ঢাকা ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকায় সাংবাদিক হাফিজুর রহমান শফিক Logo রাজধানীর বাউনিয়ার ভূমিদস্যু খোরশেদ পরিবারের কব্জায় ভুক্তভোগীদের ভিটামাটি  Logo স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতের অবস্থান এবং পরবর্তীতে রাজনৈতিক পথচলা Logo রাত ৮টার পর বন্ধ থাকবে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানঃ  উপদেষ্টা আসিফ Logo গণপূর্তে পীরের কেরামতি: পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও প্রধান প্রকৌশলী চেয়ারে বহাল! Logo ডিবির অভিযানে দোহার থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদকসহ পাঁচজন গ্রেফতার Logo অবসরে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার – পর্ব ১ Logo ১০০ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড পিকআপসহ দুই মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার Logo আলোচিত দুর্নীতিবাজ জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল বহাল তবিয়তে!  Logo বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবারের শেয়ার, ব্যাংক হিসাব বন্ধের নির্দেশ 

স্বাস্থ্যের সদ্য পদত্যাগ করা মহাপরিচালক ও বর্তমান এডিজিকে ডিবি’র জিজ্ঞাসাবাদ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০ ১৮১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;

সদ্য পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জেকেজি হেলথকেয়ারকে অনুমোদন দেয়ার বিষয়ে তাদের কাছ থেকে কিছু কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। আজ ডিবি’র একটি টিম স্বাস্থ্য অধিদফতরে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ডিবি কর্মকর্তারা দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরে যান। তারা আগে থেকে অধিদফতরের ডিজি ও এডিজির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ডিবি তাদের জানায়, তারা জেকেজি হেলথকেয়ারকে করোনার নমুনা সংগ্রহের অনুমোদন সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র দেখবে। তাদের সেসব কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে বলা হয়। এরপর বিকেলে ডিবির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) গোলাম মোস্তফা রাসেলের নেতৃত্বে একটি টিম স্বাস্থ্য অধিদফতরে গিয়ে তাদের কাছ থেকে কাগজপত্র দেখে যাচাই করে। প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় জেকেজির বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে অর্থ নিচ্ছিল জেকেজি। পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া সনদ দেয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল চৌধুরী, তার স্ত্রী ড. সাবরিনা আরিফসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও সাংবাদিকদের কাছে ডা. সাবরিনা কয়েকবার দাবি করেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরে ডিজি জেকেজির বিষয়ে জেনেশুনেই অনুমোদন দিয়েছেন। তিনি জেকেজির কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে অবগত ছিলেন।

জেকেজির বিষয়ে পুলিশ জানতে পারে, জেকেজি হেলথকেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনার টেস্টের রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনা আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের রিপোর্ট প্রতিষ্ঠানটির ল্যাপটপে তৈরি করা হয়। জব্দ করা ল্যাপটপে এর প্রমাণ মিলেছে। আরিফ চৌধুরী জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানান, জেকেজির সাত-আট কর্মী ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করেন।

জানা গেছে, নমুনা সংগ্রহের জন্য জেকেজির হটলাইন নম্বরে ফোন করলে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করতেন। আবার অনেকে জেকেজির বুথে এসে নমুনা দিতেন। বিদেশি নাগরিকদের জন্য নেয়া হতো ১০০ ডলার (প্রায় ৮ হাজার ৫০০ টাকা)। বাংলাদেশিদের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা। যদিও দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতির ভিত্তিতে বিনামূল্যে তাদের স্যাম্পল কালেকশন করার কথা ছিল। এসব ঘটনার পর ২৪ জুন জেকেজি হেলথকেয়ারের নমুনা সংগ্রহের যে অনুমোদন ছিল তা বাতিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

স্বাস্থ্যের সদ্য পদত্যাগ করা মহাপরিচালক ও বর্তমান এডিজিকে ডিবি’র জিজ্ঞাসাবাদ

আপডেট সময় : ০৯:৩৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক;

সদ্য পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জেকেজি হেলথকেয়ারকে অনুমোদন দেয়ার বিষয়ে তাদের কাছ থেকে কিছু কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। আজ ডিবি’র একটি টিম স্বাস্থ্য অধিদফতরে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ডিবি কর্মকর্তারা দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরে যান। তারা আগে থেকে অধিদফতরের ডিজি ও এডিজির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ডিবি তাদের জানায়, তারা জেকেজি হেলথকেয়ারকে করোনার নমুনা সংগ্রহের অনুমোদন সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র দেখবে। তাদের সেসব কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে বলা হয়। এরপর বিকেলে ডিবির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) গোলাম মোস্তফা রাসেলের নেতৃত্বে একটি টিম স্বাস্থ্য অধিদফতরে গিয়ে তাদের কাছ থেকে কাগজপত্র দেখে যাচাই করে। প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় জেকেজির বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে অর্থ নিচ্ছিল জেকেজি। পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া সনদ দেয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল চৌধুরী, তার স্ত্রী ড. সাবরিনা আরিফসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও সাংবাদিকদের কাছে ডা. সাবরিনা কয়েকবার দাবি করেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরে ডিজি জেকেজির বিষয়ে জেনেশুনেই অনুমোদন দিয়েছেন। তিনি জেকেজির কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে অবগত ছিলেন।

জেকেজির বিষয়ে পুলিশ জানতে পারে, জেকেজি হেলথকেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনার টেস্টের রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনা আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের রিপোর্ট প্রতিষ্ঠানটির ল্যাপটপে তৈরি করা হয়। জব্দ করা ল্যাপটপে এর প্রমাণ মিলেছে। আরিফ চৌধুরী জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানান, জেকেজির সাত-আট কর্মী ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করেন।

জানা গেছে, নমুনা সংগ্রহের জন্য জেকেজির হটলাইন নম্বরে ফোন করলে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করতেন। আবার অনেকে জেকেজির বুথে এসে নমুনা দিতেন। বিদেশি নাগরিকদের জন্য নেয়া হতো ১০০ ডলার (প্রায় ৮ হাজার ৫০০ টাকা)। বাংলাদেশিদের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা। যদিও দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতির ভিত্তিতে বিনামূল্যে তাদের স্যাম্পল কালেকশন করার কথা ছিল। এসব ঘটনার পর ২৪ জুন জেকেজি হেলথকেয়ারের নমুনা সংগ্রহের যে অনুমোদন ছিল তা বাতিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।