ঢাকা ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বটিয়াঘাটা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতি ও অনিয়মে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ Logo বামনায় রাতের অন্ধকারে লোহার পুল চুরি! কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকা Logo কথিত পীরের ধর্ম ব্যবসার পাশাপাশি পোল্ট্রি ফার্ম : ধ্বংসের মুখে পরিবেশ Logo নকল সিগমা লিফটে গ্রাহকরা প্রতারিত, বাড়ছে দুর্ঘটনা! Logo বিএডিসি’র আড়ালে দুর্নীতির কারখানা: গুদামরক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ Logo অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) উদাসীন Logo রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও মার্কেট নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের অবহেলা Logo হানিফ ফ্লাইওভার টোলের ১২০০ কোটি টাকা ওরিয়ন গ্রুপের পেটে! Logo ‘ফুল ভলিয়মে ভাইরাল গানে মগ্ন অন্তর্বর্তী জোট’ Logo স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্বৈরাচারের দোসর সৈয়দ হাবিবুরের দুর্নীতির ফিরিস্তি- পর্ব ১

ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষকদের হাতে তুলে দিয়েছিল শানু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০ ১৯১ বার পড়া হয়েছে

 

দিনাজপুরের বিরলে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে এক নারীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতররা হলো বিরল উপজেলার পলাশবাড়ী ইউপির মুন্সিপাড়ার বুদু মোহাম্মদের ছেলে লিটন হোসেন (৩০) ও রাণীপুকুর গ্রামের সুমনের মেয়ে মোসা. শানু (২৪)। এ ঘটনার আরেক আসামি কটিয়াপাড়ার বেলাল হোসেনে ছেলে মোস্তফা ওরফে ধলু (২৮) পলাতক রয়েছেন।

বিরল থানায় দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে ঢাকায় ভালো বেতনের চাকরিসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ও ফুসলিয়ে মোসা. শানু ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া নাবালিকা কন্যাকে লিটন হোসেন ও মোস্তফার হাতে তুলে দেয়। পরে শানুর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় অটোযোগে প্রথমে চককাঞ্চন এলাকার জীবনমহল পার্কে নিয়ে গিয়ে একটি ঘরে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে লিটন ও মোস্তফা জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর ভিকটিমকে পরের দিন ঢাকার বাইপাইল নামক স্থানে অজ্ঞাতনামা এক বাসায় নিয়ে গিয়ে আবারো দুজনে ধর্ষণ করে।

এদিকে ভিকটিমের পরিবার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে না পেয়ে সন্ধ্যানকালে ভিকটিমের সঙ্গে শানুকে এলাকার লোকজন কথা বলতে দেখেছে বলে জানতে পারে। এ সময় শানুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে ভিকটিমকে ওই দুজনের হাতে তুলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে। এরপর মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে ৪ অক্টোবর রাতে ভিকটিম বাড়িতে ফিরে এসে পরিবারের সদস্যদের কাছে বিষয়টি খুলে বলে। পরে ভিকটিমের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরদিন সোমবার রাতে উল্লেখিত তিনজনের বিরুদ্ধে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত ২০০৩) ৭/৯(৩)/৩০ ধারায় বিরল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরই ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বিরল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কাদের জানান, মামলাটি তদন্তাধীন। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার অপর আসামি মোস্তফাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষকদের হাতে তুলে দিয়েছিল শানু

আপডেট সময় : ০৯:৫০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০

 

দিনাজপুরের বিরলে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে এক নারীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতররা হলো বিরল উপজেলার পলাশবাড়ী ইউপির মুন্সিপাড়ার বুদু মোহাম্মদের ছেলে লিটন হোসেন (৩০) ও রাণীপুকুর গ্রামের সুমনের মেয়ে মোসা. শানু (২৪)। এ ঘটনার আরেক আসামি কটিয়াপাড়ার বেলাল হোসেনে ছেলে মোস্তফা ওরফে ধলু (২৮) পলাতক রয়েছেন।

বিরল থানায় দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে ঢাকায় ভালো বেতনের চাকরিসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ও ফুসলিয়ে মোসা. শানু ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া নাবালিকা কন্যাকে লিটন হোসেন ও মোস্তফার হাতে তুলে দেয়। পরে শানুর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় অটোযোগে প্রথমে চককাঞ্চন এলাকার জীবনমহল পার্কে নিয়ে গিয়ে একটি ঘরে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে লিটন ও মোস্তফা জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর ভিকটিমকে পরের দিন ঢাকার বাইপাইল নামক স্থানে অজ্ঞাতনামা এক বাসায় নিয়ে গিয়ে আবারো দুজনে ধর্ষণ করে।

এদিকে ভিকটিমের পরিবার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে না পেয়ে সন্ধ্যানকালে ভিকটিমের সঙ্গে শানুকে এলাকার লোকজন কথা বলতে দেখেছে বলে জানতে পারে। এ সময় শানুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে ভিকটিমকে ওই দুজনের হাতে তুলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে। এরপর মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে ৪ অক্টোবর রাতে ভিকটিম বাড়িতে ফিরে এসে পরিবারের সদস্যদের কাছে বিষয়টি খুলে বলে। পরে ভিকটিমের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরদিন সোমবার রাতে উল্লেখিত তিনজনের বিরুদ্ধে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত ২০০৩) ৭/৯(৩)/৩০ ধারায় বিরল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরই ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বিরল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কাদের জানান, মামলাটি তদন্তাধীন। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার অপর আসামি মোস্তফাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।