ঢাকা ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ




সংকটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা, ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মিলছে না ঋণ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:২৪:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০ ১১৬ বার পড়া হয়েছে

আহমেদ সুলতান;

ভালো নেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। করোনার লোকসান কাটিয়ে নতুন করে শুরুর চেষ্টা করলেও নগদ অর্থের সংকটে এগুতে পারছেনা তারা। এজন্য ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মিলছেনা কাঙ্খিত ঋণ সহায়তা।

প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করলেও তার বাস্তবায়ন খুবই কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে আলাদা তহবিল করে অর্থ পৌছাতে হবে এসএমই উদ্যোক্তাদের কাছে।

একসময় ছিলেন ব্যাংকার, তবে বড় কিছু করার বাসনা থেকে চাকুরি ছেড়ে উদ্যোক্তা হয়ে উঠার চেষ্টা ইসরাত জাহান চৌধুরীর। নিজের হাতে দাড় করানো প্রতিষ্ঠান তুলিকাকে নিয়ে এখন অর্থ সংকটে তিনি। খরচ অব্যাহত রয়েছে তবে হাতে নেই অর্ডার। ধরণা দিয়েও মিলছেনা ঋণ সহায়তা।

ইসরাত জাহান চৌধুরী জানান, শুধু মুখেই বলা হচ্ছে ঋণ দেয়া হচ্ছে। আসলে বাস্তবে তা ঠিক উল্টো। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের বাঁচাতে ঋণ সহজীকরণের আহ্বান তার।

তার চেয়ে আরেকটু বড় উদ্যোক্তা সাজেদুর রহমান, নিজের প্রতিষ্ঠান কেপিসিতে তৈরি করছে ওয়ান টাইম পেপারকাপ। করোনা মহামারিতে তার পণ্যের চাহিদা বাড়লেও সস্তায় বিদেশী পণ্যের দাপটে টিকে থাকা মুশকিল হয়ে পড়েছে তার। অর্থ সংকটতো রয়েছেই।

যদিও ইসরাত কিংবা সাজেদুরদের মতো এসএমই উদ্যোক্তাদের নিয়ে ঠিকই ভেবেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল। তবে আগস্ট পর্যন্ত যার বাস্তবায়ন মাত্র ৩ হাজার ৮ শ কোটি টাকা। কেন ঋণ পাচ্ছেনা ছোট উদ্যোক্তারা ?

এমটিবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুর রহমান আশা প্রকাশ করে বলেন, দু-এক মাসের মধ্যেই সংকট সমাধান হবে।

বিপদকালিন এই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ এই অর্থনীতিবিদ ড. সায়মা হক বিদিশার। তিনি আরো জানান, বিভিন্ন ছোট বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিংবা এনজিওর শাদ্যমে ঋণ সহায়তা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে বাবতে হবে।

তবে শুধু আশ্বাস নয় সরকারের কাছে সত্যিকারের সহায়তা চান ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সংকটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা, ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মিলছে না ঋণ

আপডেট সময় : ০৯:২৪:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০

আহমেদ সুলতান;

ভালো নেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। করোনার লোকসান কাটিয়ে নতুন করে শুরুর চেষ্টা করলেও নগদ অর্থের সংকটে এগুতে পারছেনা তারা। এজন্য ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মিলছেনা কাঙ্খিত ঋণ সহায়তা।

প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করলেও তার বাস্তবায়ন খুবই কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে আলাদা তহবিল করে অর্থ পৌছাতে হবে এসএমই উদ্যোক্তাদের কাছে।

একসময় ছিলেন ব্যাংকার, তবে বড় কিছু করার বাসনা থেকে চাকুরি ছেড়ে উদ্যোক্তা হয়ে উঠার চেষ্টা ইসরাত জাহান চৌধুরীর। নিজের হাতে দাড় করানো প্রতিষ্ঠান তুলিকাকে নিয়ে এখন অর্থ সংকটে তিনি। খরচ অব্যাহত রয়েছে তবে হাতে নেই অর্ডার। ধরণা দিয়েও মিলছেনা ঋণ সহায়তা।

ইসরাত জাহান চৌধুরী জানান, শুধু মুখেই বলা হচ্ছে ঋণ দেয়া হচ্ছে। আসলে বাস্তবে তা ঠিক উল্টো। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের বাঁচাতে ঋণ সহজীকরণের আহ্বান তার।

তার চেয়ে আরেকটু বড় উদ্যোক্তা সাজেদুর রহমান, নিজের প্রতিষ্ঠান কেপিসিতে তৈরি করছে ওয়ান টাইম পেপারকাপ। করোনা মহামারিতে তার পণ্যের চাহিদা বাড়লেও সস্তায় বিদেশী পণ্যের দাপটে টিকে থাকা মুশকিল হয়ে পড়েছে তার। অর্থ সংকটতো রয়েছেই।

যদিও ইসরাত কিংবা সাজেদুরদের মতো এসএমই উদ্যোক্তাদের নিয়ে ঠিকই ভেবেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল। তবে আগস্ট পর্যন্ত যার বাস্তবায়ন মাত্র ৩ হাজার ৮ শ কোটি টাকা। কেন ঋণ পাচ্ছেনা ছোট উদ্যোক্তারা ?

এমটিবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুর রহমান আশা প্রকাশ করে বলেন, দু-এক মাসের মধ্যেই সংকট সমাধান হবে।

বিপদকালিন এই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ এই অর্থনীতিবিদ ড. সায়মা হক বিদিশার। তিনি আরো জানান, বিভিন্ন ছোট বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিংবা এনজিওর শাদ্যমে ঋণ সহায়তা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে বাবতে হবে।

তবে শুধু আশ্বাস নয় সরকারের কাছে সত্যিকারের সহায়তা চান ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা।