নিউজ ডেস্ক
সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূ এবং খাগড়াছড়িতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী।
এক বার্তায় তিনি বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, শুক্রবার ওই গৃহবধূ তার স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে ঘুরতে এলে ছয়-সাতজন যুবক তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে কলেজ ছাত্রাবাস এলাকায় গণধর্ষণ করে। তার স্বামী প্রতিবাদ করলে মারধর করে আটকে রাখা হয়। আসামিদের কেউ এখনো গ্রেফতার হয়নি। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও উদ্বেগের।
অন্যদিকে খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের শিকার তরুণীর মায়ের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, বুধবার রাতে নয়জন ডাকাত ঘরে ঢুকে তার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করে এবং ঘরের জিনিসপত্র ও গহনা লুটপাট করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মধ্য হতে সাতজন আসামি ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে বলে জানা যায়।
এসব ঘটনায় বিষয়ে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী মনে করেন, একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা অত্যন্ত জঘন্য, ঘৃণ্যতম ও উদ্বেগের কারণ যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নারী ও শিশুর অধিকার সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করা আবশ্যক। এ বিষয়ে সরকার আরও কঠোর হতে হবে। ধর্ষক যেই হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে।
বিচারহীনতার কারণে দিনদিন অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এতে দেশের মানবাধিকার কর্মীরা উদ্বিগ্ন। এভাবে চলতে থাকলে দেশের আইনশৃঙ্খলা চরমভাবে অবনতি ঘটবে। সিলেটের ঘটনায় আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে এবং খাগড়াছড়ির ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব।