মজিবুর ময়মনসিংহ ঃ
ময়মনসিংহ গৌরীপুর ডৌহাখালা ইউনিয়নের ডৌহাখলা গ্রামের আবু সাইদ সানি নামে এক যুবকের বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারীর) রাতে মো: আবু নাছির আল দুসারী (৪৫) নামে এক সৌদি নাগরিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত মধ্যপানে তার মৃত্যু হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, সানি একজন ভন্ড সাধক, সে সব সময় মাতাল অবস্থায় থাকে। তার পিতার নাম করম আলী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০ বছর পূর্বে ঢাকার গুলশানের একটি হোটেলে আবু নাছিরের সাথে সানীর পরিচয় হয়।
সেই সূত্রে গত কয়েক বছর যাবত সানির বাড়িতে আবু নাছির আল দুসারীর যাতায়াত।
সর্বশেষ গত ৯ ডিসেম্বর সানীর বাড়ি ডৌহাখলা গ্রামে আসেন তিনি। এরপর থেকে আবু নাছির আর সানী একসঙ্গে বসবাস করছেন।
গত রাতে আবু নাছিরের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন।
এ সময় মদ্যপ অবস্থায় সানীকে লাশের পাশে বসে বিলাপ করতে দেখা যায়। কিন্তু কি কারণে আবু নাছিরের মৃত্যু হয়েছে তা কেউ নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছিল না।
রাতে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতাল এর মেডিকেল অফিসার ডা. ইশতিয়াক মোশারফ বলেন, সৌদি নাগরিকের অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্ত না করে সঠিক বলা যাচ্ছে না। তবে আবু নাছিরের মুখে মদের গন্ধ পাওয়া গেছে।
এদিকে আবু সাইদ সানী মদ্যপ অবস্থায় বলেন- আবু নাছির একজন ভিসা ব্যবসায়ী।
আমরা ভালো বন্ধু এবং সে প্রায়ই আমার বাড়িতে অবকাশ যাপনের জন্য আসতো। নেশা করলেও আমরা দুইজন স্যোশালম্যান ছিলাম। তার মৃত্যু আমি মেনে নিতে পারছি না।
তিনি আরো জানান, 'বৃহস্পতিবার দুপুরের খাবার খেয়ে আবু নাছির বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও সে ঘুম থেকে না উঠায় আমি ডাকাডাকি করতে থাকি।
তার শরীর নিথর দেখে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে।
সোদি নাগরিক আবু নাছিরের মৃত্যুর খবর পেয়ে রাতেই গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা করিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তিনি জানান, আবু নাছিরের মৃত্যুর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সৌদি দূতাবাসকে জানানো হয়েছে। লাশ আপাতত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
অফিসার ইনচার্জ আব্দুলাহ আল মামুন বলেন, আবু নাছিরের পাসপোর্ট সূত্রে জানা গেছে তিনি সৌদি আরবের দাম্মাম নগরীর বাসিন্দা।
তার বাবার নাম- আবু সালেহ। আমরা আবু নাছিরের মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।