সিয়াটল শহরের একাংশে বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা নিয়ে রীতিমতো বাকযুদ্ধে জড়িয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট নেতারা।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের জেরে সোমবার সিয়াটল পুলিশ নিজেদের সরিয়ে নিলে ক্যাপিটল হিলের পূর্বাঞ্চলে একাংশ দখলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। নাম হয়, ক্যাপিটল হিল মুক্তাঞ্চল। বিভিন্ন ব্যানারে লেখা হয়, 'এই জায়গাটি এখন সিয়াটলের জনগণের সম্পত্তি’।
সিয়াটল পুলিশ ডিপার্টমেন্ট লেখা পাল্টে দেয়, সিয়াটল পাবলিক ডিপার্টমেন্ট।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিক্ষোভকারীদের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দেন। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'এলাকাটির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হলে তিনিই ব্যবস্থা নেবেন।'
ট্রাম্পের এ টুইটে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান, সিয়াটল মেয়র জেনি ডারকান। বলেছেন, 'তাদের নিরাপদে থাকতে দিয়ে ট্রাম্প যেন হোয়াইট হাউজের বাঙ্কারে ফিরে যান।' পাশাপাশি জেনি ডারকান বলেন, 'সিয়াটলে ট্রাম্প যদি সেনা মোতায়ন করেন তা হবে অনৈতিক।'
এদিকে, অপর এক টুইটে ওয়াশিংটনের গভর্নর জয় ইনসলে তাদের আওতাধীন এলাকায় প্রেসিডেন্টকে নাক না গলানোর পরামর্শ দেন। এছাড়াও ট্রাম্পের শাসক হওয়ার যোগ্যতা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
২৫শে মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপোলিসে পুলিশি হেফাজতে হত্যার শিকার হন জর্জ ফ্লয়েড। এই হত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভ।