সীমাহীন নৈরাজ্যে রাজধানীর গনপরিহন
- আপডেট সময় : ১০:১৭:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ১৫৫ বার পড়া হয়েছে
হাফিজুর রাহমান শফিকঃ
যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, নির্ধারিত স্থানে বাস না থামানো, চালকের বেপরোয়া গাড়ি চালানো সহ এমন শত অভিযোগের চিত্র নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। যে কারনে প্রতিনিয়তই বাড়ছে সড়ক দূর্ঘটনা, মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে তাজা প্রাণ।
এদিকে রাজধানীসহ সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। তবে দেশের শহরাঞ্চলের মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৭৪ শতাংশই ঘটে রাজধানীতে। সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে যে কারনে, সেগুলো বন্ধে এখনো কঠিন কোন কর্য্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ নেই বললেই চলে।
গত ৪ মে ২০১৮ ঢাকার মালিবাগে বাস থেকে নামছিলেন পোশাককর্মী নিলুফার বেগম। এ সময় বাসটির গতি পুরোপুরি না থামানোর কারণে বাসের চাকায় চাপা পড়ে নিলুফারের পা। এতে তাঁর ডান পায়ের পাতা থেঁতলে যায়। গত ৫ এপ্রিল ২০১৮ প্রথম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে স্কুলে দিতে যাওয়ার পথে নিউ মার্কেটের কাছে বিকাশ পরিবহনের দুটি বাসের প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে যান আয়েশা খাতুনদের বহনকারী রিকশাটি। বাস রিকশাসহ তাঁদের টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায় অনেক দূর। শরীরের নিচের অংশ অসাড় হয়ে যাওয়া দুই সন্তানের মা আয়েশা এখনো সিআরপিতে চিকিত্সা নিচ্ছেন। ১১ এপ্রিল ২০১৮ রাজধানীর ফার্মগেটে নিউ ভিশন পরিবহনের ধাক্কায় আহত হন তরুণী রুনি আক্তার। এরপর তাঁকে ভর্তি করা হয় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে। গত ১৬ এপ্রিল ২০১৮ পলাশীর মোড়ে দায়িত্ব পালনের সময় ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের বহনকারী একটি বাসের চালকের বচসা হয়। অভিযোগ ওঠে, বাসটির চালক উল্টো পথে যাওয়ার আবদার করেছিলেন। ট্রাফিক পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন আবদার না রাখায় বাসটি তাঁর পায়ের ওপর দিয়ে চালিয়ে দেন বাসচালক নজরুল ইসলাম। ২০ এপ্রিল ২০১৮ ঢাকার বনানীতে বিআরটিসির বাস চাপায় পা হারান রোজিনা আক্তার নামে এক তরুণী। তিনিও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন থাকার কয়েক দিন পর মারা যান। এ রকম দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি রাজধানীতে প্রায়ই ঘটতে দেখা যায়।
এছাড়াও গত বছরের শেষের দিকে সর্বশেষ দুই বাসের চাপায় হাত থেতলে যুবকের মৃত্যু ও শহীদ ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু সারাদেশের বিবেক নাড়িয়ে দিয়েছিলো তার ওপরও বিবেক নড়েনি দেশের নীতিনির্ধারকদের পুলিশের একটি পরিসংখ্যানে ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১৬ বছরে শুধু রাজধানীতেই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে পাঁচ হাজার ৬৫৪ জন। অথচ গত ১ মাসেই সড়কের দূর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ২৪৭ জন এতে করে সহজেই অনুমান করা যায় সড়কে গণপরিবহন কতটা বেপরোয়া ও নিয়ম নীতি ধরা ছোঁয়ার বাইরে।অধিকাংশ নগর পরিকল্পনা বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রয়াত মেয়ের আনিসুল হকের রাজধানীর গণপরিবহনের যানজট ও দূর্ঘটনার প্রতিরোধ নিয়ে যে প্লানিং ছিলো সেটা সরকার ফলো করলে পৃথিবীর শৃঙ্খল একটি পরিবহন নগরী হিসেবে ঢাকার চিত্র পাল্টে যেতো।
বুয়েটের পরিসংখ্যান বলছে, অসতর্ক পথচারী, বেপরোয়া চালক ঢাকায় যে দুর্ঘটনাগুলো ঘটে তার ৯০ শতাংশ হয় চালকের দোষে। এ ছাড়া বেশির ভাগ দুর্ঘটনার মূলে রয়েছে একটি বাসের সঙ্গে অপর বাসের প্রতিযোগিতা। সাধারণত বেশিসংখ্যক যাত্রী তোলার জন্য চালকরা এ প্রতিযোগিতা করেন। গত ৩ এপ্রিল ঢাকার কারওয়ান বাজারে দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারান তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেন। হাসপাতালে ১৩ দিন পর মারা যান রাজীব। দুই বাসচালকের কারণে এ রকম দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য সেদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ভ্রাম্যমাণ চা দোকানি ইদ্রিস আলীর। তিনি বলেন, ‘প্রায়ই দেখি দুই বাস পাল্লা দিচ্ছে, গা ঘেঁষে চলছে। গাড়ি চালানোর সময় চালকরা সচেতন হলেই আর কারো প্রাণ এভাবে ঝরে পড়বে না। চালকদের কারণেই এ রকম দুর্ঘটনা ঘটে।’
এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার পরিচালক মোস্তফা সোহেল বলেন, ‘কোনো দুর্ঘটনা ঘটার পেছনে কখনো কখনো চালকের গাফিলতি থাকে। এই গাফিলতির বিষয়টি আবার সব সময় সত্য না-ও হতে পারে। এ রকম দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য চালকসহ সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে।’ দেশের অন্য সব মহানগরে যত পথচারী দুর্ঘটনায় মারা যায়, ঢাকায় মারা যায় তার দ্বিগুণ। সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের মতে, রাজধানীতে দুর্ঘটনার জন্য চালক ও পথচারীদের অসতর্কতা এবং যানবাহনের বেপরোয়া গতিই প্রধানত দায়ী।
বেশির ভাগ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে কোনো মামলা হয় না। কখনো মামলা হলে তা নিষ্পত্তি হতেও দীর্ঘ সময় লাগে। ফলে প্রকৃত দোষীরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) তথ্য বলছে, দেশে ৫৩ শতাংশ দুর্ঘটনার কারণ অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো এবং ৩৭ শতাংশ চালকের বেপরোয়া মনোভাব। অর্থাৎ সড়কে দুর্ঘটনার জন্য ৯০ শতাংশই দায়ী চালক নিজে। অথচ চালকদের শাস্তির দৃষ্টান্ত কম।
বিগত দিনের আলোচিত সড়ক দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে শুধু পুলিশ পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনের ক্ষেত্রে হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। বাকি মামলাগুলো দণ্ডবিধির যেসব ধারায় হয়েছে, তাতে ঘটনার মর্মান্তিকতা যথাযথ গুরুত্ব পায়নি, সাজা অপেক্ষাকৃত কম ও মামলা জামিনযোগ্য। রাসেল হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করলেও মামলা হয়েছে ফৌজদারি কার্যবিধির ২৭৯, ৩৩৮ (ক) ধারায়। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে কারো জীবন বিপন্ন বা আহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে ২৭৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এ ধারায় সর্বোচ্চ সাজা তিন বছর কারাদণ্ড কিংবা এক হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডের সুযোগ আছে। ৩৩৮ (ক) ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ সাজা সাত বছর কারাদণ্ড। দুটি ধারাই জামিনযোগ্য। গত ৪ এপ্রিল বাসের চাপায় হাত হারানো রাজীব বাদি হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেছিলেন। তাঁর মামলাটিও ২৭৯ ও ৩৩৮ (ক) ধারায় দায়ের হয়েছিল। তবে রাজীব চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার পর নতুন করে ৩০৪ (খ) ধারা যুক্ত করা হয়েছে। খুন নয়, অপরাধজনক প্রাণহানির অভিযোগ আনা হয় এই ধারায়। অপরাধ প্রমাণিত হলে ১৪ বছর পর্যন্ত সাজা, সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড কিংবা জরিমানা বা সব ধরনের দণ্ডের বিধান রয়েছে। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হোসেন বলেন, যেকোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে হত্যাচেষ্টা মামলা দেওয়া যায় না। কেউ মারা গেলে নতুন ধারা সংযোজন করা হয়।’ সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। তিনি বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিদ্যমান আইনগুলোয় সাজা কম, জরিমানাও কম। এ জন্য আইনের পরিবর্তন হওয়া দরকার। সাজা বাড়ানো দরকার। তবে আইনে শুধু সাজা বাড়ালেই হবে না, আইন প্রয়োগের বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।’
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির ভাষ্যমতে, রাজধানী ঢাকায় বাস কম্পানি আছে ২৪৬টি। আর বাস চলে আট হাজারের বেশি। পুরো পরিবহন সেক্টরের নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য কিংবা প্রভাবশালী রাজনৈতিক কোনো নেতা। ফলে ফিটনেসবিহীন বাস চলাচল করলেও সংশ্লিষ্ট পরিবহনের বিরুদ্ধে খুব বেশি ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। ঢাকা ও এর আশপাশে বাস-মিনিবাস চলে দুই পদ্ধতিতে। মালিক সরাসরি চালক-শ্রমিককে দৈনিক ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পরিমাণে বেতন দেন। আরেকটি পদ্ধতি হলো, মালিক নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে চালক-শ্রমিকের কাছে বাস ভাড়া দিয়ে দেন। চালক-শ্রমিক বেতনের ভিত্তিতে কাজ করলে বাসে সারা দিন কতজন যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে, তা পথের নির্দিষ্ট স্থানে থাকা কম্পানির কর্মীরা লিখে দেন। এটা দেখেই দিন শেষে আয় হিসাব করা হয়। আর চালক-শ্রমিকের কাছে বাস-মিনিবাস দৈনিক চুক্তিতে দিলে দিনে বাসটি কতবার চলবে (ট্রিপ), সেটাও নির্দিষ্ট করা থাকে। বাড়তি চালালে মালিককে বাড়তি টাকা দিতে হয়। সব খরচ মিটিয়ে নিজেদের আয় বাসায় নিতে হয় চালক-শ্রমিককে। এ জন্যই চালক যাত্রী ওঠানো-নামানো ও অন্য বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামেন। নগরীর অন্তত ১৩টি পয়েন্টেই এ প্রতিযোগিতা বেশি থাকে। এসব পয়েন্টে যাত্রীর চাপ বেশি থাকে। পয়েন্টগুলো হচ্ছে—গাবতলী, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, গুলিস্তান, মতিঝিল শাপলা চত্বর, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরার আজমপুর, বিমানবন্দর গোল চত্বর, মহাখালী ও যাত্রাবাড়ী। অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুধু নয়, বেশির ভাগ চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। এক হিসাবে দেখা যায়, দেশে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ১৩ লাখের ওপর। এর বিপরীতে বৈধ চালকের সংখ্যা মাত্র আট লাখ। এতে বোঝা যায়, লাইসেন্সবিহীন, অবৈধ, অদক্ষ কত চালক যানবাহন চালোনার সঙ্গে যুক্ত আছেন। ঢাকা জেলা সড়ক পরিবহন যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল আমিন নুরু বলেন, ‘আমাদের চালকরা লেখাপড়া জানে না। তাই লাইসেন্স নিতে গেলে পায় না। তবে তারা যাতে শৃঙ্খলা মেনে গাড়ি চালায় সেটির বিষয়ে বরাবরই আমরা তাগিদ দিয়ে থাকি।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছি। মামলা হচ্ছে, জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। শুধু জেল-জরিমানা করেও কাজ হয় না। সামগ্রিকভাবে সবার মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা দরকার।’ সড়ক দুর্ঘটনা বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক সামছুল হক বলেন, ‘অর্থ উপার্জনের দৃঢ় মনোভাব কাজ করে বাসমালিক ও চালকদের মধ্যে। এর কারণে যাত্রী তোলার জন্য একটি বাসের সঙ্গে আরেকটি বাসের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া পরিবহন খাতে নানা অব্যবস্থাপনা তো রয়েছেই, সেগুলোও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। এগুলো থেকে বেরিয়ে আসার জন্য একটি শক্তিশালী শৃঙ্খলা দরকার। আর পরিবহন খাতের নিয়ন্ত্রণে যে সংস্থা রয়েছে সেটিকেও আরো বেশি ক্ষমতাশালী করতে হবে।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন; সম্প্রতি ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি উদ্বেগজনক অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনার জন্য প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে চেষ্টা থাকবে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের। সড়ক দুর্ঘটনার বন্ধে নাগরিকদের অসচেতনতাও জরুরী। রাস্তায় চলাচলের সময় প্রায়ই দেখা যায় পথচারী মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হচ্ছে। আবার অনেকে কানে হেডফোন, ব্লুটুথ ব্যবহার করেও রাস্তা পার হচ্ছে, যা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। আমার বিশ্বাস, প্রত্যেক নাগরিক যদি তার জায়গা থেকে সচেতন হয়, ট্রাফিক আইন মেনে চলে, তাহলে সড়কে প্রাণহানি অনেক কমে যাবে।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)’র চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান বলেন, সড়কে দুর্ঘটনা ঠেকাতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমরা চালকদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিয়েছি। ইতিমধ্যেই বিআরটিএ চালকদের লাইসেন্সপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রশিক্ষণের বাবস্থা করেছে। এ ছাড়া জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিং, ক্যাম্পিং, লিফলেট বিতরণের মধ্যে কর্মসূচি আমরা নিয়ে থাকি। প্রত্যেকটি জীবনই মূল্যবান। বিআরটিএ রুটিন শিডিউল অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে থাকে। দোষীদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি জেল-জরিমানা করা হয়। সড়কে সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে তাঁরা কাজ করছেন। ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ আমাদের অব্যাহত থাকবে।