বরিশাল ব্যুরো: করোনাভাইরাসের কারণে সব ধরনের ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ ঘোষণা করা হলেও তা মানছেন না মহেশপুর উপজেলার এনজিওগুলো। রোববার বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠানের মাঠকর্মীরা বরিশালের সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও সিটি করপোরেশন এর বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিভিন্ন এলাকায় কিস্তির টাকা আদায় করায় জনমনে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র ক্ষোভ।
সরকারের নির্দেশে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এনজিও ঋণ শ্রেণিকরণ কার্যকর হবে না বলে নির্দেশনা জারি করে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ)। সেই সঙ্গে নির্ধারিত সময় শেষে কোন প্রকার জরিমানা ছাড়াই বকেয়া কিস্তি গ্রহণ করা হবে। কিন্তু বরিশালে অধিকাংশ নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত এনজিওগুলো এ নির্দেশনা না মেনে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কিস্তির টাকা আদায়ে বস্ত।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও সিটি করপোরেশন এলাকার ঋণ গ্রহিতারা অভিযোগ করে বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে তারা কর্মহীন হয়ে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে অথচ বরিশালের সদর উপজেলায় ও সিটি করপোরেশন এলাকায় এনজিওগুলোর মাঠকর্মীরা কিস্তি আদায়ে ব্যস্ত। একই এলাকার একজন ঋণগ্রহীতা হেনা বলেন, আমার কোনো মাসের কিস্তি বাকি নাই।
প্রতিমাসের ২৮ তারিখ আমি কিস্তির টাকা দিই। মাঠকর্মী কিস্তির জন্য বার বার চাপ দিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় আমাদের কোনো আয়-রোজগার নাই। তাই কিস্তির টাকা এখন কিভাবে দিই। কিন্তু তারা মানছে না।
এভাবে দৈনিক,সাপ্তাহিক ও মাসিক কিস্তির টাকার জন্য অবৈধভাবে চাপ ও বল প্রয়োগ করে টাকা আদায় করছে ' আশা ' সহ বিভিন্ন এনজিও।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ভুক্তভোগীরা।