নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
রাজশাহীর পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সাদিয়া ইসলাম সূচনা ও তার ফুপাতো ভাই রিমনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তারা আর জীবিত নেই বলেই ধারণা করা হচ্ছে। গত শুক্রবার বিকেলে নৌকাডুবির পর থেকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। রবিবার সন্ধ্যায় তারা অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেন। ডুবুরি দল নদী থেকে উঠে যায়।
নিখোঁজ সাদিয়া বিবিএ তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী ছিলেন। তিনি ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় বসবাস করেন। রাজশাহীর পবা উপজেলার খোলাবোনা এলাকায় চাচা জালাল উদ্দিনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তিনি। আর নিখোঁজ স্কুলছাত্র রিমনের বাড়ি নওগাঁ। সম্পর্কে তারা মামাতো-ফুপাতো ভাই-বোন।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, ‘সাধারণত ২৪ ঘণ্টা পর মরদেহ পানিতে ভেসে ওঠে। কিন্তু দুই দিন চেষ্টা করেও নিখোঁজ দুইজনকে আমরা পাইনি। তাই আমাদের ডুবুরি দল নদী থেকে উঠে গেছে। এখন আমরা অপেক্ষা করছি। কোথাও ভেসে উঠলে আমাদের খবর দেয়া হবে। তখন আমরা মরদেহ উদ্ধার করব।’
এদিকে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। গত শনিবার দুপুরে দামকুড়া থানায় রাজশাহী নৌ-পুলিশের কনস্টেবল শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে নৌকার দুই মালিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজশাহী নৌ-পুলিশের পরিদর্শক মেহেদি মাসুদ জানান, ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ১৩ জন যাত্রী নিয়ে রাজশাহী নগরীর নবগঙ্গা এলাকায় পদ্মায় একটি নৌকা ডুবে যায়। পরে ১১ জনকে উদ্ধার করা হলেও দু’জন এখনও নিখোঁজ আছেন