করোনার বিরুদ্ধে যৌনকর্মী’র লড়াই
- আপডেট সময় : ১০:২৮:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ মে ২০২০ ২০৭ বার পড়া হয়েছে
অনলাইন রিপোর্টঃ যৌনব্যবসা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে জার্মানিতে৷ এর প্রতিবাদে খোলা চিঠি লিখেছেন যৌনকর্মীরা, করোনা ভাইরাসের কারণে মহাসংকটে থেকেও নেমেছেন নতুন লড়াইয়ে৷ দেখুন….
‘তারা সুপার স্প্রেডার’
সম্প্রতি ১৬ জন সাংসদ জার্মানিতে যৌনব্যবসা নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন৷ এমন দাবি তুলে লেখা এক চিঠিতে তারা বলেছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যৌনকর্ম কখনো সম্ভব নয়৷ এ কারণে যৌনকর্মীদের মাধ্যমে ব্যাপক হারে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থায়ীভাবে যৌনব্যবসা নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে ১৬ জন সংসদ সদস্য৷
‘আমরা সুপার স্প্রেডার নই’
ওই ১৬ জন সংসদ সদস্যের উদ্দেশ্যে লেখা খোলা চিঠি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জার্মানির যৌনকর্মীদের কেন্দ্রীয় সংস্থা বিএসডি৷ চিঠির মাধ্যমে ‘পরিচ্ছন্নতার ধারনা’ তুলে ধরে বার্লিনভিত্তিক সংস্থাটি বলেছে, ‘‘আমরা সুপার স্প্রেডার নই৷ অন্যসব ব্যবসার মতো আমাদেরকেও ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে৷’’
ভুল ধারণা, ভিত্তিহীন আশঙ্কা
খোলা চিঠি এবং সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা বক্তব্যে জার্মানির যৌনকর্মীরা দাবি করছেন, তাদের সম্পর্কে ভুল ধারণা থাকায় ওই সংসদ সদস্যরা যৌনব্যবসা নিষিদ্ধ করতে চাইছেন৷ বিএসডি-র পক্ষ থেকে বলা হয়, জার্মানিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খুব কঠোরভাবে বজায় রেখেই যৌনব্যবসা পরিচালিত হয় এবং সতর্ক থাকলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি দূরে রেখে এই ব্যবসা চালু রাখা সম্ভব৷
দাবি ও পরামর্শ
খোলা চিঠিতে অবিলম্বে জার্মানির সব যৌনপল্লী খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএসডি৷ তাদের প্রশ্ন, মাসাজ পার্লার, চুল কাটার দোকান ইত্যাদি খুললে যৌনব্যবসা কেন বন্ধ থাকবে? ছোট যৌনপল্লীতে আপাতত একসময়ে সর্বোচ্চ ১০ জন যৌনকর্মীকে কাজ করার সুযোগ দেয়া এবং বড় যৌনপল্লীতে সব ঘর না খোলার পরামর্শ দিয়েছে তারা৷
জার্মানিতে যৌন ব্যবসা বৈধ
গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে জার্মানিতে যৌনব্যবসা বন্ধ রয়েছে৷ তবে লকডাউন ধীরে ধীরে যখন শিথিল হচ্ছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে শুরু করেছে, তখন যৌনকর্মীরাও একই নিয়মে ব্যবসায় ফিরতে পারবে বলে আশা করছে বিএসডি৷ জার্মানিতে যৌন ব্যবসা বৈধ৷ নিয়মিত আয়কর দেন যৌনকর্মীরা৷