স্পোর্টস ডেস্ক;
পাকিস্তান ক্রিকেটের আমূল পরিবর্তন এসেছে ২০১৯ বিশ্বকাপে ব্যর্থ হবার পর। বিদেশী কোচ মিকি আর্থারকে বাদ দিয়ে হেড কোচ করা হয়েছে সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ উল হককে। বোলিং কোচের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ওয়াকার ইউনুসকে।
শুধু হেড কোচ পদেই নয়, পরিবর্তন এসেছে কোচিং স্টাফ, নির্বাচক এবং অধিনায়কত্বেও। টেস্ট দলের দায়িত্বে আজহার আলী, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে বাবর আজম।
দেশটির ক্রিকেট বোর্ড ঢেলে সাজাচ্ছে পাইপ লাইনের দলগুলোর কোচিং স্টাফও। পিসিবির হাই-পারফর্ম্যান্স দলের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব পালন করে আসা গ্র্যান্ট ব্রাডবার্নকে দলের প্রধান কোচ পদে দেয়া হয়েছে।
তবে এতদিন ধরে পাকিস্তান ক্রিকেটের বাইরে তাহা সাবেক তারকা স্পিনার সাকলাইন মুশতাককে হাই-পারফর্ম্যান্স দলের উন্নতি বিভাগের দায়িত্ব দিয়ে আবারও ফেরানো হচ্ছে দেশের ক্রিকেটে।
তবে নতুন দায়িত্ব পেয়ে সাকলাইন যেমন গর্বিত সঙ্গে সাবধানীও। কেন না, পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে সাবেকদের সম্পর্কটা শেষ পর্যন্ত ভালো দিয়ে শেষ হয় না।
‘দায়িত্ব পেয়ে আমি গর্বিত, তরুণদের সঙ্গে কাজ করতে পারব বলে রোমাঞ্চিতও। তবে ‘হ্যাঁ’ বলার আগে বেশ কয়েকবার ভাবতে হয়েছে। আমি কিছু জিনিস নিয়ে বারবার ভেবেছি যেমন, কাজের পরিবেশ, কারা আমার সঙ্গে কাজ করবে।’
এর আগে বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। এছাড়াও পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে খণ্ড-কালীন পরামর্শক হিসেবেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
১৯৯৫ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এই ক্যারিয়ারে সাকলাইন নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। ৪৯ টেস্টে ২০৮ টি উইকেটের সঙ্গে ১৬৯টি ওয়ানডে ম্যাচে ২৮৮ উইকেট নিয়েছেন সাকলাইন।