ঢাকা ০৯:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo জামিনে মুক্ত রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ Logo স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির রাঘব বোয়াল বায়ো ট্রেড ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িত ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা রাব্বি লাপাত্তা Logo বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ Logo আওয়ামী দোসর মিডিয়া পুনর্বাসনকারী নেতাদের অবাঞ্ছিত করার দাবি বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিকদের Logo ফায়ার সার্ভিসের মহানুভবতায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়কদের কৃতজ্ঞতা Logo সোনা চোরাকারবারি দিলীপের সংবাদ প্রকাশ করায় সম্পাদক সহ সাংবাদিককে হত্যার হুমকি Logo সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দোসর ফায়ার সার্ভিস আনোয়ারের দুর্নীতি: ডিজিকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য! Logo আশা ইউনিভার্সিটিতে বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের জন্য দোয়া ও মিলাদ Logo বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের মাফিয়া অর্থ পাচারকারী শিহাব কোথায়?




যুবলীগ নেতার হাতে প্রাইভেটকার চালক খুন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৩:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০ ১১৯ বার পড়া হয়েছে

যুবলীগ নেতার হাতে প্রাইভেটকার চালক খুন

যশোরের বাঘারপাড়ায় যুবলীগ নেতার ছুরিকাঘাতে রিপন হোসেন (৩০) নামে এক প্রাইভেটকার চালক খুন হয়েছেন।

রবিবার (২৮ জুন) দুপুরে, বাঘারপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে দিবালোকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ যুবলীগ নেতা বরকতকে আটক করেছে। নিহত রিপন হোসেন বাঘারপাড়া পৌরসভার মহিরন এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি বাঘারপাড়া পৌর মাইক্রোস্ট্যান্ডের সাধারণ সম্পাদক। আটক বরকত যশোর শহরের মোল্যাপাড়া এলাকার মাহফুজুর রহমানের ছেলে এবং পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সম্পাদক। ঘটনার পর দফায় দফায় বিক্ষোভ করেছে মাইক্রোশ্রমিক ও স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুর ১টার দিকে বাঘারপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বরকত নামে এক যুবক ও তার স্ত্রী প্রাইভেটকার চালক রিপনের সঙ্গে গাড়ি ভাড়া নিয়ে কথা বলছিলেন। ওই সময় ভাড়া নিয়ে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বরকত তার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে রিপনকে আঘাত করে। ঠেকাতে গেলে সেখানকার ওষুধ ব্যবসায়ী হিরুও ছুরিকাহত হন। পরে বেলা ২টার দিকে গুরুতর অবস্থায় রিপনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার এনাম উদ্দিন জানান, ওই যুবককে হাসপাতালের আনার আগেই তিনি মারা যান। তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

আহত ওষুধ ব্যবসায়ী হিরু আহমেদ বলেন, আমার ফার্মেসির সামান্য দূরে একটি মোটরসাইকেলে বরকত ও ভ্যানে একটি মেয়ে বসে কথা বলছিলো। পরে দেখি স্ট্যান্ডের ড্রাইভার হাসিবুল ও বরকত কী নিয়ে যেন আলাপ করছে। হঠাৎ তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে বরকত। পরে স্ট্যান্ডের অন্য ড্রাইভারদের সাথে রিপনও এগিয়ে যায়। তারা কী কারণে হাসিবুলকে মারধর করছে জানতে চাইলে বরকত ক্ষিপ্ত হয়ে ছুরি বের করে। সেইসময় আমিও দোকান থেকে বের হয়ে যাই তাদের ঠেকাতে। ভিড়ের মধ্যে বরকত আমার বাম হাতে ছুরিকাঘাত করে, পাশে ফিরে দেখি রক্তের মধ্যে কাতরাচ্ছে রিপন। সে সময় উত্তেজিত ড্রাইভাররা বরকতকে ধরে বেদম মারপিট করে। পুলিশ এসে তাকেসহ স্থানীয় দুই যুবককে ধরে নিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, রিপনের মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় লোকজন রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। স্থানীয়রা রিপনের খুনির শাস্তি এবং নিরীহ দুই যুবকের ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

