পদ্মা সেতুর রেল প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি, আটক ২
- আপডেট সময় : ১১:১৪:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০২০ ৬৯ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: পদ্মা সেতুর রেল প্রকল্পের ঠিকাদার এরশাদ গ্রুপের কার্যালয়ে চাঁদা নিতে গিয়ে অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন দুজন। ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ, চাঁদাবাজরা দীর্ঘদিন ধরে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর কাঁঠালবাগানে সোনারগাঁও রোডে নাসির ট্রেড সেন্টারে এরশাদ গ্রুপের অফিসে গিয়ে অস্ত্রবাজি, ভীতিপ্রদর্শন শুরু করেন চাঁদাবাজরা। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাদের আটক করে। আটকরা হলেন মাকসুদ বাবুল মোল্লা (৪৫) ও আবু তালেব লালু (৩১)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিতোষ চন্দ্র বলেন, ‘এরশাদ গ্রুপের চেয়ারম্যানের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তাদের কাছে থাকা অস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে।
ওসি বলেন, রাতেই আটকদের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজি ও অস্ত্রের মুখে জিম্মির চেষ্টা, ভীতিপ্রদর্শনের অভিযোগ তুলে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এরশাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান এরশাদ আলী বলেন, আমরা পদ্মা সেতুতে দীর্ঘদিন ধরে পাথর দিয়ে আসছি। বর্তমানে পদ্মা সেতুর রেল প্রকল্পের কাজ পেয়েছি। এই রেলের জন্য আমরা দুবাই থেকে আমদানি করা পাথর এনেছি।
‘গত ২ জুন কুতুবদিয়ায় বড় জাহাজে পাথর আনা হয়। সেখান থেকে ছোট লাইটার জাহাজে প্রকল্প এলাকায় পাথর নেয়া হচ্ছে। তবে ২১টি লাইটার জাহাজ প্রকল্প এলাকা শরীয়তপুর জাজিরা পয়েন্টে নদীর ওপর প্রায় ২১ দিন ধরে ভাসমান অবস্থায় আছে। এই পাথর আমাদের নামাতে দিচ্ছে না। এর পেছনে ওই প্রকল্পের একজন ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন। পাথর নামাতে গেলে তিনি কিছু লোকজন পাঠিয়ে বাধা দিচ্ছেন। তারা বলছে, নামাতে হলে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে।
‘ওই ঘটনায় ৯ জুন জিডিও করেছি। এরপরও ফোনে চাঁদা দাবি করায় আমি বলি অফিসে আসেন টাকা দিয়ে দেব। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শর্টগানসহ ৮ থেকে ১০ জন লোক ৮৯, বীর উত্তম সোনারগাঁও রোডের নাসির সেন্টারের তৃতীয় তলায় আমাদের অফিসে আসে। তখন আমি অফিসে ছিলাম না। তারা অফিসে এসে আমাকে না পেয়ে অস্ত্র বের করে সবাইকে ভয় দেখায়। আমার একজন অফিসার কলাবাগান থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে অস্ত্রসহ হাতে নাতে মাকসুদ ও তালেব নামের দুজনকে আকট করে। অন্যরা পালিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাকসুদ ৬ থেকে ৭ মাস আগেও চাঁদা দাবি করে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’