ঢাকা ১০:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গণপূর্তে পীরের কেরামতি: পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও প্রধান প্রকৌশলী চেয়ারে বহাল! Logo ডিবির অভিযানে দোহার থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদকসহ পাঁচজন গ্রেফতার Logo অবসরে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার – পর্ব ১ Logo ১০০ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড পিকআপসহ দুই মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার Logo আলোচিত দুর্নীতিবাজ জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল বহাল তবিয়তে!  Logo বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবারের শেয়ার, ব্যাংক হিসাব বন্ধের নির্দেশ  Logo দশমিনায় যুবদল নেতাকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন Logo কেরানীগঞ্জ মডেল ভূমি অফিস যেন ঘুষের আস্তানা: এসিল্যান্ড থেকে পিয়ন সবাই এক আত্মা!  Logo শেখ সোহেলের সহচর কাউট রাজু গ্রুপের তাণ্ডব: অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি Logo পদোন্নতি,বদলি. কেনাকাটায় পাহাড়সম দুর্নীতি ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরে: দুদকের বিশেষ অভিযান

সৈয়দপুরে বিয়ের ৫ মাসেই লাশ হলেন নববধু!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৪:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জুন ২০২০ ১২৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক; বিয়ের মাত্র সাড়ে ৫ মাসে শ্বশুড়বাড়িতে লাশ হলো নববধু শম্পা রানী। রবিবার(৭জুন)স্বামী অনিবাশ চন্দ্র সরকারের বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের হিন্দুপাড়া থেকে ওই নববধুর লাশ উদ্ধার করে সৈয়দপুর থানা পুলিশ।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পাল। শম্পা দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা বাসুদেব পাড়া গ্রামের জোতিষ চন্দ্র দাসের মেয়ে। স্বামী অনিবাশ চন্দ্র সরকার কুড়িগ্রামে ব্র্যাকে কর্মরত। সে বাবা মায়ের পছন্দে শম্পাকে বিয়ে করলেও তার কর্মস্থলে স্ত্রীকে নিয়ে যায়নি।
শম্পার শ্বশুড় সতিষ চন্দ্র সরকার জানান শনিবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে বাড়িতে আগুন লাগে। আগুনে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। রাত আনুমানিক দেড়টার সময় পুত্রবধু শম্পা অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়।এরপর মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

খবর পেয়ে শম্পার বাবা জোতিষ চন্দ্র দাস ও আতীয়স্বজনরা এসে এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে অভিযোগ তুলে সৈয়দপুর থানায় খবর দেয়। নিহত শম্পার বাবা জানান,মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে মেরে ফেলে বাড়িতে আগুন লাগার নাটক করেছেন। আমরা এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই ।

শম্পার মামা অভিজিৎ দাস মিঠু বলেন, বাড়িতে আগুন লাগার যে ঘটনা তারা উল্লেখ করছেন সেটা যে সাজানো তা আগুনে পোড়া ঘরের দৃশ্য দেখলেই বোঝা যায়। বলা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। কিন্তু তাতে ঘরের নিচের অংশে কোন কিছুুই পুুড়ে নাই। শুধুমাত্র উপরের চালের কাঠ ও টিন পুুড়ে গেছে। এমনকি ঘরের অন্যান্য জিনিষপত্র সামান্যতম ক্ষতিগ্রস্থও হয়নি। মুলতঃ তারা সন্ধ্যা রাতেই শম্পাকে র্নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে আগুনের নাটক করে। তারা মামলা না করার জন্য সালিশ বৈঠকের জন্য চাপ দিচ্ছে। অথচ বিয়ের সময় আমরা মেয়ের সুখের জন্য নগদ ৭ লাখ টাকা, ২ লাখ টাকা মূূল্যের স্বর্নালংকার ও ১ লাখ টাকার আসবাবপত্র প্রদান করা হয় ছেলে পক্ষকে। এরপরেও আমাদের মেয়ের লাশ দেখতে হলো! আমরা টাকার বিনিময়ে মিমাংসা নয়, এ্ই হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।

সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান বলেন, নিহত গৃহবধূর বাবার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।রবিবার বিকেলে শম্পা রানীর মরদেহ লাশ জেলার মর্গে ময়না তদন্ত করা হয়। ময়না তদন্তের রিপোর্ট মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সৈয়দপুরে বিয়ের ৫ মাসেই লাশ হলেন নববধু!

আপডেট সময় : ১০:৩৪:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জুন ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক; বিয়ের মাত্র সাড়ে ৫ মাসে শ্বশুড়বাড়িতে লাশ হলো নববধু শম্পা রানী। রবিবার(৭জুন)স্বামী অনিবাশ চন্দ্র সরকারের বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের হিন্দুপাড়া থেকে ওই নববধুর লাশ উদ্ধার করে সৈয়দপুর থানা পুলিশ।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পাল। শম্পা দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা বাসুদেব পাড়া গ্রামের জোতিষ চন্দ্র দাসের মেয়ে। স্বামী অনিবাশ চন্দ্র সরকার কুড়িগ্রামে ব্র্যাকে কর্মরত। সে বাবা মায়ের পছন্দে শম্পাকে বিয়ে করলেও তার কর্মস্থলে স্ত্রীকে নিয়ে যায়নি।
শম্পার শ্বশুড় সতিষ চন্দ্র সরকার জানান শনিবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে বাড়িতে আগুন লাগে। আগুনে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। রাত আনুমানিক দেড়টার সময় পুত্রবধু শম্পা অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়।এরপর মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

খবর পেয়ে শম্পার বাবা জোতিষ চন্দ্র দাস ও আতীয়স্বজনরা এসে এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে অভিযোগ তুলে সৈয়দপুর থানায় খবর দেয়। নিহত শম্পার বাবা জানান,মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে মেরে ফেলে বাড়িতে আগুন লাগার নাটক করেছেন। আমরা এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই ।

শম্পার মামা অভিজিৎ দাস মিঠু বলেন, বাড়িতে আগুন লাগার যে ঘটনা তারা উল্লেখ করছেন সেটা যে সাজানো তা আগুনে পোড়া ঘরের দৃশ্য দেখলেই বোঝা যায়। বলা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। কিন্তু তাতে ঘরের নিচের অংশে কোন কিছুুই পুুড়ে নাই। শুধুমাত্র উপরের চালের কাঠ ও টিন পুুড়ে গেছে। এমনকি ঘরের অন্যান্য জিনিষপত্র সামান্যতম ক্ষতিগ্রস্থও হয়নি। মুলতঃ তারা সন্ধ্যা রাতেই শম্পাকে র্নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে আগুনের নাটক করে। তারা মামলা না করার জন্য সালিশ বৈঠকের জন্য চাপ দিচ্ছে। অথচ বিয়ের সময় আমরা মেয়ের সুখের জন্য নগদ ৭ লাখ টাকা, ২ লাখ টাকা মূূল্যের স্বর্নালংকার ও ১ লাখ টাকার আসবাবপত্র প্রদান করা হয় ছেলে পক্ষকে। এরপরেও আমাদের মেয়ের লাশ দেখতে হলো! আমরা টাকার বিনিময়ে মিমাংসা নয়, এ্ই হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।

সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান বলেন, নিহত গৃহবধূর বাবার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।রবিবার বিকেলে শম্পা রানীর মরদেহ লাশ জেলার মর্গে ময়না তদন্ত করা হয়। ময়না তদন্তের রিপোর্ট মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।