বাঘারপাড়ার সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের সিদ্দিকী জানান, ছুরিকাঘাতে তাকে খুন করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তিনি হত্যাকারীদের অবিলম্বে আটকের দাবি জানান।

বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আল মামুন বলেন, কি কারণে রিপনকে ছুরিকাঘাত করা হয় তা এখনও জানা যায়নি। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত যুবক বরকতকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




যুবলীগ নেতার হাতে প্রাইভেটকার চালক খুন

আপডেট সময় : ১১:৫৩:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০

যশোরের বাঘারপাড়ায় যুবলীগ নেতার ছুরিকাঘাতে রিপন হোসেন (৩০) নামে এক প্রাইভেটকার চালক খুন হয়েছেন।

রবিবার (২৮ জুন) দুপুরে, বাঘারপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে দিবালোকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ যুবলীগ নেতা বরকতকে আটক করেছে। নিহত রিপন হোসেন বাঘারপাড়া পৌরসভার মহিরন এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি বাঘারপাড়া পৌর মাইক্রোস্ট্যান্ডের সাধারণ সম্পাদক। আটক বরকত যশোর শহরের মোল্যাপাড়া এলাকার মাহফুজুর রহমানের ছেলে এবং পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সম্পাদক। ঘটনার পর দফায় দফায় বিক্ষোভ করেছে মাইক্রোশ্রমিক ও স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুর ১টার দিকে বাঘারপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বরকত নামে এক যুবক ও তার স্ত্রী প্রাইভেটকার চালক রিপনের সঙ্গে গাড়ি ভাড়া নিয়ে কথা বলছিলেন। ওই সময় ভাড়া নিয়ে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বরকত তার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে রিপনকে আঘাত করে। ঠেকাতে গেলে সেখানকার ওষুধ ব্যবসায়ী হিরুও ছুরিকাহত হন। পরে বেলা ২টার দিকে গুরুতর অবস্থায় রিপনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার এনাম উদ্দিন জানান, ওই যুবককে হাসপাতালের আনার আগেই তিনি মারা যান। তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

আহত ওষুধ ব্যবসায়ী হিরু আহমেদ বলেন, আমার ফার্মেসির সামান্য দূরে একটি মোটরসাইকেলে বরকত ও ভ্যানে একটি মেয়ে বসে কথা বলছিলো। পরে দেখি স্ট্যান্ডের ড্রাইভার হাসিবুল ও বরকত কী নিয়ে যেন আলাপ করছে। হঠাৎ তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে বরকত। পরে স্ট্যান্ডের অন্য ড্রাইভারদের সাথে রিপনও এগিয়ে যায়। তারা কী কারণে হাসিবুলকে মারধর করছে জানতে চাইলে বরকত ক্ষিপ্ত হয়ে ছুরি বের করে। সেইসময় আমিও দোকান থেকে বের হয়ে যাই তাদের ঠেকাতে। ভিড়ের মধ্যে বরকত আমার বাম হাতে ছুরিকাঘাত করে, পাশে ফিরে দেখি রক্তের মধ্যে কাতরাচ্ছে রিপন। সে সময় উত্তেজিত ড্রাইভাররা বরকতকে ধরে বেদম মারপিট করে। পুলিশ এসে তাকেসহ স্থানীয় দুই যুবককে ধরে নিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, রিপনের মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় লোকজন রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। স্থানীয়রা রিপনের খুনির শাস্তি এবং নিরীহ দুই যুবকের ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

বাঘারপাড়ার সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের সিদ্দিকী জানান, ছুরিকাঘাতে তাকে খুন করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তিনি হত্যাকারীদের অবিলম্বে আটকের দাবি জানান।

বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আল মামুন বলেন, কি কারণে রিপনকে ছুরিকাঘাত করা হয় তা এখনও জানা যায়নি। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত যুবক বরকতকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে।