মতলবে আওয়ামী লীগ নেতার ডিশ ব্যবসা অবৈধভাবে দখল, মালামাল লুটপাট!
- আপডেট সময় : ১০:০৮:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জুন ২০২০ ১২৪ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক; চাঁদপুর মতলব উত্তরের কাজী মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অন্যের ডিশলাইন দখল ও প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ৭ মাস যাবৎ ডিশ লাইনের আসল মালিক তা দখলে নিতে না পেরে বিভিন্ন জনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কাজী মিজানের কাছে বিশেষ সুবিধা নিয়ে থানা পুলিশ মামলা নেয়নি জানিয়ে ওই ডিশলাইনের আসল মালিক চাঁদপুরের মোহনপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো. শাহীন মিয়া বলেন, কাজী মিজানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। কিন্তু অজানা কারণে পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, গতবছরের ২৭ ডিসেম্বর বিকেলে চাঁদপুরের মোহনপুর স্কুলের সামনে বেড়িবাঁধের উপর মোহনপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো. শাহীন মিয়ার দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবকলীগের অফিসে আগুন লাগায় ও মুদাফর কো অপারেটিভ মার্কেটে রাইয়ান চৌধুরী ক্যাবল নেটওয়ার্ক এর অফিসে হামলা চালিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকা মূল্যের জিনিসপত্র লুটপাট করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে, ডিশ লাইনে ব্যবহৃত মডিলেটর, পে চ্যানেল বক্স, রিসিভার, দেশী চ্যানেল বক্স, ট্রান্সমিটার, তামার তার, অপটিক্যাল ফাইভারসহ মুল্যবান বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মালামাল। এ ঘটনায় ওইদিনই চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন শাহীন মিয়া। পরদিন আদালতে কাজী মতিন, কাজী মিজান, কাজী হাবিব, কাজী মাহবুব, সাদ্দাম, হাসানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তিনি।
শাহীন মিয়া জানান, ২০১৭ সালের ১৫ জুন বিটিভি থেকে ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য রাইয়ান চৌধুরী ক্যাবল নেটওয়ার্কের নামে বৈধ লাইসেন্স নিয়ে ডিশ ব্যবসা শুরু করেন। যার মেয়াদ রয়েছে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু গত ৬ মাস আগে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে কাজী মিজান তার দলবল নিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল লুট করে এবং প্রতিষ্ঠানটি জোরপূর্বক দখল করে। অর্ধকোটি টাকার মালামাল লুট করা ছাড়াও প্রতিমাসে ডিশ ভাড়ার প্রায় ৩ লাখ টাকাও আত্মসাত করে চলেছে কাজী মিজান।
দখলবাজি ছাড়াও কাজী মিজানসহ তার দলবলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নীরিহ মানুষের টাকা ও জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় থানা ও প্রশাসনকে ঘুষ দিয়ে হাত করে- কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে মিথ্যা মামলায় ফাসানো হয় বলেও অভিযোগ করেন শাহীন মিয়া। শিক্ষা, মানবিক যোগ্যতা না থাকলেও অবৈধ বালু উত্তোলনের টাকা দিয়ে বিভিন্ন জনকে ম্যানেজ করে এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা সেজে চাঁদাবাজি করারও অভিযোগ করেন তিনি। ডিশ ব্যবসার থেকে চাঁদা দাবি করার পর চাঁদা না দেয়ায় এই লুটপাট ও ব্যবসা দখল করেছেন বলে অভিযোগ জানান শাহীন মিয়া। কাজী মিজানের ছোটো ভাই কাজী মতিন মতলব উত্তর উপজেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক ছিলেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত গাজী মিজানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছে তারা নিজেরাই এলাকা থেকে পলাতক। আমি তাদের ডিস ব্যবসা দখল করিনি তারা এলাকায় না থাকায় এলাকার কিছু ছেলেপেলে ডিস লাইন টা চালিয়ে রাখছেন। তিনি আরো বলেন সাবেক মন্ত্রী মায়া চৌধুরীর ফ্যামিলির লোকজন তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।