অনলাইন ডেস্ক;
ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচাতে ধর্ষণ চেষ্টাকারীর পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন এক নারী। পরে গুরুতর অসুস্থ মো. নাঈমকে (৩৫) উদ্ধার করে প্রথমে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে বরিশাল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাষানচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নাঈম রসুলপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাষানচর গ্রামের আজম আলী সরদারের ছেলে।
ভুক্তভোগী নারী জানান, তিনি দুই সন্তানের জননী। তার স্বামী নদীতে মাছ শিকার করেন। স্বামীর পেশার পাশাপাশি নকশিকাঁথা তৈরি করে বিক্রি করেন গৃহবধূ। নাঈম তার স্বামীর বন্ধু। সেই সুবাদে তাদের বাড়ি যাওয়া-আসা করতেন। তিন মাস ধরে গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন নাঈম। বিষয়টি নিয়ে নাঈমকে বারবার সতর্ক করেছিলেন ওই নারী।
তিনি বলেন, রোববার রাত ১২টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে বাথরুমে যাই। আমার স্বামী নদীতে মাছ শিকারে যাওয়ায় বাড়ি ফাঁকা ছিল। এ সুযোগে ঘরে ঢুকে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকে নাঈম। বাথরুম থেকে এসে ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ি। হঠাৎ মুখ চেপে ধরে আমার জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় নাঈম। একপর্যায়ে তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি লেগে যায় আমার।
উপায় না পেয়ে ধর্ষণ থেকে বাঁচতে খাটের পাশে থাকা সুঁই-সুতার বক্স থেকে ব্লেড নিয়ে নাঈমের পুরুষাঙ্গ কেটে দেই। তখন নাঈম চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে আসে। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।
চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা শোভন কুমার বশাক বলেন, রোববার রাত পৌনে ৩টার দিকে নাঈমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গৃহবধূ। ঘটনার তদন্ত চলছে।