ঢাবিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জাল সনদ তৈরি-বিক্রি: গ্রেফতার ৩
- আপডেট সময় : ০৮:৩০:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০ ৯৭ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক;
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জাল সার্টিফিকেট ও সিল প্রস্তুতকারী জালিয়াতচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গ্রেফতাররা হলেন- কামরুজ্জামান মো. সালাম (৫৭), রুবিনা আক্তার (৪০) সহযোগী মাহমুদুল হাসান সোহাগ (৩৩)।
রোববার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিআইডি ঢাকা মেট্রো পূর্বের একটি দল রাজধানীর ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের সেঞ্চুরি ডেল ভবনের দ্বিতীয় তলায় হোমোসেপিয়েন্স নামক কোচিং সেন্টার থেকে ও ডেমরা থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
সিআইডি জানিয়েছে, গ্রেফতার সালাম দীর্ঘদিন দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলার পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়টি সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে স্ত্রীকে নিয়ে ফার্মগেট ইন্দিরা রোডের ভবনের কোচিং সেন্টারটি প্রতিষ্ঠা করে।
ওই কোচিং সেন্টারটির অন্তরালে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জাল সনদ তৈরি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সিলমোহর হেফাজতের প্রতারণা করে আসছিল তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার (৫ অক্টোবর) রাতে সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি মিডিয়া) জিসানুল হক বলেন, কিছু ব্যক্তি প্রতারণামূলকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডসহ, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জাল সনদ, বিভিন্ন ব্যক্তি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলমোহর প্রস্তুত করে নিজেদের হেফাজতে রেখে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে আসছিল মর্মে অভিযোগ পায় সিআইডি।
ওই খবরে সিআইডির একটি দল গতরাতে ফার্মগেট ইন্দিরা রোডের ওই কোচিং সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে কামরুজ্জামান ও তার স্ত্রী তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪৬টি জাল সনদ ও ৬টি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সিল উদ্ধার করা হয়।
পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের সহযোগী মাহমুদুল হাসান সোহাগকে ডেমরা থানাধীন সারুলিয়া বাজার সাকসেস কোচিং সেন্টার থেকে আটক করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে ২১টি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জাল সনদ এবং বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ৩টি জাল উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সোমবার গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে শেরে বাংলানগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ৭। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যের ভিত্তিতে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে, পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।