ঢাকা ০২:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ




টাঙ্গাইলের যৌনকর্মীরা চরম অর্থকষ্টে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১৪:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০ ৫৯ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ ডেস্ক;
দুই মাস ধরে লক ডাউন। অবরুদ্ধ টাঙ্গাইলের যৌনপল্লি। আয়ের উৎস বন্ধ থাকায় চরম সংকটে দিন পার করছেন সেখানে বসবাসকারীরা। দুবেলা দুমুঠো খেয়ে জীবন বাঁচাতে সরকারের কাছে অর্থ সহায়তা চান তারা।

সেখানকার এক বাসিন্দা জানান, ‘বাচ্চার ৩ দিন ধরে জ্বর, ঘরে দুধ নেই খাবার নেই । বড় মানুষের খাবার নাই বলা যায় কিন্তু শিশুর খাবার নাই এটা তো বলা যায় না। খুব কষ্টে দিন যায় ভাই।’

মায়ের এই আর্তনাদই বলে দেয় কতটা অসহায় করোনাকালে তাদের জীবন । শুনশান চারিদিক। প্রায় সাড়ে পাঁচশকর্মী ও তাদের পরিবার পরিজনের আবাসস্থল টাঙ্গাইলের এই যৌনপল্লী রূপ নিয়েছে ভুতুড়ে এক নগরীতে । তারা জনান,’ আমার জীবনটা খুব কষ্টে চলছে। সামনে যে কি হবে জানি না।মরা মতো বেঁচে আছি। ঈদ বলে কিছু মনে হয়নি।’

টাকা নেই, ঘরে নেই খাবার। দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকায় বড় চ্যালেঞ্জ। যৌনকর্মীরা জানান,’আমাদে এখন কান্না ছাড়া কিছু নাই। অনেক কষ্টে বেঁচে আছি । কাউকে বুঝতে দেই না।’

গত তিন মাসে জনপ্রতি মাত্র ৪০ কেজি চাল ও নগদ ৫শ টাকা ছাড়া আর কোন সহায়তা জোটেনি। নারী মুক্তি সংঘের কার্যকরী সদস্য বেবী আক্তার বলেন, ‘লকডাউন তিন মাস ধরে। মেয়েরা বন্দি। পাঁচশ’ টাকা আর ৩০ কেজি চাল দিয়ে কি তিন মাস চলে।’

খাদ্য সহায়তাসহ তাদের নগদ সহায়তার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জানান, ‘প্রতিজনকে ৫০০ টাকা করে দিয়েছি। আমাদের প্রায় আড়াই লাখ টাকা দিয়েছি। এটা সকরারের বরাদ্দ ছিল।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




টাঙ্গাইলের যৌনকর্মীরা চরম অর্থকষ্টে

আপডেট সময় : ১০:১৪:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০

সকালের সংবাদ ডেস্ক;
দুই মাস ধরে লক ডাউন। অবরুদ্ধ টাঙ্গাইলের যৌনপল্লি। আয়ের উৎস বন্ধ থাকায় চরম সংকটে দিন পার করছেন সেখানে বসবাসকারীরা। দুবেলা দুমুঠো খেয়ে জীবন বাঁচাতে সরকারের কাছে অর্থ সহায়তা চান তারা।

সেখানকার এক বাসিন্দা জানান, ‘বাচ্চার ৩ দিন ধরে জ্বর, ঘরে দুধ নেই খাবার নেই । বড় মানুষের খাবার নাই বলা যায় কিন্তু শিশুর খাবার নাই এটা তো বলা যায় না। খুব কষ্টে দিন যায় ভাই।’

মায়ের এই আর্তনাদই বলে দেয় কতটা অসহায় করোনাকালে তাদের জীবন । শুনশান চারিদিক। প্রায় সাড়ে পাঁচশকর্মী ও তাদের পরিবার পরিজনের আবাসস্থল টাঙ্গাইলের এই যৌনপল্লী রূপ নিয়েছে ভুতুড়ে এক নগরীতে । তারা জনান,’ আমার জীবনটা খুব কষ্টে চলছে। সামনে যে কি হবে জানি না।মরা মতো বেঁচে আছি। ঈদ বলে কিছু মনে হয়নি।’

টাকা নেই, ঘরে নেই খাবার। দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকায় বড় চ্যালেঞ্জ। যৌনকর্মীরা জানান,’আমাদে এখন কান্না ছাড়া কিছু নাই। অনেক কষ্টে বেঁচে আছি । কাউকে বুঝতে দেই না।’

গত তিন মাসে জনপ্রতি মাত্র ৪০ কেজি চাল ও নগদ ৫শ টাকা ছাড়া আর কোন সহায়তা জোটেনি। নারী মুক্তি সংঘের কার্যকরী সদস্য বেবী আক্তার বলেন, ‘লকডাউন তিন মাস ধরে। মেয়েরা বন্দি। পাঁচশ’ টাকা আর ৩০ কেজি চাল দিয়ে কি তিন মাস চলে।’

খাদ্য সহায়তাসহ তাদের নগদ সহায়তার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জানান, ‘প্রতিজনকে ৫০০ টাকা করে দিয়েছি। আমাদের প্রায় আড়াই লাখ টাকা দিয়েছি। এটা সকরারের বরাদ্দ ছিল।’