ঢাকা ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গণপূর্তে পীরের কেরামতি: পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও প্রধান প্রকৌশলী চেয়ারে বহাল! Logo ডিবির অভিযানে দোহার থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদকসহ পাঁচজন গ্রেফতার Logo অবসরে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার – পর্ব ১ Logo ১০০ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড পিকআপসহ দুই মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার Logo আলোচিত দুর্নীতিবাজ জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল বহাল তবিয়তে!  Logo বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবারের শেয়ার, ব্যাংক হিসাব বন্ধের নির্দেশ  Logo দশমিনায় যুবদল নেতাকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন Logo কেরানীগঞ্জ মডেল ভূমি অফিস যেন ঘুষের আস্তানা: এসিল্যান্ড থেকে পিয়ন সবাই এক আত্মা!  Logo শেখ সোহেলের সহচর কাউট রাজু গ্রুপের তাণ্ডব: অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি Logo পদোন্নতি,বদলি. কেনাকাটায় পাহাড়সম দুর্নীতি ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরে: দুদকের বিশেষ অভিযান

টাঙ্গাইলের যৌনকর্মীরা চরম অর্থকষ্টে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১৪:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০ ১১২ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ ডেস্ক;
দুই মাস ধরে লক ডাউন। অবরুদ্ধ টাঙ্গাইলের যৌনপল্লি। আয়ের উৎস বন্ধ থাকায় চরম সংকটে দিন পার করছেন সেখানে বসবাসকারীরা। দুবেলা দুমুঠো খেয়ে জীবন বাঁচাতে সরকারের কাছে অর্থ সহায়তা চান তারা।

সেখানকার এক বাসিন্দা জানান, ‘বাচ্চার ৩ দিন ধরে জ্বর, ঘরে দুধ নেই খাবার নেই । বড় মানুষের খাবার নাই বলা যায় কিন্তু শিশুর খাবার নাই এটা তো বলা যায় না। খুব কষ্টে দিন যায় ভাই।’

মায়ের এই আর্তনাদই বলে দেয় কতটা অসহায় করোনাকালে তাদের জীবন । শুনশান চারিদিক। প্রায় সাড়ে পাঁচশকর্মী ও তাদের পরিবার পরিজনের আবাসস্থল টাঙ্গাইলের এই যৌনপল্লী রূপ নিয়েছে ভুতুড়ে এক নগরীতে । তারা জনান,’ আমার জীবনটা খুব কষ্টে চলছে। সামনে যে কি হবে জানি না।মরা মতো বেঁচে আছি। ঈদ বলে কিছু মনে হয়নি।’

টাকা নেই, ঘরে নেই খাবার। দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকায় বড় চ্যালেঞ্জ। যৌনকর্মীরা জানান,’আমাদে এখন কান্না ছাড়া কিছু নাই। অনেক কষ্টে বেঁচে আছি । কাউকে বুঝতে দেই না।’

গত তিন মাসে জনপ্রতি মাত্র ৪০ কেজি চাল ও নগদ ৫শ টাকা ছাড়া আর কোন সহায়তা জোটেনি। নারী মুক্তি সংঘের কার্যকরী সদস্য বেবী আক্তার বলেন, ‘লকডাউন তিন মাস ধরে। মেয়েরা বন্দি। পাঁচশ’ টাকা আর ৩০ কেজি চাল দিয়ে কি তিন মাস চলে।’

খাদ্য সহায়তাসহ তাদের নগদ সহায়তার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জানান, ‘প্রতিজনকে ৫০০ টাকা করে দিয়েছি। আমাদের প্রায় আড়াই লাখ টাকা দিয়েছি। এটা সকরারের বরাদ্দ ছিল।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

টাঙ্গাইলের যৌনকর্মীরা চরম অর্থকষ্টে

আপডেট সময় : ১০:১৪:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০

সকালের সংবাদ ডেস্ক;
দুই মাস ধরে লক ডাউন। অবরুদ্ধ টাঙ্গাইলের যৌনপল্লি। আয়ের উৎস বন্ধ থাকায় চরম সংকটে দিন পার করছেন সেখানে বসবাসকারীরা। দুবেলা দুমুঠো খেয়ে জীবন বাঁচাতে সরকারের কাছে অর্থ সহায়তা চান তারা।

সেখানকার এক বাসিন্দা জানান, ‘বাচ্চার ৩ দিন ধরে জ্বর, ঘরে দুধ নেই খাবার নেই । বড় মানুষের খাবার নাই বলা যায় কিন্তু শিশুর খাবার নাই এটা তো বলা যায় না। খুব কষ্টে দিন যায় ভাই।’

মায়ের এই আর্তনাদই বলে দেয় কতটা অসহায় করোনাকালে তাদের জীবন । শুনশান চারিদিক। প্রায় সাড়ে পাঁচশকর্মী ও তাদের পরিবার পরিজনের আবাসস্থল টাঙ্গাইলের এই যৌনপল্লী রূপ নিয়েছে ভুতুড়ে এক নগরীতে । তারা জনান,’ আমার জীবনটা খুব কষ্টে চলছে। সামনে যে কি হবে জানি না।মরা মতো বেঁচে আছি। ঈদ বলে কিছু মনে হয়নি।’

টাকা নেই, ঘরে নেই খাবার। দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকায় বড় চ্যালেঞ্জ। যৌনকর্মীরা জানান,’আমাদে এখন কান্না ছাড়া কিছু নাই। অনেক কষ্টে বেঁচে আছি । কাউকে বুঝতে দেই না।’

গত তিন মাসে জনপ্রতি মাত্র ৪০ কেজি চাল ও নগদ ৫শ টাকা ছাড়া আর কোন সহায়তা জোটেনি। নারী মুক্তি সংঘের কার্যকরী সদস্য বেবী আক্তার বলেন, ‘লকডাউন তিন মাস ধরে। মেয়েরা বন্দি। পাঁচশ’ টাকা আর ৩০ কেজি চাল দিয়ে কি তিন মাস চলে।’

খাদ্য সহায়তাসহ তাদের নগদ সহায়তার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জানান, ‘প্রতিজনকে ৫০০ টাকা করে দিয়েছি। আমাদের প্রায় আড়াই লাখ টাকা দিয়েছি। এটা সকরারের বরাদ্দ ছিল।’