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। পরে তিনি সুযোগ পেলেই আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করতেন। মঙ্গলবার আমাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে জোর করে ঢাকায় নিয়ে যান।

কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন সরকার জানান, ওই শিক্ষক এ পর্যন্ত চারটি বিয়ে করেছেন। এখনও তার দুটি স্ত্রী বর্তমান রয়েছে। কওমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে শিশুছাত্রীদের বিভিন্নভাবে জিম্মি করে ধর্ষণের আরও বহু অভিযোগ রয়েছে।

দেবিদ্বার থানার অফিসার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, মেয়েটি ও মাদ্রাসা শিক্ষকের বাড়ি দেবিদ্বার থানা এলাকা হলেও ঘটনাস্থলটি চান্দিনা থানা এলাকায়। এ বিষয়ে চান্দিনা থানা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

চান্দিনা থানার ওসি শামসউদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এখনই জানতে পেরে ওই মাদ্রাসাশিক্ষকসহ মেয়েটিকে থানায় এনেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




১২ বছরের ছাত্রীকে নিয়ে উধাও মাদ্রাসাশিক্ষক!

আপডেট সময় : ১১:৩৫:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০

অনলাইন ডেস্কl

এক মাস ধরে ধর্ষণের পর মঙ্গলবার মাদ্রাসার শিশুছাত্রীকে নিয়ে উধাও হয়েছেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক মাওলানা মো. ইউসুফ সোহাগ (৪০)। ওই ছাত্রীর বয়স ১২ বছর।

পরে ধর্ষণের অভিযোগে বুধবার দুপুরে তাকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয়রা।

মাওলানা মো. ইউসুফ দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের সহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি চান্দিনার কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ জামে মসজিদের ইমাম। তিনি একটি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও মোহতামিম।

মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা বলেন, ২০১৯ সালে ওই মাদ্রাসায় আমার মেয়েকে ভর্তি করি। মঙ্গলবার জানতে পারি ওই শিক্ষক আমার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে আমি বিভিন্নভাবে খোঁজ নিয়ে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে মানবাধিকার কর্মী ও কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন সরকারকে বিষয়টি জানাই। তিনি মঙ্গলবার রাতেই ওই শিক্ষকসহ আমার মেয়েকে উদ্ধার করেন।

ওই মাদ্রাসাছাত্রী জানায়, মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত অবস্থায় এক মাস আগে ইউসুফ হুজুর আমাকে ধর্ষণ করে। আমি বিষয়টি আমার অভিভাবককে জানাতে চাইলে আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। পরে তিনি সুযোগ পেলেই আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করতেন। মঙ্গলবার আমাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে জোর করে ঢাকায় নিয়ে যান।

কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন সরকার জানান, ওই শিক্ষক এ পর্যন্ত চারটি বিয়ে করেছেন। এখনও তার দুটি স্ত্রী বর্তমান রয়েছে। কওমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে শিশুছাত্রীদের বিভিন্নভাবে জিম্মি করে ধর্ষণের আরও বহু অভিযোগ রয়েছে।

দেবিদ্বার থানার অফিসার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, মেয়েটি ও মাদ্রাসা শিক্ষকের বাড়ি দেবিদ্বার থানা এলাকা হলেও ঘটনাস্থলটি চান্দিনা থানা এলাকায়। এ বিষয়ে চান্দিনা থানা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

চান্দিনা থানার ওসি শামসউদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এখনই জানতে পেরে ওই মাদ্রাসাশিক্ষকসহ মেয়েটিকে থানায় এনেছি।