ঢাকা ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষকদের হাতে তুলে দিয়েছিল শানু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০ ১০৯ বার পড়া হয়েছে

 

দিনাজপুরের বিরলে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে এক নারীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতররা হলো বিরল উপজেলার পলাশবাড়ী ইউপির মুন্সিপাড়ার বুদু মোহাম্মদের ছেলে লিটন হোসেন (৩০) ও রাণীপুকুর গ্রামের সুমনের মেয়ে মোসা. শানু (২৪)। এ ঘটনার আরেক আসামি কটিয়াপাড়ার বেলাল হোসেনে ছেলে মোস্তফা ওরফে ধলু (২৮) পলাতক রয়েছেন।

বিরল থানায় দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে ঢাকায় ভালো বেতনের চাকরিসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ও ফুসলিয়ে মোসা. শানু ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া নাবালিকা কন্যাকে লিটন হোসেন ও মোস্তফার হাতে তুলে দেয়। পরে শানুর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় অটোযোগে প্রথমে চককাঞ্চন এলাকার জীবনমহল পার্কে নিয়ে গিয়ে একটি ঘরে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে লিটন ও মোস্তফা জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর ভিকটিমকে পরের দিন ঢাকার বাইপাইল নামক স্থানে অজ্ঞাতনামা এক বাসায় নিয়ে গিয়ে আবারো দুজনে ধর্ষণ করে।

এদিকে ভিকটিমের পরিবার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে না পেয়ে সন্ধ্যানকালে ভিকটিমের সঙ্গে শানুকে এলাকার লোকজন কথা বলতে দেখেছে বলে জানতে পারে। এ সময় শানুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে ভিকটিমকে ওই দুজনের হাতে তুলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে। এরপর মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে ৪ অক্টোবর রাতে ভিকটিম বাড়িতে ফিরে এসে পরিবারের সদস্যদের কাছে বিষয়টি খুলে বলে। পরে ভিকটিমের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরদিন সোমবার রাতে উল্লেখিত তিনজনের বিরুদ্ধে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত ২০০৩) ৭/৯(৩)/৩০ ধারায় বিরল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরই ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বিরল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কাদের জানান, মামলাটি তদন্তাধীন। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার অপর আসামি মোস্তফাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষকদের হাতে তুলে দিয়েছিল শানু

আপডেট সময় : ০৯:৫০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০

 

দিনাজপুরের বিরলে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে এক নারীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতররা হলো বিরল উপজেলার পলাশবাড়ী ইউপির মুন্সিপাড়ার বুদু মোহাম্মদের ছেলে লিটন হোসেন (৩০) ও রাণীপুকুর গ্রামের সুমনের মেয়ে মোসা. শানু (২৪)। এ ঘটনার আরেক আসামি কটিয়াপাড়ার বেলাল হোসেনে ছেলে মোস্তফা ওরফে ধলু (২৮) পলাতক রয়েছেন।

বিরল থানায় দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে ঢাকায় ভালো বেতনের চাকরিসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ও ফুসলিয়ে মোসা. শানু ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া নাবালিকা কন্যাকে লিটন হোসেন ও মোস্তফার হাতে তুলে দেয়। পরে শানুর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় অটোযোগে প্রথমে চককাঞ্চন এলাকার জীবনমহল পার্কে নিয়ে গিয়ে একটি ঘরে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে লিটন ও মোস্তফা জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর ভিকটিমকে পরের দিন ঢাকার বাইপাইল নামক স্থানে অজ্ঞাতনামা এক বাসায় নিয়ে গিয়ে আবারো দুজনে ধর্ষণ করে।

এদিকে ভিকটিমের পরিবার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে না পেয়ে সন্ধ্যানকালে ভিকটিমের সঙ্গে শানুকে এলাকার লোকজন কথা বলতে দেখেছে বলে জানতে পারে। এ সময় শানুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে ভিকটিমকে ওই দুজনের হাতে তুলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে। এরপর মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে ৪ অক্টোবর রাতে ভিকটিম বাড়িতে ফিরে এসে পরিবারের সদস্যদের কাছে বিষয়টি খুলে বলে। পরে ভিকটিমের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরদিন সোমবার রাতে উল্লেখিত তিনজনের বিরুদ্ধে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত ২০০৩) ৭/৯(৩)/৩০ ধারায় বিরল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরই ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বিরল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কাদের জানান, মামলাটি তদন্তাধীন। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার অপর আসামি মোস্তফাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।