আন্তর্জাতিক ডেস্ক; করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই ভাইরাস দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে ফুসফুসে। এরপর এই সংক্রমণের কারণেই ক্রমশ বাড়তে থাকে শ্বাসকষ্ট। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না এলে শরীরে অক্সিজেনের অভাবে ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন করোনা রোগী। এবার ফুসফুসে করোনার সংক্রমণ থেকে সহজেই রোগীকে বাঁচানো সম্ভব! তার জন্য অব্যর্থ ইনহেলার তৈরি করেছেন একদল গবেষক। খবর জিনিউজের।
ব্রিটেনের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক করোনভাইরাসের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষ ধরনের ইনহেলার তৈরি করেছেন। ওই ব্রিটিশ গবেষকদের দাবি, এই ইনহেলার ব্যবহারে করোনা আক্রান্তের ভাইরাস সংক্রমিত ফুসফুস দ্রুত সেরে উঠবে। তাদের দাবি, এই ইনহেলার ফুসফুসের ভাইরাস সংক্রমণ নিরাময়ের পাসাপাশি ভাইরাল লোড কমানোর ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। তাদের তৈরি এই বিশেষ ওষুধটির নাম SNG 1001।
সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা জানান, তাদের তৈরি এই SNG 1001 ওষুধে রয়েছে ইন্টারফেরন বিটা নামের এক বিশেষ ধরনের প্রোটিন। এই প্রোটিন ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগীর শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। বিজ্ঞানীরা জানান, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের টিকিৎসায় এই ধরনের প্রোটিনের প্রয়োগ করা হয়। করোনার প্রাথমিক চিকিৎসার ক্ষেত্রেও এটি কার্যকর প্রমানিত হয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, ইতোমধ্যেই ১২০ জন করোনার রোগীর উপর এই ইনহেলার বা SNG 1001 পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করে দেখেছেন তারা। তাদের বেশিরভাগেরই বয়স ৫০ বছরের বেশি। গবেষকদের দাবি, এই ওষুধ প্রয়োগে ভাইরাসের সংক্রমণ ও উগসর্গ ধীরে ধীরে কমতে দেখেছেন তারা। গবেষকদের মতে, করোনা আক্রান্তদের শারীরিক সমস্যা ও লক্ষণগুলো বিবেচনা করে ৭২ ঘন্টার মধ্যে এই ইনহেলারের প্রয়োগ করা যেতে পারে। আক্রান্তের দেহে অক্সিজেনের পরিমাণ এবং তাপমাত্রা বিবেচনা করে এর ডোজ নির্ধারণ করা হবে।
সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা জানান, জুলাইয়ের মধ্যেই তারা এই SNG 1001 ওষুধ বা ইনহেলারের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সম্পূর্ণ ফলাফল হাতে পাবেন। তখনই এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন তারা।