কোম্পানীগঞ্জ নোয়াখালীঃ নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুজিব মহাবিদ্যালয়ের কলেজ সভাপতি নূর-এ-মাওলা (রাজু) অপরাজনীতির শিকার হয়েছেন সাথে নারী ঘটিত মিথ্যা অপবাদ নিয়ে ফেসবুকে সমালোচিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে মুজিব কলেজ ছাত্রলীগের পরপর দুইবারের সভাপতি নুর এ মাওলা রাজু সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সাথে দেখা করা নিয়ে বসুরহাট ৪নং ওয়ার্ডের হক মার্কেট এলাকায় সন্ত্রাসীদের দ্বারা আহত হন, এদিকে তার নামে নারী ঘটিত মিথ্যা অপবাদ দিয়া হয়।
সরেজমিনে একাধিক সূত্রে জানা যায়, নূর এ মাওলা রাজু ক্লিন ইমেজ নিয়ে রাজনীতি করে আসতেছেন এবং একজন সৎ ছাত্রনেতা তারই প্রেক্ষিতে পরপর দুই বার কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব ও পান ।
দায়িত্বে থেকে কলেজ ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত রেখেছেন। নূর মাওলা রাজুর সোস্যাল মিডিয়ায় তার নিজের ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্ট করেন যা হুবুহু তুলে ধরা হলো।
নূর-এ-মাওলা রাজু লিখেনঃ- "সকলে শ্রদ্ধাপূর্ণ সালাম নিবেন, গতকাল ৫.৪০ মিনিটে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির কাছ থেকে মুঠো ফোনে জানতে পারি আমার বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থেকে দলীয় শৃংখলাবঙ্গের অভিযোগ দেওয়া হয়েছে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে জেলা ছাত্রলীগ থেকে তাৎক্ষণিক অনুরোধ করে বলি আমি মেয়র মহোদয় ও নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে আপনাকে ফোন দিচ্ছি,,, ছুটে গেলাম শ্রদ্ধেয় নেতা জনাব আবদুল কাদের মির্জা সাহেবের কাছে (বাড়িতে).| নেতার রাগান্বিত মনোভাব দেখে চলে আসি, দীর্ঘ ক্ষণ উই ফর ইউ অফিসে অপেক্ষা করে ফোন করি দায়িত্বশীলদের অনেককে কেউ ফোন রিসিভ করতেছেনা পরোক্ষণে ফোন করি উপজেলা ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক শাহ ফরহাদ লিংকন ভাই ও সাংবাদিক হাসান ইমাম রাসেল ভাই কে ১০.৪০ আরডির সামনে রাসেল ভাই এর সাথে ১০/১৫ মিনিট কথা বলে কোনও তথ্য পাওয়া যায় কিনা জানার চেষ্টা করি এরিই মধ্যে লিংকন ভাই ফোন ব্যাক করে জিজ্ঞেস করে কই তুমি, বললাম আপনার বাসার সামনে আসতেছি ২ মিনিট। যাওয়ার সময় দেখা হয় আরডির মালিক হেলাল ভাই এর সাথে ওনার সাথে ২/৩ মিনিট কথা বলে চলে যায় । হক মার্কেটের সামনে গেলেই দেখা হয় মরহুম সাদেক মিয়ার ছেলের সাথে সালাম বিনিময় করে একটু সামনে যেতে না যেতেই কিছু বুঝে উঠার আগেই কয়েক জন মিলেই অতর্কিত হামলা। হোন্ডার ড্রাইভিং ছিলো সাইফুল তাৎক্ষণিক গাড়ি টান দেয় এতক্ষণে মাথায় পিঠে কোমরে পায়ে অাঘাত প্রাপ্ত হয়ে কোনও রকম ছুটে আসি।যখনি অপ্রত্যাশিত ভাবে আমার অাঘাত প্রাপ্ত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এর কিচ্ছুক্ষণ পর থেকে স্টেটাস আসতে শুরু করে আমি অনৈতিক কাজে গণদোলাই খেলাম,,,,,
শ্রদ্ধেয় নেতৃবৃন্দ
১. অনৈতিক কাজের সংবাদ রাতে কেন আসেনি।
২.কোথায় অনৈতিক কর্মকাণ্ড হয়েছে তথ্য প্রমাণ সহ সাংবাদিকদের হাতে তুলে দিন,সাংগঠনিক ভাবে স্থায়ী বহিষ্কার করেন ঘটনা সত্যি হলে বিন্দু পরিমাণ ও আফসোস থাকতো না।
৩. জেলা ছাত্রলীগের কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছি
নোটিশের উওর ও পদত্যাগ পত্র স্ব- শরীরে আপনাদের কাছে পোছে দিব। যখন আত্মসম্মান বোধেই হারালাম দায়িত্বে থাকা তখন কোনও ভাবেই সম্ভব নই। শুধু অনুরোধ থাকবে সত্যতা খতিয়ে দেখে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিবেন। আমি নির্দোষ,,, আর যদি দোষী হয়ে থাকি আল্লাহ আমার বিচার করুক"।
এদিকে একাধিক ছাত্রনেতা নাম অপ্রকাশে বলেন, "দীর্ঘদিন আমাদের উপজেলায় আওয়ামী রাজনীতি এককেন্দ্রীক পরিবার তান্ত্রিক রাজনীতি হয়ে চলতেছে, যারাই প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে তাদেরই অপরাজনীতির শিকার হচ্ছেন এবং বিভিন্ন অপবাদ সাথে জুড়ে দেয়া হচ্ছে"।