ঢাকা ০৯:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিপুর লুটেরা সহযোগী ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি গাউছ মহিউদ্দিন বহাল পিজিসিবিতে! Logo আর্থিক খাতে লুটপাটের মাস্টারমাইন্ড: কে এই প্রতারক ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম? Logo নিবন্ধন অধিদপ্তরের দুর্নীতির সম্রাট সালাম আজাদ! Logo ইন্সপেক্টর রেজায়ে রাব্বীর বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে ফায়ার সার্ভিসের বক্তব্য Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লাটিম ঘুরাচ্ছেন ৬ ‘কুতুব’ Logo ওয়াসা প্রকৌশলী ফকরুলের আমলনামা: অবৈধ সম্পদের সাম্রাজ্য Logo আশা ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত Logo চাঁদার টাকা না পেয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা Logo সাংবাদিকদের হত্যা চেষ্টার ঘটনায় চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা Logo জামিনে মুক্ত রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ




অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেফতার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫০:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২০ ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

উপজেলা প্রতিনিধি শ্রীপুর (গাজীপুর);

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা পোশাক কারখানার শ্রমিককে ধর্ষণ ও ধর্ষণের চিত্র ধারণের অভিযোগে উজ্জল মিয়া নামের এক যুবককে (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বাড়ির মালিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

গ্রেফতার উজ্জল মিয়া মানিকগঞ্জ জেলার নয়নকান্দি এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে। তিনি শ্রীপুর উপজেলার মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের শামীমের বাড়ির ভাড়াটিয়া। এ ঘটনায় শুক্রবার উজ্জল মিয়া, তার বন্ধু মাহবুব ও বাড়ির মালিক সেলিমকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন ওই নারী। মামলার পর রাতেই উজ্জল মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর ধরে শ্রীপুরের মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামে স্বামীসহ সেলিম মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন ওই নারী। বর্তমানে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা তিনি। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় কারখানা থেকে ছুটিতে ওই ভাড়া বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। উজ্জল মিয়া তার স্বামীর বন্ধু হওয়ায় তাদের মধ্যে পরিচয় ও যাওয়া-আসা ছিল।

৭ জুলাই স্বামীর অনুপস্থিতিতে উজ্জল ওই নারীকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের চিত্র মোবাইলে ধারণ করেন। ধারণ করা ভিডিও স্বামীকে দেখানোর ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এতে অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্বামীকে ঘটনা খুলে বলেন। পরে সেলিম ও মাহবুব বিষয়টি মীমাংসা করার প্রস্তাব দেন।

তবে বাড়ির মালিক সেলিম জানান, তাকে ঘরের ভেতর আটকে রাখা, স্বীকারোক্তির ভিডিও ধারণ বা মীমাংসা করে দেয়ার কোনো প্রস্তাব দেয়া হয়নি। তিন মাস ধরে আমার বাড়ির ভাড়া না দিয়ে বসবাস করছেন তারা। এলাকার কিছু লোকজনের উসকানিতে আমাকে মামলার আসামি করা হয়েছে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। উজ্জলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৫:৫০:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২০

উপজেলা প্রতিনিধি শ্রীপুর (গাজীপুর);

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা পোশাক কারখানার শ্রমিককে ধর্ষণ ও ধর্ষণের চিত্র ধারণের অভিযোগে উজ্জল মিয়া নামের এক যুবককে (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বাড়ির মালিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

গ্রেফতার উজ্জল মিয়া মানিকগঞ্জ জেলার নয়নকান্দি এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে। তিনি শ্রীপুর উপজেলার মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের শামীমের বাড়ির ভাড়াটিয়া। এ ঘটনায় শুক্রবার উজ্জল মিয়া, তার বন্ধু মাহবুব ও বাড়ির মালিক সেলিমকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন ওই নারী। মামলার পর রাতেই উজ্জল মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর ধরে শ্রীপুরের মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামে স্বামীসহ সেলিম মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন ওই নারী। বর্তমানে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা তিনি। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় কারখানা থেকে ছুটিতে ওই ভাড়া বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। উজ্জল মিয়া তার স্বামীর বন্ধু হওয়ায় তাদের মধ্যে পরিচয় ও যাওয়া-আসা ছিল।

৭ জুলাই স্বামীর অনুপস্থিতিতে উজ্জল ওই নারীকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের চিত্র মোবাইলে ধারণ করেন। ধারণ করা ভিডিও স্বামীকে দেখানোর ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এতে অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্বামীকে ঘটনা খুলে বলেন। পরে সেলিম ও মাহবুব বিষয়টি মীমাংসা করার প্রস্তাব দেন।

তবে বাড়ির মালিক সেলিম জানান, তাকে ঘরের ভেতর আটকে রাখা, স্বীকারোক্তির ভিডিও ধারণ বা মীমাংসা করে দেয়ার কোনো প্রস্তাব দেয়া হয়নি। তিন মাস ধরে আমার বাড়ির ভাড়া না দিয়ে বসবাস করছেন তারা। এলাকার কিছু লোকজনের উসকানিতে আমাকে মামলার আসামি করা হয়েছে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। উজ্জলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে।