ঢাকা ০৬:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ইন্সপেক্টর রেজায়ে রাব্বীর বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে ফায়ার সার্ভিসের বক্তব্য Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লাটিম ঘুরাচ্ছেন ৬ ‘কুতুব’ Logo ওয়াসা প্রকৌশলী ফকরুলের আমলনামা: অবৈধ সম্পদের সাম্রাজ্য Logo আশা ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত Logo চাঁদার টাকা না পেয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা Logo সাংবাদিকদের হত্যা চেষ্টার ঘটনায় চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা Logo জামিনে মুক্ত রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ Logo স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির রাঘব বোয়াল বায়ো ট্রেড ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িত ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা রাব্বি লাপাত্তা Logo বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ




নোয়াখালী হাসপাতালে ৭ কোটি টাকার দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০ ৮১ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি;

নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সাত কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় অনিয়ম, দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

বুধবার (২২ জুলাই) বিকেলে জেলা দুদক সমন্বিত কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী দুদকের সহকারী পরিচালক ও তদন্ত টিমের প্রধান সুবেল আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত টিম বুধবার থেকে এ অনুসন্ধান শুরু করেছেন। আর প্রথম দিন তদন্তে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে।

দুদকের এই অনুসন্ধান টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- ঢাকার সিএমএসডির উপ-পরিচালক ডা. নিজামুদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের (হাসপাতাল-৪) সহকারী পরিচালক ডা. আহসানুল হক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা নিমিউ অ্যান্ড টিসির সহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রনিকস) নাশিদ রহমান, ঢাকা ডিপিএম হাসপাতালের ডা. সুরজিত দত্ত।

জেলা দুদক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দুদকের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদের নেতৃত্বে বিশষজ্ঞ টিম বুধবার হাসপাতালে এসে দেখতে পান, প্রায় ৩৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি সিআর এক্সরে মেশিন-৫০০ অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে যা প্রায় পাঁচ বছর আগে সরবরাহ নেয়ার পর থেকে একদিনও ব্যবহার হয়নি। অথচ বিল উত্তোলন করে নেয়া হয়েছে।

এছাড়া ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সরবরাহ নেয়া অটোমেশন, পোর্টেবেল ৪-ডি আল্ট্রাসনোগ্রাফি, আইসিইউ বেড, ডেন্টাল চেয়ারসহ বিভিন্ন পণ্য স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী সঠিক পাওয়া যায়নি। যার মূল্য সাত কোটি টাকা বলে উল্লেখ করেছেন অভিযোগকারী।

নোয়াখালী দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, অনুসন্ধান শুরু হয়েছে মাত্র, অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। অতিশীঘ্রই অনিয়ম ও সরকারি টাকা আত্মসাতের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দায়দায়িত্ব নির্ধারণপূর্বক মামলা রুজুর সুপারিশ কমিশনে পাঠানো হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




নোয়াখালী হাসপাতালে ৭ কোটি টাকার দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

আপডেট সময় : ০৯:৩০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০

জেলা প্রতিনিধি;

নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সাত কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় অনিয়ম, দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

বুধবার (২২ জুলাই) বিকেলে জেলা দুদক সমন্বিত কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী দুদকের সহকারী পরিচালক ও তদন্ত টিমের প্রধান সুবেল আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত টিম বুধবার থেকে এ অনুসন্ধান শুরু করেছেন। আর প্রথম দিন তদন্তে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে।

দুদকের এই অনুসন্ধান টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- ঢাকার সিএমএসডির উপ-পরিচালক ডা. নিজামুদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের (হাসপাতাল-৪) সহকারী পরিচালক ডা. আহসানুল হক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা নিমিউ অ্যান্ড টিসির সহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রনিকস) নাশিদ রহমান, ঢাকা ডিপিএম হাসপাতালের ডা. সুরজিত দত্ত।

জেলা দুদক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দুদকের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদের নেতৃত্বে বিশষজ্ঞ টিম বুধবার হাসপাতালে এসে দেখতে পান, প্রায় ৩৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি সিআর এক্সরে মেশিন-৫০০ অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে যা প্রায় পাঁচ বছর আগে সরবরাহ নেয়ার পর থেকে একদিনও ব্যবহার হয়নি। অথচ বিল উত্তোলন করে নেয়া হয়েছে।

এছাড়া ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সরবরাহ নেয়া অটোমেশন, পোর্টেবেল ৪-ডি আল্ট্রাসনোগ্রাফি, আইসিইউ বেড, ডেন্টাল চেয়ারসহ বিভিন্ন পণ্য স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী সঠিক পাওয়া যায়নি। যার মূল্য সাত কোটি টাকা বলে উল্লেখ করেছেন অভিযোগকারী।

নোয়াখালী দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, অনুসন্ধান শুরু হয়েছে মাত্র, অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। অতিশীঘ্রই অনিয়ম ও সরকারি টাকা আত্মসাতের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দায়দায়িত্ব নির্ধারণপূর্বক মামলা রুজুর সুপারিশ কমিশনে পাঠানো হবে।