কেন করেছি সাংবাদিক ইউনিয়ন? এরফানুল হক নাহিদ
- আপডেট সময় : ০৯:২৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০ ১৫৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক ইত্তেফাকের নারী ফটোসাংবাদিক রেহেনার অকালমৃত্যুতে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা এরফানুল হক নাহিদের ফেসবুক পোস্টে ফুটে উঠল দারুন ক্ষোভ। সাংবাদিক নেতা এরফানুল হক নাহিদের ফেসবুক পোস্ট পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো::
রেহানার জন্যে শোকগাথা।
রেহানার মৃত্যু সংবাদে একেবারে স্তব্ধ আমি নির্বাক। দেখা হলে কুশলাদি জিজ্ঞেস করলে মিষ্টি হাসি দিয়ে বলত ভালো আছি ভাই। এমনকি ওর অপারেশনের কিছু দিন আগেও একই উত্তর ভালো আছি ভাই। কিন্ত আমি খেয়াল করতাম মিষ্টি হাসির আড়ালে চাপা একটা কষ্ট সবসময় বয়ে বেড়াত, ওর যে মরণব্যাধি তা কাউকে সহজে বুঝতে দিতনা। প্রচন্ড উদ্যোমী, আপাদমস্তক একজন সাংবাদিক হিসেবে কাজের প্রতি ছিল কমিটেড। ওকে খুব আপন মনে হতো, ঠিক যেন আমার ছোট বোন।
ওর এই অসময়ে চলে যাওয়া কোথাও একটা কষ্ট বোধ ছিল। এই অনিশ্চিত পেশায় জড়িয়ে ছিলযে। টাকার অভাবে ওর কোন ভালো চিকিৎসা হয়নি, টানাপোড়েনে চলছিল নিয়মিত, ওর সাথে সর্বশেষ মুঠোফোনে কথায় তাই ইঙ্গিত ছিল। তার জন্য আমরা কিছুই করতে পারিনি, না ব্যাক্তি হিসেবে, না সাংগঠনিক ভাবে। রাষ্ট্রের কথা না বলাই ভাল। মাঝে মাঝে মনে হয় কেন করছি সাংবাদিক ইউনিয়ন? যদি সদস্যদের বিপদে পাশে দাঁড়ানোর মত সক্ষম না করে তোলতে পারি সংগঠনকে। আমি লজ্জিত, আমি অসহায়, আমায় ক্ষমা করো বোন। তোমার সন্তানের সামনে দাঁড়ানোর সাহস আমার নেই। প্রাণ ভরে দোয়া করি আল্লাহ তোমাকে সর্বোত্তম জান্নাত দান করুন।
সাংবাদিক নেতা এরফানুল হক নাহিদ এর মতই অনেকেই মনে করেন রেহেনা বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর মুখে পতিত হয়েছে। ফটো সাংবাদিক রেহেনার বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।