ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গণপূর্তে পীরের কেরামতি: পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও প্রধান প্রকৌশলী চেয়ারে বহাল! Logo ডিবির অভিযানে দোহার থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদকসহ পাঁচজন গ্রেফতার Logo অবসরে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার – পর্ব ১ Logo ১০০ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড পিকআপসহ দুই মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার Logo আলোচিত দুর্নীতিবাজ জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল বহাল তবিয়তে!  Logo বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবারের শেয়ার, ব্যাংক হিসাব বন্ধের নির্দেশ  Logo দশমিনায় যুবদল নেতাকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন Logo কেরানীগঞ্জ মডেল ভূমি অফিস যেন ঘুষের আস্তানা: এসিল্যান্ড থেকে পিয়ন সবাই এক আত্মা!  Logo শেখ সোহেলের সহচর কাউট রাজু গ্রুপের তাণ্ডব: অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি Logo পদোন্নতি,বদলি. কেনাকাটায় পাহাড়সম দুর্নীতি ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরে: দুদকের বিশেষ অভিযান

ছাত্রীনিবাসে অবরুদ্ধ ১৩ ছাত্রী উদ্ধার, পরে উদ্ধার 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুন ২০২০ ১১৮ বার পড়া হয়েছে

আব্দুল ওয়াদুদ, শেরপুর;  বগুড়ার কামারগাড়ী এলাকায় ভাড়ার দাবিতে মুন্নুজান ছাত্রীনিবাসে ১৩ ছাত্রীকে অবরুদ্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১ জুন) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কামারগাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে অবরুদ্ধ ১৩ ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। জানাযায়, ছাত্রীদের সাথে ভাড়া নিয়ে ছাত্রীনিবাসের সুপার হাফিজা বেগমের সাথে বাকবিতন্ডা চলছিল এক পর্যায়ে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসার পর ছাত্রীরা ছাত্রীনিবাস ত্যাগ করে।

ওই ছাত্রীনিবাসের ছাত্রী সরকারি আজিজুল হক কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী রুমা খাতুন বলেন, ‘আজ ওই হোস্টেলে আমিসহ ১৩ জন ছাত্রী আসি। আমি আমার রুমে গিয়ে দেখে সমস্ত রুম তছনছ করে রাখা। পরে দেখি আমার জামা কাপড়সহ দামী জিনিসপত্র চুরি হয়ে গেছে। আমার মত আরেক জনের রুমেও চুরি হয়েছে। যেখানে চুরি হয় সেখানে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়। তারপরেও হোস্টেলের ইনচার্জ তিন মাসের ভাড়া পরিশোধ করে হোস্টেল ত্যাগ করার কথা বলে।’

ছাত্রীনিবাসে থাকা এইচএসসি পরীক্ষার্থী দীপান্বিতা বলেন, ‘আমি করোনার কারণে বাড়িতে চলে যাই। আজ হোস্টেলে বই পত্র নিতে আসলে তিন মাসের ভাড়া ছাড়া হোস্টেল থেকে বের হতে বাধা সৃষ্টি করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গরমের সময় প্রায়ই নিচতলায় অনেকগুলো সাপ বের হয়। হোস্টেলের সবাই আতঙ্কে থাকে।’

মুন্নুজান ছাত্রীনিবাসের সুপার হাফিজা বেগম জানান, এপ্রিল থেকে তিন মাসের ভাড়া চাওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা দিবে না। পরে মালিক আব্দুল্লাহ হেল কাফীর সাথে কথা বললে দুই মাসের ভাড়া নিয়ে ছাত্রীদের ছেড়ে দিতে বলেন। তবে রুমে চুরি হওয়ার এবং নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি কথা বলতে রাজী হননি।

বগুড়া শহরের স্টেডিয়াম ফাড়ির সাব ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম জানান, মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। যার টাকা আছে সে দিয়ে যাবে। আর যার নাই সে পরে এসে দিবে। তবে টাকার জন্য কোন ছাত্রীকে আটকে রাখতে পারবে না।

তিনি আরও জানান, তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ছাত্রীনিবাস ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। যদি তাতে বাধাপ্রাপ্ত হয় তবে ওই ছাত্রীনিবাস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ছাত্রীনিবাসে অবরুদ্ধ ১৩ ছাত্রী উদ্ধার, পরে উদ্ধার 

আপডেট সময় : ১১:২৯:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুন ২০২০

আব্দুল ওয়াদুদ, শেরপুর;  বগুড়ার কামারগাড়ী এলাকায় ভাড়ার দাবিতে মুন্নুজান ছাত্রীনিবাসে ১৩ ছাত্রীকে অবরুদ্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১ জুন) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কামারগাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে অবরুদ্ধ ১৩ ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। জানাযায়, ছাত্রীদের সাথে ভাড়া নিয়ে ছাত্রীনিবাসের সুপার হাফিজা বেগমের সাথে বাকবিতন্ডা চলছিল এক পর্যায়ে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসার পর ছাত্রীরা ছাত্রীনিবাস ত্যাগ করে।

ওই ছাত্রীনিবাসের ছাত্রী সরকারি আজিজুল হক কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী রুমা খাতুন বলেন, ‘আজ ওই হোস্টেলে আমিসহ ১৩ জন ছাত্রী আসি। আমি আমার রুমে গিয়ে দেখে সমস্ত রুম তছনছ করে রাখা। পরে দেখি আমার জামা কাপড়সহ দামী জিনিসপত্র চুরি হয়ে গেছে। আমার মত আরেক জনের রুমেও চুরি হয়েছে। যেখানে চুরি হয় সেখানে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়। তারপরেও হোস্টেলের ইনচার্জ তিন মাসের ভাড়া পরিশোধ করে হোস্টেল ত্যাগ করার কথা বলে।’

ছাত্রীনিবাসে থাকা এইচএসসি পরীক্ষার্থী দীপান্বিতা বলেন, ‘আমি করোনার কারণে বাড়িতে চলে যাই। আজ হোস্টেলে বই পত্র নিতে আসলে তিন মাসের ভাড়া ছাড়া হোস্টেল থেকে বের হতে বাধা সৃষ্টি করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গরমের সময় প্রায়ই নিচতলায় অনেকগুলো সাপ বের হয়। হোস্টেলের সবাই আতঙ্কে থাকে।’

মুন্নুজান ছাত্রীনিবাসের সুপার হাফিজা বেগম জানান, এপ্রিল থেকে তিন মাসের ভাড়া চাওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা দিবে না। পরে মালিক আব্দুল্লাহ হেল কাফীর সাথে কথা বললে দুই মাসের ভাড়া নিয়ে ছাত্রীদের ছেড়ে দিতে বলেন। তবে রুমে চুরি হওয়ার এবং নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি কথা বলতে রাজী হননি।

বগুড়া শহরের স্টেডিয়াম ফাড়ির সাব ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম জানান, মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। যার টাকা আছে সে দিয়ে যাবে। আর যার নাই সে পরে এসে দিবে। তবে টাকার জন্য কোন ছাত্রীকে আটকে রাখতে পারবে না।

তিনি আরও জানান, তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ছাত্রীনিবাস ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। যদি তাতে বাধাপ্রাপ্ত হয় তবে ওই ছাত্রীনিবাস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।